ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

কোন পথে ইমরান খানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ

তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছরের জন্য কারাগারে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। চলতি বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। এর ফলে পাকিস্তানের আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইমরান খানের অংশগ্রহণ এবং তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা মহলে উঠছে প্রশ্ন।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর চলতি বছরের ৯ মে এবং ৫ আগস্ট গ্রেপ্তার হন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আগেরবারের চেয়ে এবারের গ্রেফতারে প্রতিক্রিয়া বেশ ভিন্নই বলা চলে।

গতবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় ইমরান খানের সমর্থকরা। এতে করে অশান্ত হয়ে ওঠে পাকিস্তান। এসব ঘটনার ফলে কারাগারেও যেতে হয় অনেক সমর্থককে। কিন্তু শনিবার ইমরান খান গ্রেপ্তারের পর ইসলামাবাদ, লাহোরসহ সব জায়গায়ই দেখা গেছে স্বাভাবিক চিত্র। কোনো হুলস্থূল দেখা যায়নি রাতেও।

আদালত জানায়, প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন পিটিআই নেতা ইমরান খান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই রায়ের ফলে আসন্ন নির্বাচনে তাকে অযোগ্যতার দিকে নিয়ে যাবে।

গ্রেপ্তারের আগে অবশ্য এক ভিডিও বার্তায়, সমর্থকদের ঘরে বসে না থেকে শাহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের আহ্বান করেন ইমরান খান। কিন্তু বাস্তবে, এর প্রতিফলন খুব একটা দেখা যায়নি।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, কেন এমনটা হলো? পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকার বলছে, সমর্থকরা ইমরান খান বা তার দল পিটিআইকে আর সমর্থন করতে চায় না।

ক্ষমতার প্রথমদিকে, ইমরান খান সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক বন্ধুপূর্ণ ছিল। এই কারণে তিনি রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট ক্ষমতাধর ছিলেন বলেও মনে করা হয়। কিন্তু সে সম্পর্ক এতটাই বাজেভাবে ভেঙেছে যে, শেষপর্যন্ত ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে। এর জন্য সেনাবাহিনীকেই প্রকাশ্যে দায়ী করেন মি. খান। জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রায় প্রতিদিনই সেনাবাহিনীর নেতৃত্বের সমালোচনা করেছেন।

ফলাফল স্বরূপ, গত মে মাসে দেশজুড়ে নজিরবিহীন সহিংস আন্দোলনে ধরপাকড়ে সেনাবাহিনী পিটিআইয়ের ভিত্তি এক প্রকার নাড়িয়ে দিয়েছে বলা যায়। সেনা অবকাঠামো ও যানবাহন যারা পুড়িয়েছে তাদের সামরিক আইনে বিচারের ঘোষণা দেয়া হয়। আতঙ্কে ডজনখানেক নেতাকর্মী পিটিআই ছেড়ে অন্য দলে যোগদান করেছেন। স্থানীয় টেলিভিশন ও পত্রিকায় ইমরান খানের সংবাদ প্রচারেও রয়েছে বিধিনিষেধ।

ইমরান খান জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা, এ বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে সুস্পষ্ট করে কিছুই জানানো হয়নি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আলাদা জীবন পেল জোড়া লাগানো দুই বোন নুহা ও নাবা

কোন পথে ইমরান খানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ

আপডেট টাইম : ১২:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩

তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছরের জন্য কারাগারে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। চলতি বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। এর ফলে পাকিস্তানের আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইমরান খানের অংশগ্রহণ এবং তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা মহলে উঠছে প্রশ্ন।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর চলতি বছরের ৯ মে এবং ৫ আগস্ট গ্রেপ্তার হন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আগেরবারের চেয়ে এবারের গ্রেফতারে প্রতিক্রিয়া বেশ ভিন্নই বলা চলে।

গতবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় ইমরান খানের সমর্থকরা। এতে করে অশান্ত হয়ে ওঠে পাকিস্তান। এসব ঘটনার ফলে কারাগারেও যেতে হয় অনেক সমর্থককে। কিন্তু শনিবার ইমরান খান গ্রেপ্তারের পর ইসলামাবাদ, লাহোরসহ সব জায়গায়ই দেখা গেছে স্বাভাবিক চিত্র। কোনো হুলস্থূল দেখা যায়নি রাতেও।

আদালত জানায়, প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন পিটিআই নেতা ইমরান খান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই রায়ের ফলে আসন্ন নির্বাচনে তাকে অযোগ্যতার দিকে নিয়ে যাবে।

গ্রেপ্তারের আগে অবশ্য এক ভিডিও বার্তায়, সমর্থকদের ঘরে বসে না থেকে শাহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের আহ্বান করেন ইমরান খান। কিন্তু বাস্তবে, এর প্রতিফলন খুব একটা দেখা যায়নি।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, কেন এমনটা হলো? পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকার বলছে, সমর্থকরা ইমরান খান বা তার দল পিটিআইকে আর সমর্থন করতে চায় না।

ক্ষমতার প্রথমদিকে, ইমরান খান সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক বন্ধুপূর্ণ ছিল। এই কারণে তিনি রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট ক্ষমতাধর ছিলেন বলেও মনে করা হয়। কিন্তু সে সম্পর্ক এতটাই বাজেভাবে ভেঙেছে যে, শেষপর্যন্ত ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে। এর জন্য সেনাবাহিনীকেই প্রকাশ্যে দায়ী করেন মি. খান। জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রায় প্রতিদিনই সেনাবাহিনীর নেতৃত্বের সমালোচনা করেছেন।

ফলাফল স্বরূপ, গত মে মাসে দেশজুড়ে নজিরবিহীন সহিংস আন্দোলনে ধরপাকড়ে সেনাবাহিনী পিটিআইয়ের ভিত্তি এক প্রকার নাড়িয়ে দিয়েছে বলা যায়। সেনা অবকাঠামো ও যানবাহন যারা পুড়িয়েছে তাদের সামরিক আইনে বিচারের ঘোষণা দেয়া হয়। আতঙ্কে ডজনখানেক নেতাকর্মী পিটিআই ছেড়ে অন্য দলে যোগদান করেছেন। স্থানীয় টেলিভিশন ও পত্রিকায় ইমরান খানের সংবাদ প্রচারেও রয়েছে বিধিনিষেধ।

ইমরান খান জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা, এ বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে সুস্পষ্ট করে কিছুই জানানো হয়নি।