ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জাবিতে পাখি সুরক্ষায় ছাত্রদলের ভিন্নধর্মী উদ্যোগ যে পাখি উড়ন্ত অবস্থায় ডিম পাড়ে, মাটিতে পড়ার আগে বাচ্চা ফুটে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্র-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন যারা প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের খাবার কর্মসূচি চালু করা হবে : উপদেষ্টা উপদেষ্টা ফারুকী-বশিরকে নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মাহফুজ আলম নেতাকর্মীদের রেখে স্বার্থপরের মত পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা: রিজভী সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে থাকবে, তা অন্তর্বর্তী সরকারই নির্ধারণ করবে: সেনাসদর জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে এলডিসি’র বৈঠকে যা বললেন ড. ইউনূস ঊনপঞ্চাশে আমিশার জীবনে প্রেম আ.লীগ কি আগামী নির্বাচনে আসবে? যা বললেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান

ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ বৈশ্বিক নেতৃত্বের জায়গায় পৌঁছেছে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়ার জায়গায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ বিশ্বের ৮০টি দেশে সফটওয়্যার রপ্তানি করছে। নেপাল ও নাইজেরিয়ায় কম্পিউটার ও ল্যাপটপ রপ্তানি হচ্ছে। তিনি ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন করে নতুন প্রজন্মকে ভবিষ্যৎমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মন্ত্রী ৬ অক্টোবর ঢাকায় চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা ২০১৮ উপলক্ষে ঢাকা জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘শিক্ষিত জাতি সমৃদ্ধ দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বক্তৃতা করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, শিক্ষিত জাতি ছাড়া উন্নত জাতি গঠন করা যায় না, এই উপলব্ধি থেকেই যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছিলেন।

দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এই মহান রাষ্ট্রনায়ক ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নে বাংলাদেশের সদস্যপদ অর্জন করেছিলেন এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি স্থাপনে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলেই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মোবাইলের মনোপলি ব্যবসা বন্ধ করেন এবং কম্পিউটারের ওপর থেকে ট্যাক্স-ভ্যাট প্রত্যাহার করে কম্পিউটার সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে রাখেন।

মন্ত্রী গত সাড়ে ৯ বছরে তথ্য যোগাযোগ খাতে অগ্রগতির তুলনামূলক পার্থক্য বর্ণনা করে বলেন, ২০০৮ সালে দেশে ৪ কোটি ৪৬ লাখ মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হতো, যা ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে ১৫ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ। বর্তমানে তা ৯ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার ছিল মাত্র ৭.৫ জিবিপিএস। বর্তমানে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার ৮০০ জিবিপিএস ছাড়িয়েছে। গত ১২ মে বাংলাদেশ বিশ্বে ৫৭তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তিনি বলেন, ইন্টারনেট পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম লাইব্রেরি। ২০১৯ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে যাবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জাবিতে পাখি সুরক্ষায় ছাত্রদলের ভিন্নধর্মী উদ্যোগ

ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ বৈশ্বিক নেতৃত্বের জায়গায় পৌঁছেছে

আপডেট টাইম : ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ অক্টোবর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়ার জায়গায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ বিশ্বের ৮০টি দেশে সফটওয়্যার রপ্তানি করছে। নেপাল ও নাইজেরিয়ায় কম্পিউটার ও ল্যাপটপ রপ্তানি হচ্ছে। তিনি ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন করে নতুন প্রজন্মকে ভবিষ্যৎমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মন্ত্রী ৬ অক্টোবর ঢাকায় চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা ২০১৮ উপলক্ষে ঢাকা জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘শিক্ষিত জাতি সমৃদ্ধ দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বক্তৃতা করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, শিক্ষিত জাতি ছাড়া উন্নত জাতি গঠন করা যায় না, এই উপলব্ধি থেকেই যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছিলেন।

দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এই মহান রাষ্ট্রনায়ক ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নে বাংলাদেশের সদস্যপদ অর্জন করেছিলেন এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি স্থাপনে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলেই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মোবাইলের মনোপলি ব্যবসা বন্ধ করেন এবং কম্পিউটারের ওপর থেকে ট্যাক্স-ভ্যাট প্রত্যাহার করে কম্পিউটার সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে রাখেন।

মন্ত্রী গত সাড়ে ৯ বছরে তথ্য যোগাযোগ খাতে অগ্রগতির তুলনামূলক পার্থক্য বর্ণনা করে বলেন, ২০০৮ সালে দেশে ৪ কোটি ৪৬ লাখ মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হতো, যা ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে ১৫ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ। বর্তমানে তা ৯ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার ছিল মাত্র ৭.৫ জিবিপিএস। বর্তমানে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার ৮০০ জিবিপিএস ছাড়িয়েছে। গত ১২ মে বাংলাদেশ বিশ্বে ৫৭তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তিনি বলেন, ইন্টারনেট পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম লাইব্রেরি। ২০১৯ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে যাবে।