বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বিয়েতে বর-কনের মধ্যে আংটি বদল হওয়া একটি সামাজিক রীতি। যা কম-বেশি সবাই মেনে চলে। নিশ্চয়ই দেখেছেন, যেকোনো বাগদত্ত ব্যক্তি-ই এই বিশেষ আংটিটি পরিধানের জন্য বাম হাতটিকে বেশি প্রাধান্য দেয়।
পশ্চিমাবিশ্বে বাগদান ও বিবাহের আংটি ঐতিহ্যগতভাবেই বাম হাতের অনামিকায় পরা হয়ে থাকে। তবে কেন বাম হাতে ও অনামিকাকেই বেছে নেয়া হয় এই বিশেষ আংটি পরার জন্য? চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত-
কেন অনামিকাকে “রিং ফিঙ্গার” বা আংটি পরিধানের আঙ্গুল বলে?
জর্জ মঙ্গারের “ম্যারেজ কাস্টমস অব দ্য ওয়ার্ল্ড” বইটি জানাচ্ছে, মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে যে- এই আঙুলের সঙ্গে হৃদয়ের একটি শিরা সরাসরি সংযুক্ত, যা ভেনা অ্যামোরিস বা ভালোবাসার শিরা নামে পরিচিত।
১৭শ’ শতাব্দীতে ডাচ চিকিৎসক লেমনিয়াস দাবি করেছিলেন, তিনি মূর্ছা যাওয়া নারীদের সংজ্ঞা ফেরাতে পারেন অনামিকায় চিমটি কেটে ও সামান্য জাফরান ব্যবহার করে। তার দাবি, সহজ এই পদ্ধতিতে “আঙ্গুলের এই সংযোগকে কাজে লাগিয়ে জীবনধারায় সতেজতা আনা সম্ভব”- এমনটাই মঙ্গারের রচনায় উল্লেখ পাওয়া যায়।
বিয়ের আংটি বাম হাতেই কেন পরা হয়?
বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে, প্রতিটা আঙ্গুলের শিরাই হৃদয়ের সঙ্গে সংযুক্ত। তা যাই হোক, বিবাহিত ও বাগদত্তদের বাম হাতে আংটি পরা থেকে বিরত রাখা যায়নি। বিজ্ঞানের ছিটেফোঁটা না থাকুক, এতে রোমান্টিক ধারণা শতভাগ বিদ্যমান!
তাছাড়া মঙ্গার বিশ্বাস করেন, মার্কিনিদের বাম হাতেই আংটি পরিধানের বিষয়টি অক্ষুণ্ণ রাখার কারণটি শুধুমাত্র ঐতিহ্যগত নয়, স্বাচ্ছন্দ্যেরও বটে। কেননা, গড়পড়তা ১০ শতাংশ মানুষ বাম হাত ব্যবহার করে এবং নিয়মানুযায়ী ডান হাতের ব্যবহার বাম হাতের তুলনায় ঢের বেশি।
আপনার বিয়ের আংটি কোন হাতের কোন আঙ্গুলে পরবেন তা আপনার ওপর নির্ভরশীল। যদি ঐতিহ্য পালন করতে চান তবে বামেই পরা উচিত। তবে ইচ্ছে হলে বদলে ডান হাতে পরিধানেও কোনো বাধা নেই!