ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুস্বাদু বাঁশের বিস্কুট বানিয়ে তাক লাগালেন গবেষক

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বাঁশ খাওয়ার প্রবাদ থেকে এবার বাস্তবেই এর জনপ্রিয়তা। যদিও আদিবাসীরা অনেক আগে থেকেই বাঁশের বিভিন্ন অংশ রান্না করে খান। এছাড়াও পৃথিবীর নানা দেশে বাঁশ খাওয়ার প্রচলন রয়েছে শত শত বছর আগে থাকেই। এবার ভারতে তৈরি হলো বাঁশের বিস্কুট। অবাক হবেন না। কল্পনা কিংবা গল্প নয়।

মুলি বাঁশের খাদ্যগুণ মাথায় রেখে এবার বাঁশের কুকিজ বানাল ভারতের আগরতলার বাম্বু অ্যান্ড ক্যান ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট। কচি বাঁশের যে অংশ খাওয়ার যোগ্য তা দিয়েই বানানো হয়েছে এই বিস্কুট। মুলি বাঁশের সঙ্গে ময়দা মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে ডো। এরপর তা দিয়ে সুস্বাদু বিস্কুট।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এই বিস্কুট খেয়ে উদ্ভোধন করেন

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এই বিস্কুট খেয়ে উদ্ভোধন করেন

আদিবাসীদের মধ্যে বাঁশের এই অংশ খাওয়ার রীতি রয়েছে। বাম্বু অ্যান্ড ক্যান ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের প্রধান অভিনব কান্ত জানান, মুলি বাঁশ খেতে মিষ্টি। সেই অংশ দিয়েই তৈরি কুকিজ। স্বয়ং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব উদ্ভোধন করেছেন এই বিস্কুটের।

আর শুক্রবার ছিল বাঁশ দিবস। সে উপলক্ষ্যকেই কাজে লাগিয়েছেন তারা। সাধারণ অন্যান্য বিস্কুটের তুলনায় এর স্বাদ কিন্তু কম নয়। বরং একটু অন্য রকম খেতে তবে সুস্বাদু বটে! এর আগে তারা বানিয়েছিলেন বাঁশের বোতল। প্লাস্টিক বোতলের ক্ষতিকারক দিন থেকে বাঁচতে বানানো হয়েছিল এই বোতল।

দৈহিক সুস্থতায় বাঁশ খুবই উপকারী। বিভিন্ন রোগ থেকে খুব সহজেই মুক্তি দিতে বাঁশের কার্যকারিতা অপরিসীম। তাইতো চীনারা বাঁশের কোড়লকে বলেন ‘স্বাস্থ্যকর খাবারের রাজা’। বাঁশের রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগুণ। বাঁশের নরম অংশ প্রোটিন ও ভিটামিনে সমৃদ্ধ। ফ্যাটের পরিমাণও কম থাকে। এর পাশাপাশি ডায়েটারি ফাইবার থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। এছাড়াও তাজা বাঁশের কোঁড়লে ৮৮-৯৩% পানি, ১.৫-৪% প্রোটিন, ০.২৫-০.৯৫% চর্বি, ০.৭৮-৫.৮৬% চিনি, ০.৬০-১.৩৪% সেলুলোজ এবং ১.১% খনিজ পদার্থ আছে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিনও বিদ্যমান।

বাঁশের তৈরি বোতল

বাঁশের তৈরি বোতল

এছাড়াও বাঁশ খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমায় ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। বাঁশের কোঁড়ল দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করতে বাঁশের জুরি নেই। তাছাড়া হাঁপানী, ডায়াবেটিস, তীব্র জ্বর, মৃগি রোগে মূর্ছা যাওয়া ইত্যাদি নিরাময়েও যথেষ্ট অবদান রাখে বাঁশ।

যেকোনো সবজির সঙ্গে তুলনা করলে বাঁশের কোঁড়ল কোনোভাবেই হেলাফেলার নয়। তাই খাদ্য তালিকায় অবশ্যই চেষ্টা করুন বাঁশের কোঁড়ল রাখার। এছাড়াও মুলি বাঁশের বিস্কুটও খেতে পারেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সুস্বাদু বাঁশের বিস্কুট বানিয়ে তাক লাগালেন গবেষক

আপডেট টাইম : ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বাঁশ খাওয়ার প্রবাদ থেকে এবার বাস্তবেই এর জনপ্রিয়তা। যদিও আদিবাসীরা অনেক আগে থেকেই বাঁশের বিভিন্ন অংশ রান্না করে খান। এছাড়াও পৃথিবীর নানা দেশে বাঁশ খাওয়ার প্রচলন রয়েছে শত শত বছর আগে থাকেই। এবার ভারতে তৈরি হলো বাঁশের বিস্কুট। অবাক হবেন না। কল্পনা কিংবা গল্প নয়।

মুলি বাঁশের খাদ্যগুণ মাথায় রেখে এবার বাঁশের কুকিজ বানাল ভারতের আগরতলার বাম্বু অ্যান্ড ক্যান ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট। কচি বাঁশের যে অংশ খাওয়ার যোগ্য তা দিয়েই বানানো হয়েছে এই বিস্কুট। মুলি বাঁশের সঙ্গে ময়দা মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে ডো। এরপর তা দিয়ে সুস্বাদু বিস্কুট।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এই বিস্কুট খেয়ে উদ্ভোধন করেন

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এই বিস্কুট খেয়ে উদ্ভোধন করেন

আদিবাসীদের মধ্যে বাঁশের এই অংশ খাওয়ার রীতি রয়েছে। বাম্বু অ্যান্ড ক্যান ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের প্রধান অভিনব কান্ত জানান, মুলি বাঁশ খেতে মিষ্টি। সেই অংশ দিয়েই তৈরি কুকিজ। স্বয়ং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব উদ্ভোধন করেছেন এই বিস্কুটের।

আর শুক্রবার ছিল বাঁশ দিবস। সে উপলক্ষ্যকেই কাজে লাগিয়েছেন তারা। সাধারণ অন্যান্য বিস্কুটের তুলনায় এর স্বাদ কিন্তু কম নয়। বরং একটু অন্য রকম খেতে তবে সুস্বাদু বটে! এর আগে তারা বানিয়েছিলেন বাঁশের বোতল। প্লাস্টিক বোতলের ক্ষতিকারক দিন থেকে বাঁচতে বানানো হয়েছিল এই বোতল।

দৈহিক সুস্থতায় বাঁশ খুবই উপকারী। বিভিন্ন রোগ থেকে খুব সহজেই মুক্তি দিতে বাঁশের কার্যকারিতা অপরিসীম। তাইতো চীনারা বাঁশের কোড়লকে বলেন ‘স্বাস্থ্যকর খাবারের রাজা’। বাঁশের রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগুণ। বাঁশের নরম অংশ প্রোটিন ও ভিটামিনে সমৃদ্ধ। ফ্যাটের পরিমাণও কম থাকে। এর পাশাপাশি ডায়েটারি ফাইবার থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। এছাড়াও তাজা বাঁশের কোঁড়লে ৮৮-৯৩% পানি, ১.৫-৪% প্রোটিন, ০.২৫-০.৯৫% চর্বি, ০.৭৮-৫.৮৬% চিনি, ০.৬০-১.৩৪% সেলুলোজ এবং ১.১% খনিজ পদার্থ আছে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিনও বিদ্যমান।

বাঁশের তৈরি বোতল

বাঁশের তৈরি বোতল

এছাড়াও বাঁশ খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমায় ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। বাঁশের কোঁড়ল দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করতে বাঁশের জুরি নেই। তাছাড়া হাঁপানী, ডায়াবেটিস, তীব্র জ্বর, মৃগি রোগে মূর্ছা যাওয়া ইত্যাদি নিরাময়েও যথেষ্ট অবদান রাখে বাঁশ।

যেকোনো সবজির সঙ্গে তুলনা করলে বাঁশের কোঁড়ল কোনোভাবেই হেলাফেলার নয়। তাই খাদ্য তালিকায় অবশ্যই চেষ্টা করুন বাঁশের কোঁড়ল রাখার। এছাড়াও মুলি বাঁশের বিস্কুটও খেতে পারেন।