ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিস্ময়কর স্টারলিং পাখি নানা আকৃতি গড়ে ঝাঁক বেধে ওড়ে

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ দল বেধে ঘুরে বেড়ায় এই পাখিরা। তাদের ঝাঁক দেখলে যে কেউই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকেন। কখনো ঝরা পাতার মতো বা কখনো সাঁতরে বেড়ানো বিশাল তিমি মাছের আকৃতি তৈরি করে পাখির ঝাঁক৷ এই স্টারলিংগুলো ইউরোপীয় পরিযায়ী পাখি। এই পাখি ইসরায়েলে আসে রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপ থেকে।

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পাখিগুলো নানা আকৃতি তৈরি করে। শুধু যে এরা আকৃতি তৈরি করে তা-ই নয়, কিচিরমিচির শব্দে মাতিয়ে রাখে পুরো এলাকা। বিজ্ঞানিরা ঠিক জানেন না, কীভাবে তারা এসব আকৃতি তৈরি করে।

পাখির ঝাঁক

পাখির ঝাঁক

তবে কেউ কেউ বলেন, এরা ইচ্ছে করে এমন করে না। বরং ঝাঁকের একটি পাখি তার নিকটবর্তী আরেকটির কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব তৈরি করে ওড়ে৷ তাতেই এমন আকৃতি তৈরি হয়। তা বলে এতোটা নিখুঁত?

যুক্তরাষ্ট্রের পাখি বিশেষজ্ঞ জাকারি স্ল্যাভিন বলেন, ঠিক যেন মাছের মতো। এই ঝাঁকের কোনো নেতা নেই। তবে তারা এমনভাবে থাকে যেন একসঙ্গে একটি গন্তব্যে পৌঁছায়। এদের একজন গতিপথ বদলালে এরা দ্রুত সেই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে।

স্টারলিং পাখি

স্টারলিং পাখি

সাধারণত শীত ও বর্ষায় স্টারলিংয়ের এমন ঝাঁক দেখা যায়। গ্রীষ্মের শেষ দিকে এই পাখিগুলোর প্রজনন প্রক্রিয়া শেষ হয়। এরপর বড় বড় ঝাঁকে এরা অভিযাত্রা শুরু করে। পরে শীতের শেষে অথবা বসন্তের শুরুতে এরা তাদের প্রজননস্থলে ফিরে আসে।

তবে প্রশ্ন হলো, কেন এরা এমন ঝাঁকে ঝাঁকে ঘুরে বেড়ায়? বিশ্লেষকদের মন্তব্য, পাখিগুলো দল বেঁধে ঘুরে বেড়ালে এদের হাজারো চোখে একসঙ্গে খাবার খোঁজা সহজ হয়। এতে একই খাবারের খোঁজে থাকা প্রাণিদের এ লড়াইয়ে পরাজিত করা সহজ হয়।

নানা আকৃতিতে ওড়ে তারা

নানা আকৃতিতে ওড়ে তারা

আরো একটি কারণে তারা দলবদ্ধ হয়ে চলে, তা হলো নিরাপত্তা। চিল, বাজপাখিদের হাত থেকে বাঁচতে এমন উপায় বেছে নিয়েছে তারা। বিশ্লেষকরা বলেন, তারা এমনভাবে ঘুরে যেন, বাজপাখিদের চোখে একেকটি পাখি আলাদা করে ধরা পড়া কঠিন হয়ে যায়।

এরা যে শুধু ইউরোপেই ঘোরাঘুরি করে তা নয়। এই পরিযায়ী পাখিগুলোর ওড়ার সীমানা উত্তর আফ্রিকা থেকে শুরু করে দক্ষিণ ইউরোপ, এমনকি পশ্চিম এশিয়া পর্যন্ত।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বিস্ময়কর স্টারলিং পাখি নানা আকৃতি গড়ে ঝাঁক বেধে ওড়ে

আপডেট টাইম : ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ দল বেধে ঘুরে বেড়ায় এই পাখিরা। তাদের ঝাঁক দেখলে যে কেউই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকেন। কখনো ঝরা পাতার মতো বা কখনো সাঁতরে বেড়ানো বিশাল তিমি মাছের আকৃতি তৈরি করে পাখির ঝাঁক৷ এই স্টারলিংগুলো ইউরোপীয় পরিযায়ী পাখি। এই পাখি ইসরায়েলে আসে রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপ থেকে।

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পাখিগুলো নানা আকৃতি তৈরি করে। শুধু যে এরা আকৃতি তৈরি করে তা-ই নয়, কিচিরমিচির শব্দে মাতিয়ে রাখে পুরো এলাকা। বিজ্ঞানিরা ঠিক জানেন না, কীভাবে তারা এসব আকৃতি তৈরি করে।

পাখির ঝাঁক

পাখির ঝাঁক

তবে কেউ কেউ বলেন, এরা ইচ্ছে করে এমন করে না। বরং ঝাঁকের একটি পাখি তার নিকটবর্তী আরেকটির কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব তৈরি করে ওড়ে৷ তাতেই এমন আকৃতি তৈরি হয়। তা বলে এতোটা নিখুঁত?

যুক্তরাষ্ট্রের পাখি বিশেষজ্ঞ জাকারি স্ল্যাভিন বলেন, ঠিক যেন মাছের মতো। এই ঝাঁকের কোনো নেতা নেই। তবে তারা এমনভাবে থাকে যেন একসঙ্গে একটি গন্তব্যে পৌঁছায়। এদের একজন গতিপথ বদলালে এরা দ্রুত সেই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে।

স্টারলিং পাখি

স্টারলিং পাখি

সাধারণত শীত ও বর্ষায় স্টারলিংয়ের এমন ঝাঁক দেখা যায়। গ্রীষ্মের শেষ দিকে এই পাখিগুলোর প্রজনন প্রক্রিয়া শেষ হয়। এরপর বড় বড় ঝাঁকে এরা অভিযাত্রা শুরু করে। পরে শীতের শেষে অথবা বসন্তের শুরুতে এরা তাদের প্রজননস্থলে ফিরে আসে।

তবে প্রশ্ন হলো, কেন এরা এমন ঝাঁকে ঝাঁকে ঘুরে বেড়ায়? বিশ্লেষকদের মন্তব্য, পাখিগুলো দল বেঁধে ঘুরে বেড়ালে এদের হাজারো চোখে একসঙ্গে খাবার খোঁজা সহজ হয়। এতে একই খাবারের খোঁজে থাকা প্রাণিদের এ লড়াইয়ে পরাজিত করা সহজ হয়।

নানা আকৃতিতে ওড়ে তারা

নানা আকৃতিতে ওড়ে তারা

আরো একটি কারণে তারা দলবদ্ধ হয়ে চলে, তা হলো নিরাপত্তা। চিল, বাজপাখিদের হাত থেকে বাঁচতে এমন উপায় বেছে নিয়েছে তারা। বিশ্লেষকরা বলেন, তারা এমনভাবে ঘুরে যেন, বাজপাখিদের চোখে একেকটি পাখি আলাদা করে ধরা পড়া কঠিন হয়ে যায়।

এরা যে শুধু ইউরোপেই ঘোরাঘুরি করে তা নয়। এই পরিযায়ী পাখিগুলোর ওড়ার সীমানা উত্তর আফ্রিকা থেকে শুরু করে দক্ষিণ ইউরোপ, এমনকি পশ্চিম এশিয়া পর্যন্ত।