ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাভাবিক পদ্ধতিতেই ওজন কমিয়েছি

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ কঠিন সময় পার করছে গোটা বিশ্ব। কয়েক মাস ধরে মানুষ অনেকটা ঘরবন্দি অবস্থায় দিন যাপন করছে। এমন অবস্থায় বেশিরভাগ মানুষই তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুব বেশি নজর দিচ্ছেন না। এছাড়া অনেকে ওজন বাড়া নিয়ে চিন্তিত। তাদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারেন ভারতের রুপশিখা বোরাহ দেওরি। তিনি মা হওয়ার পর মোটা হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর ফিটনেস ঠিক করে গৃহিণী থেকে এখন বিকিনি অ্যাথলেট হিসেবে নাম লিখিয়েছেন। কাজ করেন ফিটনেস প্রশিক্ষক হিসেবেও।

৩৫ বছর বয়সি রুপশিখা দেওরি দুই সন্তানের মা। তার সর্বোচ্চ ওজন হয়েছিল ৯০ কেজি। মাত্রা সাত মাসে তিনি ৩৩ কেজি ওজন কমিয়ে ৫৮ কেজিতে এসেছেন। তার সেই ওজন কমানো যাত্রার বিষয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন রুপশিখা। ঢাকাটাইমস পাঠকদের জন্য রুপশিখার ওজন কমানোর গল্প তুলে ধরা হলো।

টার্নিং পয়েন্ট: আমার গর্ভাবস্থার আগে আমি মোটামুটি পাতলা ছিলাম। প্রথম গর্ভাবস্থার পরে আমার ২৫ কেজি ওজন বাড়ে। কিন্তু এই লড়াই বাস্তব হয়ে উঠল যখন দ্বিতীয় গর্ভাবস্থার পরে আমার ওজন বেড়ে দাঁড়াল ৯০ কেজি। ওজন অনেক বেড়ে যাওয়ায় পিঠে ও কাঁধে ব্যথা শুরু হয়। এর ফলে আমার বাচ্চাদের বহন করা এবং ঘরের কাজ করা অত্যন্ত কঠিন করে তুলেছিল।

তবে আরেকটি বিষয় হলো মানুষ এটা নিয়ে ঠাট্টা করতো এবং বিভিন্ন কথা শুনাতো। এরপরই আমি সিদ্ধান্ত নিই যে ওজন কমাতে আমি ক্রাশ ডায়েটিং শুরু করবো। তারপর ক্রাশ ডায়েটিংয়ের ফলে আমার মেজাজ বিগড়ে থাকতো। পরে বুঝতে পারি যে ক্রাশ ডায়েটিং ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর উপায় নয়। তারপর সেটি বাদ দিয়ে বৈজ্ঞানিক তথ্য পড়া শুরু করি এবং স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমানোর চেষ্টা করি। যার ফলাফল আমি পেয়েছি।

অনুপ্রেরণার চেয়ে আমি শৃঙ্খলা ও আন্তরিকতার ওপর নির্ভর করি। কারণ এমন দিন আসবে যখন আপনি আপনার বিছানা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যথেষ্ট অনুপ্রাণিত হবেন না এবং সেই দিনগুলিতে শৃঙ্খলা আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

খাবার:

সকালের নাস্তা: ওটস, কলা, ডিমের সাদা অংশ অলিভ ওয়েল দিয়ে রান্না করে খাই।

দুপুরের খাবার: মুরগির পাজর, সাদা ভাত (বাশমতি), সবুজ শাকসবজি।

রাতের খাবার: সবুজ শাকসবজির সঙ্গে মাছ, বাদাম।

মাঝে মাঝে আমি মিষ্টি খাই কিন্তু ব্যায়াম দিয়ে আমি তা পূরণ করি।

ওয়ার্কআউট শিডিউল: খালি পেটে এক ঘণ্টা কার্ডিও এবং দেড় ঘণ্টা শক্তি প্রশিক্ষণ বা এক ঘণ্টা এইচআইআইটি করি। এবং আমি যখন শো এর জন্য প্রস্তুতি নেই তখন দুই ঘণ্টা কার্ডিও এবং দেড় ঘণ্টা শক্তি প্রশিক্ষণ নিই।

ওজন কমানোর জন্য যারা চেষ্টা করছেন তাদের বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা অনলাইনে যেসব ডায়েট দেখি তা বেশিরভাগই পশ্চিমা খাবারের ওপর ভিত্তি করে। এই ডায়েট বজায় রাখা অত্যন্ত কঠিন। তাই আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে মিলিয়ে আমাদের খাবারগুলো থেকেই ডায়েট চার্ট তৈরি করুন। যদি জাঙ্ক ফুড না হয় তাহলে যেসব খাবার নিয়মিত খান সেটিই রাখার চেষ্টা করুন। আর ব্যায়াম করুন। মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে চেষ্টা করলে অবশ্যই সফলতা মিলবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

স্বাভাবিক পদ্ধতিতেই ওজন কমিয়েছি

আপডেট টাইম : ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ কঠিন সময় পার করছে গোটা বিশ্ব। কয়েক মাস ধরে মানুষ অনেকটা ঘরবন্দি অবস্থায় দিন যাপন করছে। এমন অবস্থায় বেশিরভাগ মানুষই তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুব বেশি নজর দিচ্ছেন না। এছাড়া অনেকে ওজন বাড়া নিয়ে চিন্তিত। তাদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারেন ভারতের রুপশিখা বোরাহ দেওরি। তিনি মা হওয়ার পর মোটা হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর ফিটনেস ঠিক করে গৃহিণী থেকে এখন বিকিনি অ্যাথলেট হিসেবে নাম লিখিয়েছেন। কাজ করেন ফিটনেস প্রশিক্ষক হিসেবেও।

৩৫ বছর বয়সি রুপশিখা দেওরি দুই সন্তানের মা। তার সর্বোচ্চ ওজন হয়েছিল ৯০ কেজি। মাত্রা সাত মাসে তিনি ৩৩ কেজি ওজন কমিয়ে ৫৮ কেজিতে এসেছেন। তার সেই ওজন কমানো যাত্রার বিষয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন রুপশিখা। ঢাকাটাইমস পাঠকদের জন্য রুপশিখার ওজন কমানোর গল্প তুলে ধরা হলো।

টার্নিং পয়েন্ট: আমার গর্ভাবস্থার আগে আমি মোটামুটি পাতলা ছিলাম। প্রথম গর্ভাবস্থার পরে আমার ২৫ কেজি ওজন বাড়ে। কিন্তু এই লড়াই বাস্তব হয়ে উঠল যখন দ্বিতীয় গর্ভাবস্থার পরে আমার ওজন বেড়ে দাঁড়াল ৯০ কেজি। ওজন অনেক বেড়ে যাওয়ায় পিঠে ও কাঁধে ব্যথা শুরু হয়। এর ফলে আমার বাচ্চাদের বহন করা এবং ঘরের কাজ করা অত্যন্ত কঠিন করে তুলেছিল।

তবে আরেকটি বিষয় হলো মানুষ এটা নিয়ে ঠাট্টা করতো এবং বিভিন্ন কথা শুনাতো। এরপরই আমি সিদ্ধান্ত নিই যে ওজন কমাতে আমি ক্রাশ ডায়েটিং শুরু করবো। তারপর ক্রাশ ডায়েটিংয়ের ফলে আমার মেজাজ বিগড়ে থাকতো। পরে বুঝতে পারি যে ক্রাশ ডায়েটিং ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর উপায় নয়। তারপর সেটি বাদ দিয়ে বৈজ্ঞানিক তথ্য পড়া শুরু করি এবং স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমানোর চেষ্টা করি। যার ফলাফল আমি পেয়েছি।

অনুপ্রেরণার চেয়ে আমি শৃঙ্খলা ও আন্তরিকতার ওপর নির্ভর করি। কারণ এমন দিন আসবে যখন আপনি আপনার বিছানা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যথেষ্ট অনুপ্রাণিত হবেন না এবং সেই দিনগুলিতে শৃঙ্খলা আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

খাবার:

সকালের নাস্তা: ওটস, কলা, ডিমের সাদা অংশ অলিভ ওয়েল দিয়ে রান্না করে খাই।

দুপুরের খাবার: মুরগির পাজর, সাদা ভাত (বাশমতি), সবুজ শাকসবজি।

রাতের খাবার: সবুজ শাকসবজির সঙ্গে মাছ, বাদাম।

মাঝে মাঝে আমি মিষ্টি খাই কিন্তু ব্যায়াম দিয়ে আমি তা পূরণ করি।

ওয়ার্কআউট শিডিউল: খালি পেটে এক ঘণ্টা কার্ডিও এবং দেড় ঘণ্টা শক্তি প্রশিক্ষণ বা এক ঘণ্টা এইচআইআইটি করি। এবং আমি যখন শো এর জন্য প্রস্তুতি নেই তখন দুই ঘণ্টা কার্ডিও এবং দেড় ঘণ্টা শক্তি প্রশিক্ষণ নিই।

ওজন কমানোর জন্য যারা চেষ্টা করছেন তাদের বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা অনলাইনে যেসব ডায়েট দেখি তা বেশিরভাগই পশ্চিমা খাবারের ওপর ভিত্তি করে। এই ডায়েট বজায় রাখা অত্যন্ত কঠিন। তাই আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে মিলিয়ে আমাদের খাবারগুলো থেকেই ডায়েট চার্ট তৈরি করুন। যদি জাঙ্ক ফুড না হয় তাহলে যেসব খাবার নিয়মিত খান সেটিই রাখার চেষ্টা করুন। আর ব্যায়াম করুন। মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে চেষ্টা করলে অবশ্যই সফলতা মিলবে।