বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ নুসাইবা ছোটবেলা থেকেই সবার সামনে কোরআন তেলাওয়াত করেন। বর্তমানে তিনি নারী কোরআন তেলাওয়াতকারী হিসেবে বেশ গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। কোরআন শিক্ষা ও তেলাওয়াতে তিনি অন্যদের জন্য পথপ্রদর্শক।
নুসাইবা জানান, ছোট থেকেই আমি কোরআন তেলাওয়াত করতে ভালোবাসি। আমি নিজের আগ্রহে কোমল কণ্ঠে তেলাওয়াত করার চেষ্টা করি এখনো।
কোরআন তেলাওয়াতের একটা সুন্দর সুর প্রয়োজন হয়। যা আমাদের নবী করিম (স.) ঠিক করে দিয়েছেন। তিনি সবসময়ই সবাইকে উপদেশ দিয়েছেন, যাতে সবাই সুন্দর করে কোরআন তেলাওয়াত করে।
বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা প্রার্থনার অংশ হিসেবে কোরআন তেলাওয়াত করেন। অনেকেই জনসম্মুখে কোরআন তেলাওয়াত করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই পুরুষ।
ইন্দোনেশিয়া ও মালোয়েশিয়ায় নারীদের কোরআন তেলাওয়াতে উৎসাহ দেয়া হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই পুরুষদের সামনে নারীদের কোরআন তেলাওয়াতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে নারী তেলাওয়াতকারীদেরকে স্বীকৃতি দেয়া হয় না।
তবে এই প্রথা ভাঙ্গার চেষ্টা করছেন নারীরাও। তারা মনে করছেন, নারীদের তেলাওয়াত করার রীতি ‘ইসলামে অনেক আগে থেকেই প্রচলিত’।
মরিয়ম নামের এক নারী কোরআন তেলাওয়াতকারী বলেন, একটা সময় ভাবতাম আমার কণ্ঠ পুরুষেরা শুনলে তাতে তো আমার পাপ হবে। তবে শেখ মোহেব আমাকে একদিন বললেন, মরিয়ম তুমি জানো ইসলামের ইতিহাসে অনেক নারী তেলাওয়াতকারী আছেন।
তুমি কি তাদের ইতিহাস জানো না! তুমি জানো কত নারী পুরুষদেরকে কোরআন তেলাওয়াত শিখিয়েছেন? এক কথায় নারী তেলওয়তকারীরা ইসলামের ইতিহাসের অংশ।
ইনস্টগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমানে মরিয়মের মতো নারী কোরআন তেলাওয়াতকারীর সংখ্যা বাড়ছে। তারা এটাকে আরো দৃশ্যমান করে তুলছেন। নানা সংস্কৃতির আচরণ নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
আন্দালাস ইস্টিটিউটের মদিনাহ জাভেদ বলেন, হ্যাশট্যাগ ফিমেলরিসাইটার্স দিয়ে তারা ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন। শব্দের যে দর্শন সেটা আরো সমৃদ্ধ করছে নারীদের কোরআন তেলাওয়াত।
যদিও সব নারীরা কোরআন তেলাওয়াত করেন না। অনেকে দক্ষ নন আবার অনেকেই পান লজ্জা। আবার অনেকেই আত্মবিশ্বাসী নন। যারা শুরু করেছেন, দক্ষ বা শুরু করতে চান সবার জন্য আমি একটা নিরাপদ আশ্রয় হতে চাই।
সূত্র: বিবিসি