বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ করোনা আবহে সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে কাজের চাপ আর একদিকে চলমান জীবনযাত্রায় সবার মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত। সেই সঙ্গে মেজাজ খিটখিটে। কারোর সঙ্গেই ভালো করতে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। পরিচিতজনদের সঙ্গে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখা মুশকিলের হয়ে যাচ্ছে। ভুল বোঝাবুঝি বাড়ছে। রাগের মাথায় কখন কি বলছেন বা করছেন কিছুই খেয়াল থাকছে না। এর ফলে আপনার নিজেরও শরীর খারাপ হচ্ছে. যা আপনি বুঝতেই পারছেন না।
মানসিক চাপ থাকলেই বাড়বে রক্তচাপ, আসবে ডায়াবেটিসের মতো সমস্যাও। খাবার থেকেই আমরা প্রয়োজনীয় শক্তি পাই। শরীর ভালো রাখতেই খাওয়া। আর তাই এমন কিছু খাবার আছে, যা অবসাদকে বাড়িয়ে তোলে তেমনই অনেক খাবার আছে যা মনকে খুব তাড়াতাড়ি ভালো করে দিতে পারে। মন ভালো থাকলে কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই দেখে নিন ঠিক কোন কোন খাবারে আপনার মন আর শরীর দুই থাকবে সুস্থ।
মন ভালো রাখতে চকলেটের জুড়ি মেলা ভার। আর তাই অবশ্যই খাদ্য তালিকায় রাখুন চকলেট। তবে মিল্ক চকলেট একেবারেই নয়। ডার্ক চকলেট খান। যদি ড্রাই ফ্রুটস দেওয়া ডার্ক চকলেট হয় তাহলে আরও ভালো। আসলে চকলেট খেলে এন্ডোমরফিন হরমোন নিঃসরণ হয়, যা মনকে ভালো করে তোলে।
ডিম
ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। এছাড়াও ডিম খেলে ওজন কমে। এনার্জি বাড়ে। ডিম পুষ্টিতে ভরপুর। ক্লান্তি কাটাতে অবশ্যই ডিম খান। সেই সঙ্গে উদ্বেগও কমায়।
চিকেন
চিকেন ভালোবাসেন না, এরকম মানুষ বোধহয় খুবই কম। চিকেনে রয়েছে এমন উপাদান যা মনকে খুব সহজেই ভালো করে দিতে পারে। এছাড়াও চিকেনে থাকে প্রোটিন, ফ্যাট। আর তাই যদি চিকেনের কোনও কিছু প্রতিদিন খাওয়া যায় তাহলে শরীরও থাকবে সুস্থ, মনও ভালো থাকবে। প্রতিদিন চিকেন খেলে ১০০ গ্রাম এর বেশি কোনওভাবেই খাবেন না।
কমলালেবু
কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। সেই সঙ্গে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও থাকে ক্যারটিনয়েড ও ফ্ল্যাভোনয়েড। যা শরীর সহজে গ্রহণ করতে পারে। অর্থৎ মন খুব ভালো করতে পারে। আর তাই কমলালেবুর রস করে খেতে পারলে খুব ভালো। রস করলে অবশ্যই তা চিনি ও পানি ছাড়া খাবেন।
টমেটো
টমেটোর মধ্যে থাকা লাইকোপেন মন ভালো করে। এছাড়াও আছে ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন যা মন ভালো করার অনুঘটক। তাই টমেটোর সস দিয়ে যেকোনও খাবার, কিংবা শেষ পাতে টমেটোর চাটনি এত মন ভালো করে দেয়।
ফল ও শাকসবজি
স্বাস্থ্যকর তো অবশ্যই। পাশাপাশি ফল ও সবজি মন ভালো রাখতেও সাহায্য করে। ফলের তৈরি পাই, স্মুদি, আইসক্রিম ইত্যাদি মানসিক অবস্থা উন্নতির জন্য দারুণ উপকারী। পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজিও মানসিক অবস্থা ভালো করতে সাহায্য করে। ফল ও সবজিতে রয়েছে ফাইটোকেমিকল, ভিটামিন সি এবং প্রোটিন, যা মন ভালো করতে সাহায্য করে।
মধু
উদ্বেগ, মনখারাপ নিমেষের মধ্যে সারিয়ে দেয় মধু। মন ভালো রাখতে মধুর থেকে ভালো আর কিছু হয় না। সেই সঙ্গে হজমও হয়। এছাড়াও মধুর অনেক গুণ রয়েছে। তাই প্যানকেকে মধু ছড়িয়ে কিংবা গ্রিন টি-তে সামান্য মধু মিশিয়ে খাওয়ার কথা বলা হয়।