ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস এসেছে যেভাবে

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস’ আজ। প্রতিবছর ৩১ অক্টোবর এই দিবসটি পালন করা হয়। মিতব্যয়ি হওয়ার আহবান জানানোর মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। প্রতিবছর এই দিনে পরিবার ও জাতির কল্যাণে সকলকে মিত্যব্যয়ি হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়।

১৯২৪ সালে ‘মিলানে’ অনুষ্ঠিত বিশ্বের বিভিন্ন সঞ্চয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের প্রথম বিশ্ব কংগ্রেসে গৃহীত এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দিবসটি পালন শুরু হয়। সেই থেকে সঞ্চয় ব্যাংক সমূহ আন্তর্জাতিক  ভাবে দিবসটি পালন করে আসছে।

মূলত  মিতব্যয় ও সঞ্চয়ের গুরুত্ব সর্ম্পকে জনগণের মনোযোগ আর্কষণ করার উদ্দেশ্যে নিয়ে এই দিবসটি পালন করা হয়। বাংলাদেশেও সরকারিভাবে প্রতি বছর দিবসটি পালিত হয় এবং জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তর এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। দিবসটি উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী-সামজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মিতব্যয়িতা মানে হলো ব্যয়ের ক্ষেত্রে সংযম বা আয় বুঝে ব্যয়। ব্যয়ের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বনও মিতব্যয়িতার অর্থ। প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১৩০ কোটি টন খাদ্য নষ্ট হয়, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ লাখ কোটি টাকা। অথচ বিশ্বে প্রতিদিন ১৭ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন কাটায়। সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষ অপচয় করে কোটি কোটি টাকার খাবার। আর এর মাশুল দিতে হয় পথের পাশের মানুষগুলোকে। তাই আসুন আমরা সকলেই ব্যয়ের ক্ষেত্রে অপব্যয় পরিহার করি।

অপচয়কারীরা নিজের জন্য তো নয়ই, বরং সমাজ, পরিবার ও জাতির জন্যও কিছু করতে পারে না। বিজ্ঞানী ফ্রাকলিনের এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ছোট ছোট ব্যয় সমদ্ধে সাবধান হও। একটি ছোট ছিদ্র মস্তো বড় জাহাজকে ডুবিয়ে দিতে পারে’। উল্লেখ্য, সঞ্চয়ের জন্য ধনী হওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রত্যেক মানুষের একটি সুন্দর জীবনের স্বপ্ন থাকে। এই স্বপ্ন থেকেই জন্ম নেয় প্রত্যয়। দৃঢ় প্রত্যয় থেকেই গড়ে ওঠে সঞ্চয়ের প্রবনতা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস এসেছে যেভাবে

আপডেট টাইম : ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস’ আজ। প্রতিবছর ৩১ অক্টোবর এই দিবসটি পালন করা হয়। মিতব্যয়ি হওয়ার আহবান জানানোর মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। প্রতিবছর এই দিনে পরিবার ও জাতির কল্যাণে সকলকে মিত্যব্যয়ি হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়।

১৯২৪ সালে ‘মিলানে’ অনুষ্ঠিত বিশ্বের বিভিন্ন সঞ্চয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের প্রথম বিশ্ব কংগ্রেসে গৃহীত এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দিবসটি পালন শুরু হয়। সেই থেকে সঞ্চয় ব্যাংক সমূহ আন্তর্জাতিক  ভাবে দিবসটি পালন করে আসছে।

মূলত  মিতব্যয় ও সঞ্চয়ের গুরুত্ব সর্ম্পকে জনগণের মনোযোগ আর্কষণ করার উদ্দেশ্যে নিয়ে এই দিবসটি পালন করা হয়। বাংলাদেশেও সরকারিভাবে প্রতি বছর দিবসটি পালিত হয় এবং জাতীয় সঞ্চয় পরিদপ্তর এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। দিবসটি উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী-সামজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মিতব্যয়িতা মানে হলো ব্যয়ের ক্ষেত্রে সংযম বা আয় বুঝে ব্যয়। ব্যয়ের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বনও মিতব্যয়িতার অর্থ। প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১৩০ কোটি টন খাদ্য নষ্ট হয়, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ লাখ কোটি টাকা। অথচ বিশ্বে প্রতিদিন ১৭ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন কাটায়। সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষ অপচয় করে কোটি কোটি টাকার খাবার। আর এর মাশুল দিতে হয় পথের পাশের মানুষগুলোকে। তাই আসুন আমরা সকলেই ব্যয়ের ক্ষেত্রে অপব্যয় পরিহার করি।

অপচয়কারীরা নিজের জন্য তো নয়ই, বরং সমাজ, পরিবার ও জাতির জন্যও কিছু করতে পারে না। বিজ্ঞানী ফ্রাকলিনের এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ছোট ছোট ব্যয় সমদ্ধে সাবধান হও। একটি ছোট ছিদ্র মস্তো বড় জাহাজকে ডুবিয়ে দিতে পারে’। উল্লেখ্য, সঞ্চয়ের জন্য ধনী হওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রত্যেক মানুষের একটি সুন্দর জীবনের স্বপ্ন থাকে। এই স্বপ্ন থেকেই জন্ম নেয় প্রত্যয়। দৃঢ় প্রত্যয় থেকেই গড়ে ওঠে সঞ্চয়ের প্রবনতা।