ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদীতে মিলছে সোনার গয়না

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সোনার গয়না ভেসে আসছে নদীতে। এমন খবরে ভেনেজুয়েলার মৎস্যজীবী প্রধান গ্রাম গুয়াসা এখন নেট দুনিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রে। গ্রামের মানুষেরাও দাঁড়িয়ে আছেন নদীর পানিতে, যদি ভাগ্যে জোটে সোনার গয়না।

২৫ বছরের ইয়োলম্যান লারেস সম্প্রতি একদিন এই গ্রামের নদী থেকে হঠাৎই কুড়িয়ে পান একটি সোনার হার। সেখানে একটি মেডেলের মতো বস্তুও ছিল। যেটিতে মাতা মেরির ছবি খোদাই করা ছিল। সবচেয়ে বড় কথা এই হারটি সম্পূর্ণ সোনার তৈরি।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে লারেস বলেন, আনন্দে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। তারপর সেই সংবাদ প্রকাশিত হতেই হুলস্থূল পড়ে যায় গ্রামে। গ্রামের মানুষেরা নদীর ধারে এসে সোনার গয়না সন্ধান শুরু করেন।

গ্রামটির অনেকেই দাবি করেছেন, শেষ কয়েক মাসে তারা একাধিক সোনার গয়না পেয়েছেন। সেগুলি বহুমূল্যে দোকানে বিক্রি করেছেন তারা। সংখ্যার হিসেবে এখনও প্রায় ২ হাজার গ্রামবাসী এই ‘স্বর্ণ সন্ধান’-এ অংশ নিয়েছেন। একজন বলেছেন, একটি গয়না তিনি বিক্রি করেছেন প্রায় দেড় হাজার আমেরিকান ডলারে।

এখনও পর্যন্ত কেউ বুঝতে পারেননি কোত্থেকে এই সোনা আসছে। তবে করোনা সংক্রমণের মধ্যে যখন অনেক দেশের মতো ভেনেজুয়েলাও আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে, তখন এভাবে সোনা-রুপা হাতে পেয়ে গ্রামবাসী যেন আনন্দে আত্মহারা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

নদীতে মিলছে সোনার গয়না

আপডেট টাইম : ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ সোনার গয়না ভেসে আসছে নদীতে। এমন খবরে ভেনেজুয়েলার মৎস্যজীবী প্রধান গ্রাম গুয়াসা এখন নেট দুনিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রে। গ্রামের মানুষেরাও দাঁড়িয়ে আছেন নদীর পানিতে, যদি ভাগ্যে জোটে সোনার গয়না।

২৫ বছরের ইয়োলম্যান লারেস সম্প্রতি একদিন এই গ্রামের নদী থেকে হঠাৎই কুড়িয়ে পান একটি সোনার হার। সেখানে একটি মেডেলের মতো বস্তুও ছিল। যেটিতে মাতা মেরির ছবি খোদাই করা ছিল। সবচেয়ে বড় কথা এই হারটি সম্পূর্ণ সোনার তৈরি।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে লারেস বলেন, আনন্দে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। তারপর সেই সংবাদ প্রকাশিত হতেই হুলস্থূল পড়ে যায় গ্রামে। গ্রামের মানুষেরা নদীর ধারে এসে সোনার গয়না সন্ধান শুরু করেন।

গ্রামটির অনেকেই দাবি করেছেন, শেষ কয়েক মাসে তারা একাধিক সোনার গয়না পেয়েছেন। সেগুলি বহুমূল্যে দোকানে বিক্রি করেছেন তারা। সংখ্যার হিসেবে এখনও প্রায় ২ হাজার গ্রামবাসী এই ‘স্বর্ণ সন্ধান’-এ অংশ নিয়েছেন। একজন বলেছেন, একটি গয়না তিনি বিক্রি করেছেন প্রায় দেড় হাজার আমেরিকান ডলারে।

এখনও পর্যন্ত কেউ বুঝতে পারেননি কোত্থেকে এই সোনা আসছে। তবে করোনা সংক্রমণের মধ্যে যখন অনেক দেশের মতো ভেনেজুয়েলাও আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে, তখন এভাবে সোনা-রুপা হাতে পেয়ে গ্রামবাসী যেন আনন্দে আত্মহারা।