ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতকালে ম্যাজিকের মতো কাজ করে আমলকী

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ শীতকালে শরীরের যত্নে শুধু ক্রিম, তেল, বাহ্যিকভাবে মাখলেই হবে না, পুষ্টিকর প্রয়োজনীয় খাবার খেতে হবে। শীতকালে প্রতিদিন দুটো করে আমলকি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদে আমলকীর ব্যবহার রয়েছে অনেক বেশি।

ভেষজ যত ফল রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে উপরেই আছে এই ছোট্ট ফলটি। চুলের জেল্লা বৃদ্ধি, রুক্ষতা কমানো, ত্বকের উজ্জ্বলতা, পেটের গোলযোগ দূর, শরীর চাঙ্গা এমন হাজারও সমস্যার সমাধান করে আমলকী। সকালে কাঁচা আমলকি, বা ভাতে সিদ্ধ করে আমলকি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

১০০ গ্রাম আমলকীতে ভিটামিন সি আছে ৪৬৩ মিলিগ্রাম। আমলকীতে পেয়ারার তিন গুণ ও কাগজি লেবুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। এ ছাড়া কমলার চেয়ে ১৫, আপেলের চেয়ে ১২০, আমের চেয়ে ২৪ ও কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে এতে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আমলকী। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান থাকার জন্য বিপাকের হার বাড়ে। ভাইরাল এবং ব্যাক্টেরিয়াল আক্রমণের জন্য সর্দি কাশি থেকে শরীর রক্ষা করতে সাহায্য করে।

নিয়মিত আমলকী খেলে ত্বক সুস্থ থাকে। নানা রকমের চর্মরোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়াও এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে আমলকি খুবই উপকারী। এছাড়া চোখ লাল হওয়া, চুলকানো ও চোখ দিয়ে পানি পড়া রোধেও আমলকি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ক্রোমিয়াম থাকায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ওষুধের পাশাপাশি রোজ দুটো করে আমলকী ডায়েটে রাখতে পারেন।

আমলকী শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে ব্যাথা বেদনা কমিয়ে দেয়। এক গ্লাস পানিতে দু চামচ আমলকী বেটে, দু’চামচ মধু দিয়ে খেলে সর্দি কাশিতে খুব আরাম হয়। এছাড়া দেহের অতিরিক্ত মেদ দূর করতে আমলকী বেশ কার্যকরী।

আমলকীতে ভিটামিন সি ও অ্যামিনো অ্যাসিড যা চুল পড়া কমানোর পাশাপাশি বাড়ায় চুলের বৃদ্ধি। খুশকি দূর করতেও এর জুড়ি নেই। চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্য মজবুত রাখে আমলকী।

আয়ুবের্দিক হেয়ার টনিক হিসবে আমলকীর জুড়ি নেই। অকালপক্কতা দূর করে নতুন চুল গজাতে এটি বেশ কার্যকর। এক্ষেত্রে আধা কাপ আমলকীর সঙ্গে ১ কাপ পানি ও ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে একঘণ্টা রেখে দিন। তারপর চুল শ্যাম্পু করে দ্রবণটি দিয়ে ধুয়ে নিন। ৫ মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে।

চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ১ টেবিল চামচ আমলকীর সঙ্গে ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার পেস্টটি ভেজা চুলে ম্যাসাজ করুন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুল হয়ে ওঠবে ঝলমলে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

শীতকালে ম্যাজিকের মতো কাজ করে আমলকী

আপডেট টাইম : ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ শীতকালে শরীরের যত্নে শুধু ক্রিম, তেল, বাহ্যিকভাবে মাখলেই হবে না, পুষ্টিকর প্রয়োজনীয় খাবার খেতে হবে। শীতকালে প্রতিদিন দুটো করে আমলকি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদে আমলকীর ব্যবহার রয়েছে অনেক বেশি।

ভেষজ যত ফল রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে উপরেই আছে এই ছোট্ট ফলটি। চুলের জেল্লা বৃদ্ধি, রুক্ষতা কমানো, ত্বকের উজ্জ্বলতা, পেটের গোলযোগ দূর, শরীর চাঙ্গা এমন হাজারও সমস্যার সমাধান করে আমলকী। সকালে কাঁচা আমলকি, বা ভাতে সিদ্ধ করে আমলকি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

১০০ গ্রাম আমলকীতে ভিটামিন সি আছে ৪৬৩ মিলিগ্রাম। আমলকীতে পেয়ারার তিন গুণ ও কাগজি লেবুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। এ ছাড়া কমলার চেয়ে ১৫, আপেলের চেয়ে ১২০, আমের চেয়ে ২৪ ও কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে এতে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আমলকী। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান থাকার জন্য বিপাকের হার বাড়ে। ভাইরাল এবং ব্যাক্টেরিয়াল আক্রমণের জন্য সর্দি কাশি থেকে শরীর রক্ষা করতে সাহায্য করে।

নিয়মিত আমলকী খেলে ত্বক সুস্থ থাকে। নানা রকমের চর্মরোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়াও এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে আমলকি খুবই উপকারী। এছাড়া চোখ লাল হওয়া, চুলকানো ও চোখ দিয়ে পানি পড়া রোধেও আমলকি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ক্রোমিয়াম থাকায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ওষুধের পাশাপাশি রোজ দুটো করে আমলকী ডায়েটে রাখতে পারেন।

আমলকী শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে ব্যাথা বেদনা কমিয়ে দেয়। এক গ্লাস পানিতে দু চামচ আমলকী বেটে, দু’চামচ মধু দিয়ে খেলে সর্দি কাশিতে খুব আরাম হয়। এছাড়া দেহের অতিরিক্ত মেদ দূর করতে আমলকী বেশ কার্যকরী।

আমলকীতে ভিটামিন সি ও অ্যামিনো অ্যাসিড যা চুল পড়া কমানোর পাশাপাশি বাড়ায় চুলের বৃদ্ধি। খুশকি দূর করতেও এর জুড়ি নেই। চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্য মজবুত রাখে আমলকী।

আয়ুবের্দিক হেয়ার টনিক হিসবে আমলকীর জুড়ি নেই। অকালপক্কতা দূর করে নতুন চুল গজাতে এটি বেশ কার্যকর। এক্ষেত্রে আধা কাপ আমলকীর সঙ্গে ১ কাপ পানি ও ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে একঘণ্টা রেখে দিন। তারপর চুল শ্যাম্পু করে দ্রবণটি দিয়ে ধুয়ে নিন। ৫ মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে।

চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ১ টেবিল চামচ আমলকীর সঙ্গে ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার পেস্টটি ভেজা চুলে ম্যাসাজ করুন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুল হয়ে ওঠবে ঝলমলে।