ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাঁচায় মাছ চাষে ঘুচল অভাব

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নিরাপদ ও লাভজনক হওয়ায় সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নদ-নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে অর্ধশতাধিক যুবক স্বাবলম্বী হয়েছেন। দিন বদল করে অভাবের সংসারে এনেছেন সচ্ছলতা।

জানা গেছে, জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ফুলজোড় নদী ও উল্লাপাড়া উপজেলায় করতোয়া নদীর বিভিন্ন স্থানে খাঁচায় মাছ চাষ হচ্ছে। উল্লাপাড়া উপজেলার চর ঘাটিনা গ্রামের মাছ চাষি ফজলুল হকসহ অনেকেই জানান, ২০১৫ সালে টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেলে খাঁচায় মাছ চাষের প্রতিবেদন ও উৎপাদনের পদ্ধতি দেখে এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহ দেখা দেয় তাদের। ফজলুল হক এবিষয়ে খোঁজ খবর নেয়ার জন্য উল্লাপাড়া উপজেলা মৎস্য অফিসে যান। তার আগ্রহের কথা জানালে তৎকালীন মৎস্য কর্মকর্তা তাকে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ রাজশাহীর সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ড. মোঃ ইমামুল আহসানের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে তিনি সেখানে যান এবং তার পরামর্শে ২০১৫ সালের শেষ দিকে ২০টি খাঁচা নিয়ে তার বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীতে মনোসেট তেলাপিয়া মাছের চাষ শুরু করেন।

খাঁচায় মাছ চাষে প্রথম বছরেই তিনি লাভবান হন। এতে তার উৎসাহ আরও বেড়ে যায়। বর্তমানে তার খাঁচার সংখ্যা ৩২টি। এ বছর তার ৩২টি খাঁচায় সাড়ে ৪০০ কেজি মাছ চাষ করেছেন। তিনি আরো জানান, এ পর্যন্ত তার খাঁচায় মাছ চাষে প্রায় ৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যেই তিনি প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন এবং চলতি বছরে শেষ দিকে আরো ৪ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন। এদিকে তার এ পদ্ধতির মাছ চাষ ও সফলতা দেখে স্থানীয় বেকার যুবকরাও খাঁচাষ মাছ চাষে ঝুকে পড়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

খাঁচায় মাছ চাষে ঘুচল অভাব

আপডেট টাইম : ০১:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নিরাপদ ও লাভজনক হওয়ায় সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নদ-নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে অর্ধশতাধিক যুবক স্বাবলম্বী হয়েছেন। দিন বদল করে অভাবের সংসারে এনেছেন সচ্ছলতা।

জানা গেছে, জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ফুলজোড় নদী ও উল্লাপাড়া উপজেলায় করতোয়া নদীর বিভিন্ন স্থানে খাঁচায় মাছ চাষ হচ্ছে। উল্লাপাড়া উপজেলার চর ঘাটিনা গ্রামের মাছ চাষি ফজলুল হকসহ অনেকেই জানান, ২০১৫ সালে টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেলে খাঁচায় মাছ চাষের প্রতিবেদন ও উৎপাদনের পদ্ধতি দেখে এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহ দেখা দেয় তাদের। ফজলুল হক এবিষয়ে খোঁজ খবর নেয়ার জন্য উল্লাপাড়া উপজেলা মৎস্য অফিসে যান। তার আগ্রহের কথা জানালে তৎকালীন মৎস্য কর্মকর্তা তাকে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ রাজশাহীর সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ড. মোঃ ইমামুল আহসানের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে তিনি সেখানে যান এবং তার পরামর্শে ২০১৫ সালের শেষ দিকে ২০টি খাঁচা নিয়ে তার বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীতে মনোসেট তেলাপিয়া মাছের চাষ শুরু করেন।

খাঁচায় মাছ চাষে প্রথম বছরেই তিনি লাভবান হন। এতে তার উৎসাহ আরও বেড়ে যায়। বর্তমানে তার খাঁচার সংখ্যা ৩২টি। এ বছর তার ৩২টি খাঁচায় সাড়ে ৪০০ কেজি মাছ চাষ করেছেন। তিনি আরো জানান, এ পর্যন্ত তার খাঁচায় মাছ চাষে প্রায় ৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যেই তিনি প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন এবং চলতি বছরে শেষ দিকে আরো ৪ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন। এদিকে তার এ পদ্ধতির মাছ চাষ ও সফলতা দেখে স্থানীয় বেকার যুবকরাও খাঁচাষ মাছ চাষে ঝুকে পড়েছে।