ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশমিশ কেন খাবেন

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ শক্তি বা ক্যালরির চমৎকার উৎস কিশমিশ। নানা পদের মিষ্টান্ন রান্নায় এটি যুগযুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শুধু রান্না নয়, নানা ব্যবহার আছে কিশমিশের। যেমন ধরুন স্বাস্থ্যকর পানীয় বানাতে অথবা পর্বতারোহীদের জন্য শক্তিদায়ী নানা খাদ্যোপকরণ তৈরিতে কাজে লাগে এই প্রকৃতিক উপাদানটি। কিশমিশ নানা গুণে সমৃদ্ধ।
আসুন জেনে নেই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কেন রাখবেন কিশমিশ।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
কিশমিশ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দারুণ কাজ দেয়। কারণ কিশমিশের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং এই কারণেই পানির সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে কিশমিশ ফুলে ওঠে। এই ফাইবারই খাবার হজম করিয়ে তাকে বর্জ্যের আকারে শরীরের বাইরে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। তবে শুধুমাত্র কোষ্ঠকাঠিন্যে নয়, ডাইরিয়া বা আমাশয় রোগে আক্রান্ত রোগীদেরও সেরে উঠতে সাহায্য করে কিশমিশ।

ওজন বাড়াতে সাহায্য করে
আপনি কি খুবই রোগা? ওজন বাড়াতে চাইছেন? তাহলে নিয়ম করে কিশমিশ খান। কারণ কিশমিশের মধ্যে ফ্রক্টোজ এবং শর্করা রয়েছে। এককথায় ক্যালরিতে ঠাসা। তাই তো এই খাবারটি খেলোয়াড় এবং বডি বিল্ডারদের মেনুতে প্রতিদিন রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কারণ এদের প্রচুর পরিমাণে এনার্জির দরকার হয়, যা পূরণ করতে কিশমিশ সাহায্য করে। কিশমিশের মধ্যে নেই খারাপ কোলেস্টেরল। উল্টে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং মিনারেল।

ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায়
কিশমিশের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যাটেচিন্স থাকে, যা এক ধরণের পলিফেনলিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টটি শরীরের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ এবং রক্তে উপস্থিত ক্ষতিসাধনকারী ফ্রি-র‍্যাডিকালদের নষ্ট করে দিতে সাহায্য করে। এই ধরণের ফ্রি-র‍্যাডিকাল ক্যান্সারের কোষ বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। তাই তো প্রতিদিনের ডায়েটে নিয়ম করে কিশমিশ রাখা খুবই প্রয়োজনীয়।

হাইপারটেনশন কমায়
বহু বছর ধরেই এটা মানা হয় যে, কিশমিশ রক্তচাপ কমায় এবং হৃদরোগের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এই বিষয়ক আরও বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। জানা যাচ্ছে যে, কিশমিশ খেলে হাইপারটেনশন কমে যায়। যদিও কিভাবে এমনটা হয়, তা এখনও পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত হয়নি বা এই বিষয়ে কোনও সঠিক সিদ্ধান্তে আশা যায়নি। কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় এটি হাইপারটেনশন সহ হৃদরোগের সম্ভাবনা কমাতে পারে। এছাড়াও কিশমিশের মধ্যে উপস্থিত ফাইবার ধমনীর যত্নে দারুণ উপকারি ভূমিকা পালন করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
খাবার পর আমাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ খুব বেড়ে যায়। তাই প্রাকৃতিক নিয়মে এই সময় ইনসুলিনের ক্ষরণ বেড়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমতে শুরু করে। কিন্তু ইনসুলিন ঠিক মতো কাজ করতে না পারলে দেহে সুগারের মাত্রা বাড়তেই শুরু করে। আর এমনটা হলেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। সুগারের এই বাড়বাড়ন্ত রোধে কিশমিশ খুবই উপকারি। তাই তো সুগার রোগীদের কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

রক্তাল্পতা সারাতে সাহায্য করে
কিশমিশে রয়েছে আয়রন, যা রক্তাল্পতার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে নানা ধরনের ভিটামিন বি থাকায়, এটি রক্ত উৎপাদনেও সাহায্য করে। একইসঙ্গে এতে কপারের উপস্থিতি নতুন লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। এক কথায় রক্তের উৎপাদন বাড়াতে কিশমিশ সবদিক থেকে সাহায্য করে। চোখের যত্নে কিশমিশ কিশমিশ নানা উদ্ভিজ্জ পলিফেনলে সমৃদ্ধ। এরা আসলে অ্যান্টি-অক্সিডেণ্ট, যা রেটিনার ক্ষয়, বার্ধক্যজনিত দৃষ্টিহ্রাস, ছানি ইত্যাদি রোগের সম্ভাবনা কমিয়ে আনে।

রক্তের অম্লতা নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তের অম্লতা একটি মারাত্মক রোগ, যা থেকে আরও নানা সাঙ্ঘাতিক রোগের সৃষ্টি হতে পারে। যেমন, ত্বকের নানা রোগ, ফোস্কা, আভ্যন্তরীণ নানা অঙ্গের সমস্যা, আরথ্রাইটিস, বাত, মূত্রপাথুরি, চুল পড়া, হৃদ রোগ, টিউমার এমনকি ক্যান্সারও। কিশমিশে উপস্থিত পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তের অম্লতা কমিয়ে এসব জটিল রোগের আশঙ্কা কমায়।

যৌন অক্ষমতা দূর করে
প্রাচীন কাল থেকেই কামোত্তেজক হিসেবে কিশমিশ সুপরিচিত। এতে আরজিনিন নামের একটি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা ইরেক্টাইল ডিসফাংশনে দারুণ কাজ করে। এছাড়াও শুক্রাণুর সচলতা বাড়িয়ে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ায় আরজিনিন। সঙ্গে বাড়ায় যৌন ক্ষমতাও।

হাড় শক্ত করে
কিশমিশে থাকে ক্যালসিয়াম ও বোরন। সবাই জানেন ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে প্রধান উপাদান। আর বোরন ক্যালসিয়ামের আত্তীকরণ ও হাড় গঠনে কার্যকরী ভূমিকা নেয়। একটা বয়সের পর মেয়েদের ঋতু বন্ধ হওয়ার পরে যাতে অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে কিশমিশ। তাছাড়া এতে উপস্থিত পটাশিয়াম হাড় শক্ত করতে ও হাড়ের বৃদ্ধিতেও কাজ আসে।

দাঁতের জন্য উপকারি
কিশমিশে থাকা অলিয়ানলিক অ্যাসিড দাঁতের ক্ষয় আটকায়, দাঁতে ফুটো হওয়া ও দাঁত ভেঙে যাওয়া বন্ধ করে, সেই সঙ্গে দাঁতকে দেয় সব রকমের সুরক্ষা। মেরে ফেলে স্ত্রেপ্টোকক্কাস মিউটানস ও পরফাইরমোনাস জিঞ্জিভালিস নামের দুটি দাঁত ও মাড়ির জীবাণুকে। আর এর ক্যালসিয়াম দাঁতের এনামেলের ক্ষয় রোধ করে দাঁতকে করে তোলে কঠিন। শুনতে আশ্চর্য লাগতে পারে। কিন্তু এটা প্রমাণিত যে কিশমিশ খাওয়ার সময় দাঁতে লেগে গেলে তা আসলে দাঁতের পক্ষে ভালো। এতে থাকা অলিয়ানলিক অ্যাসিড যতক্ষন দাঁতের সংস্পর্শে থাকে, ততক্ষণ প্রত্যক্ষ ভাবে রোধ করে জীবাণুর আক্রমণ। আর এই কাজে সাহায্য করে সঙ্গে উপস্থিত বোরনও।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

কিশমিশ কেন খাবেন

আপডেট টাইম : ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ শক্তি বা ক্যালরির চমৎকার উৎস কিশমিশ। নানা পদের মিষ্টান্ন রান্নায় এটি যুগযুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শুধু রান্না নয়, নানা ব্যবহার আছে কিশমিশের। যেমন ধরুন স্বাস্থ্যকর পানীয় বানাতে অথবা পর্বতারোহীদের জন্য শক্তিদায়ী নানা খাদ্যোপকরণ তৈরিতে কাজে লাগে এই প্রকৃতিক উপাদানটি। কিশমিশ নানা গুণে সমৃদ্ধ।
আসুন জেনে নেই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কেন রাখবেন কিশমিশ।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
কিশমিশ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দারুণ কাজ দেয়। কারণ কিশমিশের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং এই কারণেই পানির সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে কিশমিশ ফুলে ওঠে। এই ফাইবারই খাবার হজম করিয়ে তাকে বর্জ্যের আকারে শরীরের বাইরে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। তবে শুধুমাত্র কোষ্ঠকাঠিন্যে নয়, ডাইরিয়া বা আমাশয় রোগে আক্রান্ত রোগীদেরও সেরে উঠতে সাহায্য করে কিশমিশ।

ওজন বাড়াতে সাহায্য করে
আপনি কি খুবই রোগা? ওজন বাড়াতে চাইছেন? তাহলে নিয়ম করে কিশমিশ খান। কারণ কিশমিশের মধ্যে ফ্রক্টোজ এবং শর্করা রয়েছে। এককথায় ক্যালরিতে ঠাসা। তাই তো এই খাবারটি খেলোয়াড় এবং বডি বিল্ডারদের মেনুতে প্রতিদিন রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কারণ এদের প্রচুর পরিমাণে এনার্জির দরকার হয়, যা পূরণ করতে কিশমিশ সাহায্য করে। কিশমিশের মধ্যে নেই খারাপ কোলেস্টেরল। উল্টে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং মিনারেল।

ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায়
কিশমিশের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যাটেচিন্স থাকে, যা এক ধরণের পলিফেনলিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টটি শরীরের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ এবং রক্তে উপস্থিত ক্ষতিসাধনকারী ফ্রি-র‍্যাডিকালদের নষ্ট করে দিতে সাহায্য করে। এই ধরণের ফ্রি-র‍্যাডিকাল ক্যান্সারের কোষ বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। তাই তো প্রতিদিনের ডায়েটে নিয়ম করে কিশমিশ রাখা খুবই প্রয়োজনীয়।

হাইপারটেনশন কমায়
বহু বছর ধরেই এটা মানা হয় যে, কিশমিশ রক্তচাপ কমায় এবং হৃদরোগের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এই বিষয়ক আরও বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। জানা যাচ্ছে যে, কিশমিশ খেলে হাইপারটেনশন কমে যায়। যদিও কিভাবে এমনটা হয়, তা এখনও পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত হয়নি বা এই বিষয়ে কোনও সঠিক সিদ্ধান্তে আশা যায়নি। কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় এটি হাইপারটেনশন সহ হৃদরোগের সম্ভাবনা কমাতে পারে। এছাড়াও কিশমিশের মধ্যে উপস্থিত ফাইবার ধমনীর যত্নে দারুণ উপকারি ভূমিকা পালন করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
খাবার পর আমাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ খুব বেড়ে যায়। তাই প্রাকৃতিক নিয়মে এই সময় ইনসুলিনের ক্ষরণ বেড়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমতে শুরু করে। কিন্তু ইনসুলিন ঠিক মতো কাজ করতে না পারলে দেহে সুগারের মাত্রা বাড়তেই শুরু করে। আর এমনটা হলেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। সুগারের এই বাড়বাড়ন্ত রোধে কিশমিশ খুবই উপকারি। তাই তো সুগার রোগীদের কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

রক্তাল্পতা সারাতে সাহায্য করে
কিশমিশে রয়েছে আয়রন, যা রক্তাল্পতার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে নানা ধরনের ভিটামিন বি থাকায়, এটি রক্ত উৎপাদনেও সাহায্য করে। একইসঙ্গে এতে কপারের উপস্থিতি নতুন লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। এক কথায় রক্তের উৎপাদন বাড়াতে কিশমিশ সবদিক থেকে সাহায্য করে। চোখের যত্নে কিশমিশ কিশমিশ নানা উদ্ভিজ্জ পলিফেনলে সমৃদ্ধ। এরা আসলে অ্যান্টি-অক্সিডেণ্ট, যা রেটিনার ক্ষয়, বার্ধক্যজনিত দৃষ্টিহ্রাস, ছানি ইত্যাদি রোগের সম্ভাবনা কমিয়ে আনে।

রক্তের অম্লতা নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তের অম্লতা একটি মারাত্মক রোগ, যা থেকে আরও নানা সাঙ্ঘাতিক রোগের সৃষ্টি হতে পারে। যেমন, ত্বকের নানা রোগ, ফোস্কা, আভ্যন্তরীণ নানা অঙ্গের সমস্যা, আরথ্রাইটিস, বাত, মূত্রপাথুরি, চুল পড়া, হৃদ রোগ, টিউমার এমনকি ক্যান্সারও। কিশমিশে উপস্থিত পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তের অম্লতা কমিয়ে এসব জটিল রোগের আশঙ্কা কমায়।

যৌন অক্ষমতা দূর করে
প্রাচীন কাল থেকেই কামোত্তেজক হিসেবে কিশমিশ সুপরিচিত। এতে আরজিনিন নামের একটি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা ইরেক্টাইল ডিসফাংশনে দারুণ কাজ করে। এছাড়াও শুক্রাণুর সচলতা বাড়িয়ে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ায় আরজিনিন। সঙ্গে বাড়ায় যৌন ক্ষমতাও।

হাড় শক্ত করে
কিশমিশে থাকে ক্যালসিয়াম ও বোরন। সবাই জানেন ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে প্রধান উপাদান। আর বোরন ক্যালসিয়ামের আত্তীকরণ ও হাড় গঠনে কার্যকরী ভূমিকা নেয়। একটা বয়সের পর মেয়েদের ঋতু বন্ধ হওয়ার পরে যাতে অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে কিশমিশ। তাছাড়া এতে উপস্থিত পটাশিয়াম হাড় শক্ত করতে ও হাড়ের বৃদ্ধিতেও কাজ আসে।

দাঁতের জন্য উপকারি
কিশমিশে থাকা অলিয়ানলিক অ্যাসিড দাঁতের ক্ষয় আটকায়, দাঁতে ফুটো হওয়া ও দাঁত ভেঙে যাওয়া বন্ধ করে, সেই সঙ্গে দাঁতকে দেয় সব রকমের সুরক্ষা। মেরে ফেলে স্ত্রেপ্টোকক্কাস মিউটানস ও পরফাইরমোনাস জিঞ্জিভালিস নামের দুটি দাঁত ও মাড়ির জীবাণুকে। আর এর ক্যালসিয়াম দাঁতের এনামেলের ক্ষয় রোধ করে দাঁতকে করে তোলে কঠিন। শুনতে আশ্চর্য লাগতে পারে। কিন্তু এটা প্রমাণিত যে কিশমিশ খাওয়ার সময় দাঁতে লেগে গেলে তা আসলে দাঁতের পক্ষে ভালো। এতে থাকা অলিয়ানলিক অ্যাসিড যতক্ষন দাঁতের সংস্পর্শে থাকে, ততক্ষণ প্রত্যক্ষ ভাবে রোধ করে জীবাণুর আক্রমণ। আর এই কাজে সাহায্য করে সঙ্গে উপস্থিত বোরনও।