ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ, লোকসংখ্যা মাত্র তিনজন

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বিশ্বের বুকে এমন একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ রয়েছে যে দেশের জনসংখ্যা মাত্র তিন। দেশটির নিজস্ব পতাকা, পাসপোর্ট, মুদ্রা সবই রয়েছে।

ক্ষুদ্রতম এ দেশটির নাম প্রিন্সিপালিটি অব সিল্যান্ড। অবস্থান ব্রিটেনের সাফল্ক সমুদ্রের ধারে। ক্ষুদ্রতম এই দেশটির মোট আয়তন ৫৫০ স্কোয়্যার -মিটার। দেশটির একটি রাজধানীও রয়েছে। তার রাজধানীর নাম এইচ এম ফোর্ট রাফস। দেশটিতে ইংরেজি ভাষা প্রচলিত এবং মুদ্রার নাম সিল্যান্ড ডলার। বাইরের কোনো দেশে এই মুদ্রা চলে না।

এই দেশটি আসলে আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি সমুদ্র বন্দর। জার্মান সেনারা যে কোনও সময় ইংল্যান্ড আক্রমণ করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ইংল্যান্ডের উপকূলে দুর্গ বানানোর পরিকল্পনা করে।

সে পরিকল্পনা থেকেই উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে বানানো হয় মাউনসেল সি ফোর্ট। এখান থেকে শত্রুদের রণতরীর উপর নজরদারি চালানো হত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে অন্যান্য অসংখ্য দুর্গের সঙ্গে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এটিকেও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে।

১৯৬৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ নাগরিক মেজর প্যাডজ রয় বেটস ও তার পরিবার এই দ্বীপের স্বত্বাধিকারী হন। তারপর তারাই একে একটি স্বাধীন মাইক্রো রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেন। পৃথিবীর কোনও দেশ এখনও সিল্যান্ডকে স্বীকৃতি না দিলেও কেউ তাদের বিরোধিতাও করেনি। মজার কথা হল, মোট জনসংখ্যার তিনজনই বেটস পরিবারের সদস্য এবং যথাক্রমে তারা এই রাজ্যের রাজা, রানি এবং রাজপুত্র।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ, লোকসংখ্যা মাত্র তিনজন

আপডেট টাইম : ০২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বিশ্বের বুকে এমন একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ রয়েছে যে দেশের জনসংখ্যা মাত্র তিন। দেশটির নিজস্ব পতাকা, পাসপোর্ট, মুদ্রা সবই রয়েছে।

ক্ষুদ্রতম এ দেশটির নাম প্রিন্সিপালিটি অব সিল্যান্ড। অবস্থান ব্রিটেনের সাফল্ক সমুদ্রের ধারে। ক্ষুদ্রতম এই দেশটির মোট আয়তন ৫৫০ স্কোয়্যার -মিটার। দেশটির একটি রাজধানীও রয়েছে। তার রাজধানীর নাম এইচ এম ফোর্ট রাফস। দেশটিতে ইংরেজি ভাষা প্রচলিত এবং মুদ্রার নাম সিল্যান্ড ডলার। বাইরের কোনো দেশে এই মুদ্রা চলে না।

এই দেশটি আসলে আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি সমুদ্র বন্দর। জার্মান সেনারা যে কোনও সময় ইংল্যান্ড আক্রমণ করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ইংল্যান্ডের উপকূলে দুর্গ বানানোর পরিকল্পনা করে।

সে পরিকল্পনা থেকেই উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে বানানো হয় মাউনসেল সি ফোর্ট। এখান থেকে শত্রুদের রণতরীর উপর নজরদারি চালানো হত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে অন্যান্য অসংখ্য দুর্গের সঙ্গে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এটিকেও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে।

১৯৬৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ নাগরিক মেজর প্যাডজ রয় বেটস ও তার পরিবার এই দ্বীপের স্বত্বাধিকারী হন। তারপর তারাই একে একটি স্বাধীন মাইক্রো রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেন। পৃথিবীর কোনও দেশ এখনও সিল্যান্ডকে স্বীকৃতি না দিলেও কেউ তাদের বিরোধিতাও করেনি। মজার কথা হল, মোট জনসংখ্যার তিনজনই বেটস পরিবারের সদস্য এবং যথাক্রমে তারা এই রাজ্যের রাজা, রানি এবং রাজপুত্র।