ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুলের দেশ নেদারল্যান্ড, নান্দনিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

প্রাকৃতিক গ্যাসে সমৃদ্ধ ইউরোপ মহাদেশের নেদারল্যান্ড প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি করে তার আয়ের সিংহভাগ উপার্জন করে।  নেদারল্যান্ডের মাথাপিছু আয় প্রায় ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা।  রাষ্ট্রটির রাজধানীর নাম অ্যামস্টারডাম। এর সরকারি নাম নেদারল্যান্ড রাজ্য।  এই দেশ “হল্যান্ড” নামেও পরিচিত, যদিও হল্যান্ড মূলতঃ নেদারল্যান্ডের একটি ঐতিহাসিক অঙ্গরাজ্যের নাম।

১৮১৫ সাল থেকে নেদারল্যান্ডে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রচলিত।  ১৮৪৮ সাল থেকে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু রয়েছে।  ২০১০ সালে ইকোনমিস্ট পত্রিকা নেদারল্যান্ডকে দশম শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ঘোষণা করে।  নেদারল্যান্ডের রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র এবং একটি বিকেন্দ্রীকৃত ঐক্যমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থার কাঠামোতে পরিচালিত হয়।  নেদারল্যান্ডকে একটি consociational রাষ্ট্র হিসেবে বর্ণনা করা যায়।  ২০০৬ সালের ওলন্দাজ সংসদ নির্বাচনে সোস্যালিস্ট পার্টি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

নেদারল্যান্ড বারটি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত।  এদেরকে প্রভিয়েন্স বলা হয়।  প্রত্যেকটি প্রভিয়েন্স একজন গভর্নর দ্বারা শাসিত, যাকে কমিশনার অব দ্য কুইন বা কমিস্যারিস ভ্যান দ্য কোনিগিন বলা হয়।  শুধুমাত্র লিমবার্গ প্রভিয়েন্সের প্রধানকে গভর্নর বলা হয়।  প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিউনিসিপালিটিসে বিভক্ত।  ২০১০ সালের হিসেবে ৪৩০টি প্রভিয়েন্স আছে।

নেদারল্যান্ড ইউরোপের ১১তম বৃহৎ জনসংখ্যা সমৃদ্ধ ও পৃথিবীতে ৬১তম দেশ।  নেদারল্যান্ডের প্রধান ধর্মগুলো হচ্ছে খ্রিস্টধর্ম ও ইসলাম।

সূত্র : ফোর্বস ও উইকিপিডিয়া

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ফুলের দেশ নেদারল্যান্ড, নান্দনিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

আপডেট টাইম : ০৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০১৭

প্রাকৃতিক গ্যাসে সমৃদ্ধ ইউরোপ মহাদেশের নেদারল্যান্ড প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি করে তার আয়ের সিংহভাগ উপার্জন করে।  নেদারল্যান্ডের মাথাপিছু আয় প্রায় ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা।  রাষ্ট্রটির রাজধানীর নাম অ্যামস্টারডাম। এর সরকারি নাম নেদারল্যান্ড রাজ্য।  এই দেশ “হল্যান্ড” নামেও পরিচিত, যদিও হল্যান্ড মূলতঃ নেদারল্যান্ডের একটি ঐতিহাসিক অঙ্গরাজ্যের নাম।

১৮১৫ সাল থেকে নেদারল্যান্ডে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রচলিত।  ১৮৪৮ সাল থেকে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু রয়েছে।  ২০১০ সালে ইকোনমিস্ট পত্রিকা নেদারল্যান্ডকে দশম শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ঘোষণা করে।  নেদারল্যান্ডের রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র এবং একটি বিকেন্দ্রীকৃত ঐক্যমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থার কাঠামোতে পরিচালিত হয়।  নেদারল্যান্ডকে একটি consociational রাষ্ট্র হিসেবে বর্ণনা করা যায়।  ২০০৬ সালের ওলন্দাজ সংসদ নির্বাচনে সোস্যালিস্ট পার্টি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

নেদারল্যান্ড বারটি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত।  এদেরকে প্রভিয়েন্স বলা হয়।  প্রত্যেকটি প্রভিয়েন্স একজন গভর্নর দ্বারা শাসিত, যাকে কমিশনার অব দ্য কুইন বা কমিস্যারিস ভ্যান দ্য কোনিগিন বলা হয়।  শুধুমাত্র লিমবার্গ প্রভিয়েন্সের প্রধানকে গভর্নর বলা হয়।  প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিউনিসিপালিটিসে বিভক্ত।  ২০১০ সালের হিসেবে ৪৩০টি প্রভিয়েন্স আছে।

নেদারল্যান্ড ইউরোপের ১১তম বৃহৎ জনসংখ্যা সমৃদ্ধ ও পৃথিবীতে ৬১তম দেশ।  নেদারল্যান্ডের প্রধান ধর্মগুলো হচ্ছে খ্রিস্টধর্ম ও ইসলাম।

সূত্র : ফোর্বস ও উইকিপিডিয়া