ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ রূপসা নদীতে অনুষ্ঠিত

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ লাখো দর্শকের উপস্থি‌তির মধ্য দিয়ে খুলনার রূপসা নদীতে শনিবার (১৪ অ‌ক্টোবর) বি‌কে‌লে অনুষ্ঠিত হলো দে‌শের সর্ববৃহৎ ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্র‌তি‌যোগীতা।

খুলনার নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে ১২তম এ নৌকা বাইচের সহযোগিতায় ছিল দেশের শীর্ষ স্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন।

শনিবার বিকেল পৌনে তিনটায় নগরীর কাষ্টম ঘাটে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যা ছয়টায় খানজাহান আলী (রহঃ) রূপসা সেতুর পশ্চিম প্রান্তে পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ। নৌকা বাইচের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল খুলনা জেলা প্রশাসন।

এবা‌রের প্রতিযোগিতায় কয়রা, পাইকগাছা, তেরখাদা, কালিয়া, নড়াইল থেকে ১২টি বড় এবং ১০টি ছোট বাইচ দল অংশ গ্রহণ করে। এছাড়াও গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ফরিদপুর এলাকার ছয়টি বাচারি নৌকা নিয়ে একটি বিশেষ দল তৈরি করা হয়।

বড় দলের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে এক লাখ টাকা জিতে নেয় কয়রার সুন্দরবন টাইগার। পুরষ্কার প্রথম রানার আপ হিসেবে ৬০ হাজার টাকা পায় তেরখাদা খুলনার ভাই ভাই জলপরী। আর দ্বিতীয় রানার আপ পুরস্কার ৩০ হাজার টাকা পায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার মা শীতলা।

ছোট গ্রুপে প্রথম হয়ে ৫০ হাজার টাকা পুরষ্কার পায় কয়রার সোনার তরী। দ্বিতীয় বিজয়ী দল পাইকগাছার রিয়া নৌকা বাইচ দল পায় ৩০ হাজার টাকা আর তৃতীয় স্থান অধিকারী দল সাতক্ষীরার জয় মা কালী-২ পায় ২০ হাজার টাকা।

বিশেষ বাচারি দলের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে কোটালিপাড়ার গোপালগঞ্জ মা গঙ্গা-১ পঞ্চাশ হাজার টাকা জিতে নেয়। প্রথম রানার আপ হিসেবে ৩০ হাজার টাকা পান রাজড়, মাদারীপুরের মা-দুর্গা (হারেজ) আর দ্বিতীয় রানার আপ পুরস্কার ২০ হাজার টাকা পায় কোটালিপাড়ার গোপালগঞ্জ সোনার তরী।

বি‌কে‌লে নৌকাবাইচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান বলেন, প্রতি বছরের নৌকাবাইচের মধ্য দিয়ে খুলনার মানুষ অন্য রকম এক বিনোদনের সুযোগ পায়। এ ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি গ্রামীণফোনের সহযোগিতার হাত আরও সম্প্রসারিত করার আহবান জানান।

বেলা পৌনে তিনটায় ১ নম্বর কাষ্টম ঘাটে অনুষ্ঠিত নৌকাবাইচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। এছাড়া বেলা ১১টায় নগরীর শিববড়ি মোড় থেকে র‌্যালি বের হয়ে শহীদ হাদিস পার্কে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালির উদ্বোধন করেন বিসিবি’র পরিচালক শেখ সোহেল। র‌্যালি শেষে শহীদ হাদিস পার্কে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, গ্রামীণ ফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফ্যালে।

র‌্যালি উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাহবুব হাকিম, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী পলাশ কান্তি বালা, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ মোশাররফ হোসেন, নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি মোল্লা মারুফ রশীদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান রহিম, সহ-সভাপতি আখতার উদ্দিন পান্নু, প্রধান উপদেষ্টা শেখ আশরাফ-উজ জামান, গ্রামীণফোনের খুলনা সার্কেল হেড মোল্লা নাফিজ ইমতিয়াজ, খুলনা সার্কেল হেড অব মার্কেটিং পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য্য, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ নুর-ই-আলম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. আনিছুর রহমান পপলু, দৈনিক পূর্বাঞ্চল সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সনি, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, আল জামাল ভূইয়া, শাহীন জামাল পন, গোলাম রব্বানী প্রমূখ।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব বিল্লল হোসেন খান, কেসিসির শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অফিসার এস কে এম তাসাদুজ্জামান, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক খালেক শিকদার, প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান জিয়া, কে ডি এস সদদ্য মোঃ মোতালেব মিয়া ও সমাজ সেবক মনিরুজ্জামান সাগর।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা মিজানুর রহমান মিজান এমপি আরও বলেন, নৌকাবাইচের মত একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হাতে নিয়ে নগরবাসির বিনোদনের সুযোগ করে দেয়ায় খুলনার মানুষের মধ্যে নতুন উদ্যমের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে একে সহযোগিতা করে গ্রামীণফোনও আরও মানুষকে কাছে নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বিগত ১২ বছর ধরে এ নৌকা বাইচ হওয়ায় তিনি এটিকে স্থায়ী করার চেষ্টা করার আহবান জানান।

গ্রামীণফোনের মোল্লা নাফিজ ইমতিয়াজ বলেন, গ্রামীণফোন সবসময়ই বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের পৃষ্ঠপোষক। গ্রামীণফোন মনে করে যে একটি দেশের উন্নয়নে সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের বিরাট ভূমিকা আছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে গ্রামীণফোন তাই সব সময় এ ধরণের অনুষ্ঠানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি মোল্লা মারুফ রশিদ বলেন, নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে-এই শ্লোগান নিয়ে র্দীঘদিন ধরে কাজ করছে নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তিনি নদীকে ভালবাসার পাশাপাশি নদীকে ভাল রাখার আহবান জানান।

এদিকে, নৌকাবাইচের শেষ মুহূর্তে গিয়ে নড়াইলের লোহাগড়ার বাংলার বাঘ নামের নৌকাটি ডুবে যায়। পাশ দিয়ে দ্রুতগতির একটি স্পীডবোট যাওয়ায় নৌকাটি ডুবে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। তবে প্র‌তি‌যোগীর পা‌ড়ে উঠ‌তে সক্ষম হওয়ায় এতে কোন হতাহ‌তের ঘটনা ঘ‌টে‌নি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ রূপসা নদীতে অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম : ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ লাখো দর্শকের উপস্থি‌তির মধ্য দিয়ে খুলনার রূপসা নদীতে শনিবার (১৪ অ‌ক্টোবর) বি‌কে‌লে অনুষ্ঠিত হলো দে‌শের সর্ববৃহৎ ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্র‌তি‌যোগীতা।

খুলনার নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে ১২তম এ নৌকা বাইচের সহযোগিতায় ছিল দেশের শীর্ষ স্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন।

শনিবার বিকেল পৌনে তিনটায় নগরীর কাষ্টম ঘাটে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যা ছয়টায় খানজাহান আলী (রহঃ) রূপসা সেতুর পশ্চিম প্রান্তে পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ। নৌকা বাইচের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল খুলনা জেলা প্রশাসন।

এবা‌রের প্রতিযোগিতায় কয়রা, পাইকগাছা, তেরখাদা, কালিয়া, নড়াইল থেকে ১২টি বড় এবং ১০টি ছোট বাইচ দল অংশ গ্রহণ করে। এছাড়াও গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ফরিদপুর এলাকার ছয়টি বাচারি নৌকা নিয়ে একটি বিশেষ দল তৈরি করা হয়।

বড় দলের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে এক লাখ টাকা জিতে নেয় কয়রার সুন্দরবন টাইগার। পুরষ্কার প্রথম রানার আপ হিসেবে ৬০ হাজার টাকা পায় তেরখাদা খুলনার ভাই ভাই জলপরী। আর দ্বিতীয় রানার আপ পুরস্কার ৩০ হাজার টাকা পায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার মা শীতলা।

ছোট গ্রুপে প্রথম হয়ে ৫০ হাজার টাকা পুরষ্কার পায় কয়রার সোনার তরী। দ্বিতীয় বিজয়ী দল পাইকগাছার রিয়া নৌকা বাইচ দল পায় ৩০ হাজার টাকা আর তৃতীয় স্থান অধিকারী দল সাতক্ষীরার জয় মা কালী-২ পায় ২০ হাজার টাকা।

বিশেষ বাচারি দলের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে কোটালিপাড়ার গোপালগঞ্জ মা গঙ্গা-১ পঞ্চাশ হাজার টাকা জিতে নেয়। প্রথম রানার আপ হিসেবে ৩০ হাজার টাকা পান রাজড়, মাদারীপুরের মা-দুর্গা (হারেজ) আর দ্বিতীয় রানার আপ পুরস্কার ২০ হাজার টাকা পায় কোটালিপাড়ার গোপালগঞ্জ সোনার তরী।

বি‌কে‌লে নৌকাবাইচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান বলেন, প্রতি বছরের নৌকাবাইচের মধ্য দিয়ে খুলনার মানুষ অন্য রকম এক বিনোদনের সুযোগ পায়। এ ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি গ্রামীণফোনের সহযোগিতার হাত আরও সম্প্রসারিত করার আহবান জানান।

বেলা পৌনে তিনটায় ১ নম্বর কাষ্টম ঘাটে অনুষ্ঠিত নৌকাবাইচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। এছাড়া বেলা ১১টায় নগরীর শিববড়ি মোড় থেকে র‌্যালি বের হয়ে শহীদ হাদিস পার্কে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালির উদ্বোধন করেন বিসিবি’র পরিচালক শেখ সোহেল। র‌্যালি শেষে শহীদ হাদিস পার্কে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, গ্রামীণ ফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফ্যালে।

র‌্যালি উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাহবুব হাকিম, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী পলাশ কান্তি বালা, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ মোশাররফ হোসেন, নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি মোল্লা মারুফ রশীদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান রহিম, সহ-সভাপতি আখতার উদ্দিন পান্নু, প্রধান উপদেষ্টা শেখ আশরাফ-উজ জামান, গ্রামীণফোনের খুলনা সার্কেল হেড মোল্লা নাফিজ ইমতিয়াজ, খুলনা সার্কেল হেড অব মার্কেটিং পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য্য, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ নুর-ই-আলম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. আনিছুর রহমান পপলু, দৈনিক পূর্বাঞ্চল সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সনি, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, আল জামাল ভূইয়া, শাহীন জামাল পন, গোলাম রব্বানী প্রমূখ।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব বিল্লল হোসেন খান, কেসিসির শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অফিসার এস কে এম তাসাদুজ্জামান, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক খালেক শিকদার, প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান জিয়া, কে ডি এস সদদ্য মোঃ মোতালেব মিয়া ও সমাজ সেবক মনিরুজ্জামান সাগর।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা মিজানুর রহমান মিজান এমপি আরও বলেন, নৌকাবাইচের মত একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হাতে নিয়ে নগরবাসির বিনোদনের সুযোগ করে দেয়ায় খুলনার মানুষের মধ্যে নতুন উদ্যমের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে একে সহযোগিতা করে গ্রামীণফোনও আরও মানুষকে কাছে নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বিগত ১২ বছর ধরে এ নৌকা বাইচ হওয়ায় তিনি এটিকে স্থায়ী করার চেষ্টা করার আহবান জানান।

গ্রামীণফোনের মোল্লা নাফিজ ইমতিয়াজ বলেন, গ্রামীণফোন সবসময়ই বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের পৃষ্ঠপোষক। গ্রামীণফোন মনে করে যে একটি দেশের উন্নয়নে সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের বিরাট ভূমিকা আছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে গ্রামীণফোন তাই সব সময় এ ধরণের অনুষ্ঠানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি মোল্লা মারুফ রশিদ বলেন, নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে-এই শ্লোগান নিয়ে র্দীঘদিন ধরে কাজ করছে নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তিনি নদীকে ভালবাসার পাশাপাশি নদীকে ভাল রাখার আহবান জানান।

এদিকে, নৌকাবাইচের শেষ মুহূর্তে গিয়ে নড়াইলের লোহাগড়ার বাংলার বাঘ নামের নৌকাটি ডুবে যায়। পাশ দিয়ে দ্রুতগতির একটি স্পীডবোট যাওয়ায় নৌকাটি ডুবে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। তবে প্র‌তি‌যোগীর পা‌ড়ে উঠ‌তে সক্ষম হওয়ায় এতে কোন হতাহ‌তের ঘটনা ঘ‌টে‌নি।