ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতের আগমনী অতিথি পাখি আসছে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ প্রতিবছর শীতকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আগমন ঘটে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির। পাখিদের কিচিরমিচিরে মুখরিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।

লেকময় ফুটে থাকা লাল পদ্ম আর পাখির ওড়াউড়ি, জলকেলি-খুনসুটি শীতকালে এ ক্যাম্পাসের চেনা দৃশ্য। এই মনোহর দৃশ্য উপভোগ করতে শীতে ক্যাম্পাসে সমাগম হয় বিপুল দর্শনার্থীর।

প্রতিবছরের মতো এবারও শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকগুলোতে আসতে শুরু করেছে পাখি। গত সপ্তাহ থেকেই পাখি আসা শুরু করেছে লেকগুলোতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট-বড় ১০ থেকে ১২টি লেক থাকলেও পাখি আসে মূলত চারটি লেকে। এগুলোকে পাখির জন্য অভয়ারণ্য ঘোষণা করেছে জাবি প্রশাসন।

এ বছর এখন পর্যন্ত রেজিস্ট্রার ভবনের সামনের লেক ও ট্রান্সপোর্ট সংলগ্ন লেক। এই দুটি লেকেই দেশীয় সরালি নামের হাঁসজাতীয় পাখির দেখা মিলেছে। বাকি লেকগুলোতে এখনো পাখি আসতে শুরু করেনি।পাখি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজ জানান, ‘সরালি আমাদের দেশীয় প্রজাতিরই পাখি। এরা সাধারণত দেশের উত্তরাঞ্চলের চর ও হাওর-বাওরে বাস করে।’ এদের অতিথি পাখি বলতে নারাজ তিনি।

অধ্যাপক ফিরোজ আরো বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগরে যে পাখিগুলো আসে এগুলোর অধিকাংশই আমাদের দেশীয় হাঁসজাতীয় পাখি। অল্প কয়েক প্রজাতির বিদেশি পাখিও আসে। তবে তারা আসে ডিসেম্বরে। এখন যে পাখিগুলো এসেছে এগুলো সরালি।

এরা সাধারণত বাংলাদেশের হিমালয়ের কাছাকাছি দূরত্বের জেলাগুলো ও হাওর-বাওরে বাস করে। জাহাঙ্গীরনগরেও এদের ডিম পাড়া ও বাচ্চা ফোটানোর ঘটনা ঘটেছে। এদের অতিথি বা পরিযায়ী পাখি বলা যায় না। হয়তো জাহাঙ্গীরনগরের জন্য অতিথি বলা যেতে পারে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের গবেষণা তথ্যমতে, জাবির লেকগুলোতে ১৯৮৬ সালে সর্বপ্রথম অতিথি পাখি আসে। তখন ক্যাম্পাসে ৯৮ প্রজাতির পাখির দেখা মিলেছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে ১৯৫ প্রজাতির পাখির দেখা মেলে। এর মধ্যে ১২৬টি দেশীয় প্রজাতির এবং ৬৯টি বিদেশি। পাখি সংরক্ষণ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর পাখি মেলার আয়োজন করে প্রাণিবিদ্যা বিভাগ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

শীতের আগমনী অতিথি পাখি আসছে

আপডেট টাইম : ১১:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ প্রতিবছর শীতকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আগমন ঘটে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির। পাখিদের কিচিরমিচিরে মুখরিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।

লেকময় ফুটে থাকা লাল পদ্ম আর পাখির ওড়াউড়ি, জলকেলি-খুনসুটি শীতকালে এ ক্যাম্পাসের চেনা দৃশ্য। এই মনোহর দৃশ্য উপভোগ করতে শীতে ক্যাম্পাসে সমাগম হয় বিপুল দর্শনার্থীর।

প্রতিবছরের মতো এবারও শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকগুলোতে আসতে শুরু করেছে পাখি। গত সপ্তাহ থেকেই পাখি আসা শুরু করেছে লেকগুলোতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট-বড় ১০ থেকে ১২টি লেক থাকলেও পাখি আসে মূলত চারটি লেকে। এগুলোকে পাখির জন্য অভয়ারণ্য ঘোষণা করেছে জাবি প্রশাসন।

এ বছর এখন পর্যন্ত রেজিস্ট্রার ভবনের সামনের লেক ও ট্রান্সপোর্ট সংলগ্ন লেক। এই দুটি লেকেই দেশীয় সরালি নামের হাঁসজাতীয় পাখির দেখা মিলেছে। বাকি লেকগুলোতে এখনো পাখি আসতে শুরু করেনি।পাখি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজ জানান, ‘সরালি আমাদের দেশীয় প্রজাতিরই পাখি। এরা সাধারণত দেশের উত্তরাঞ্চলের চর ও হাওর-বাওরে বাস করে।’ এদের অতিথি পাখি বলতে নারাজ তিনি।

অধ্যাপক ফিরোজ আরো বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগরে যে পাখিগুলো আসে এগুলোর অধিকাংশই আমাদের দেশীয় হাঁসজাতীয় পাখি। অল্প কয়েক প্রজাতির বিদেশি পাখিও আসে। তবে তারা আসে ডিসেম্বরে। এখন যে পাখিগুলো এসেছে এগুলো সরালি।

এরা সাধারণত বাংলাদেশের হিমালয়ের কাছাকাছি দূরত্বের জেলাগুলো ও হাওর-বাওরে বাস করে। জাহাঙ্গীরনগরেও এদের ডিম পাড়া ও বাচ্চা ফোটানোর ঘটনা ঘটেছে। এদের অতিথি বা পরিযায়ী পাখি বলা যায় না। হয়তো জাহাঙ্গীরনগরের জন্য অতিথি বলা যেতে পারে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের গবেষণা তথ্যমতে, জাবির লেকগুলোতে ১৯৮৬ সালে সর্বপ্রথম অতিথি পাখি আসে। তখন ক্যাম্পাসে ৯৮ প্রজাতির পাখির দেখা মিলেছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে ১৯৫ প্রজাতির পাখির দেখা মেলে। এর মধ্যে ১২৬টি দেশীয় প্রজাতির এবং ৬৯টি বিদেশি। পাখি সংরক্ষণ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর পাখি মেলার আয়োজন করে প্রাণিবিদ্যা বিভাগ।