বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সপ্তাহের প্রতিদিনের ব্যস্ততায় একদিনের বেশি ছুটি পাওয়া মুশকিল। এই একটু ছুটি মিললেই কেউ কেউ পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে রাজধানী ভেতরে বা ধারে কাছে নানা জায়গায় ঘুরতে যান। যারা ইট-পাথরের যান্ত্রিক শহর থেকে একটু দূরে ঘুরে বেড়াতে চান তারা যেতে পারেন মিরপুরের বেড়িবাঁধে । এবারের ছুটিটা না হয় একটু ঢেউয়ের তালে তালে পানিতে নৌকায় করে কাটালেন। হেমন্তের শুরু হওয়ায় নদীর তীরের পাশে কাশবন আর দেখতে পারবেন না যদিও তাই বলে তার আশেপাশের সৌন্দর্যও কম নয়।
মিরপুর বেড়িবাঁধে নৌকা ভ্রমণে গেলে দেখতে পাবেন দু’পাশে দিগন্ত বিস্তৃত খোলা প্রান্তর, গাছের সারি আর সবুজ গ্রাম। রূপালি নদীর ধারে বাঁধকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বাঁশ ও কাঠের কাঠামোর ওপর দাঁড়ানো জলে ভাসা বিভিন্ন রেস্তোরাঁ। সাথে লাগোয়া ময়ূর সদৃশ নৌযানটি নজর কাড়বে আপনার। এটি একটি অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত ভ্রমণতরী। বেড়িবাঁধে অবস্থিত তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্কের পাশে ঘাটে অবস্থান করে এই এম বি ময়ূরী নৌযান। নৌভ্রমণকে আরামদায়ক করতে সব ধরণের ব্যবস্থা এখানে রয়েছে। ব্যস্ততাময় জীবনে খণ্ডকালীন অবসরে একদিন বা এক ঘণ্টার জন্য নৌভ্রমণের যাবতীয় ব্যবস্থা করে থাকে এম বি ময়ূরী।
এই নৌযানে রয়েছে ব্যাক ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত মাস্টার রুম, হাই কমোড সজ্জিত ৩টি ওয়াশ রুম ও ২টি ভিআইপি কেবিনসহ খাবার দাবারের সব ব্যবস্থা। সাথে সব ধরনের সেফটি ইকুইপমেন্টও পাবেন। এখানে প্যাকেজ ট্যুরসহ সিঙ্গেল ট্যুরের ব্যবস্থাও রয়েছে। প্যাকেজ ট্যুরের আওতায় দিনব্যাপী প্রায় আট ঘণ্টা ঘুরতে পারবেন। এর মধ্যে নাস্তা ও দুপুরের খাবার বরাদ্দ রয়েছে।
সিঙ্গেল ট্যুরের জন্য প্রতিদিন বিকেল ৩ টা থেকে যাত্রা শুরু হয়। প্রতিটি ট্রিপে এক ঘণ্টার জন্য ঘুরতে পারবেন। সারাদিন ঘুরতে খাবারসহ জনপ্রতি খরচ পড়বে ২,৫০০ টাকা। আর খাবার ছাড়া ১,৮০০ টাকা। এক ঘণ্টার জন্য জনপ্রতি ২০০ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন উপলক্ষে ৩০% কমিশনের ব্যবস্থাও রয়েছে। মিরপুর বেড়িবাঁধে নৌকায় ভ্রমণ আপনাকে দিবে অনাবিল আনন্দ। এছাড়া আরও অনেক কিছু দেখার সুযোগ পাবেন। রয়েছে বিভিন্ন ভাসমান রেস্তোরাঁ এবং বিনোদন পার্ক। চাইলে সেখানেও সময় কাটাতে পারবেন।