ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরিযায়ী সাদা কালো ফিদ্দা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ প্রাকৃতিক আবাসস্থল নিম্নভূমি এবং সমভূমির বৃক্ষরাজি কিংবা পাহাড়ের কিনারের পাথর খণ্ড। বিচরণ করে একাকী। প্রজনন মৌসুমে জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়। পুরুষ পাখি হুবহু দোয়েল বর্ণের হলেও দোয়েলের মতো অত নাদুস-নদুস নয় এরা। সিম। পুরুষের তুলনায় স্ত্রী পাখি অনেকটাই নিষ্প্রভ। রঙ বাদামি। স্বভাবে চঞ্চল। কণ্ঠস্বর সুমধুর। দেশে পরিযায়ী হয়ে আসে। বাংলাদেশ ছাড়া বৈশ্বিক বিস্তৃতি ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, লাওস, ইন্দোচীন, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড পর্যন্ত।

প্রিয় পাঠক, এবার ভিন্ন প্রসঙ্গ। ‘আমার অনেক ঋণ আছে’, বইটি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য লিখেছেন মুকিত মজুমদার বাবু। যিনি একাধারে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, পরিচালক ইমপ্রেস গ্রুপ, চ্যানেল আই। বইটি আমাকে যথেষ্ট উজ্জীবিত করেছে প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে এবং প্রকৃতি সংরক্ষণে কাজ করতে। বোধ করি আপনিও উজ্জীবিত হবেন প্রকৃতি সংরক্ষণে এগিয়ে আসতে। পড়ার অনুরোধ রইল তাই। কোনো রকম প্ররোচিত হয়ে বলছি না, একজন প্রকৃতিপ্রেমী হিসেবে জানান দিলাম শুধু, এবার মূল প্রসঙ্গে ফিরে যাচ্ছি।

পাখির বাংলা নাম: ‘সাদা-কালো ফিদ্দা’, ইংরেজি নাম: ‘জার্ডন’স বুশ চ্যাট’ (Jerdon’s Bush Chat), বৈজ্ঞানিক নাম: Saxicola jerdoni। এরা ‘জার্ডনের ঝাড়ফিদ্দা’ নামেও পরিচিত।

দৈর্ঘ্য ১৪-১৫ সেন্টিমিটার। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা ভিন্ন। পুরুষ পাখির মাথা, ঘাড়, পিঠ ও লেজ নীলচে কালো। ডানার প্রান্ত পালক কুচকুচে কালো। গলা ও বুক কালো। দেহতল ধবধবে সাদা, লেজতল কালো। স্ত্রী পাখির মাথা, ঘাড় ও পিঠ বাদামি। দেহতল বাদামি সাদা। উভয়ের চোখের বলয় নীলাভ, মনি কালো। ঠোঁট কালো। পা ধূসর কালো।

প্রধান খাদ্য: ভূমিজ কীটপতঙ্গ।

প্রজনন সময় ফেব্রুয়ারি থেকে মে। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। ঘাস, লতা-পাতা দিয়ে বাসা বাঁধে। বাসা অনেকটাই পেয়ালা আকৃতির। ডিম পাড়ে ২-৫টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১২-১৩ দিন।

লেখক: আলম শাইন, কথাসাহিত্যিক, বন্যপ্রাণি বিশারদ ও পরিবেশবিদ।

মানবকণ্ঠ

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

পরিযায়ী সাদা কালো ফিদ্দা

আপডেট টাইম : ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ প্রাকৃতিক আবাসস্থল নিম্নভূমি এবং সমভূমির বৃক্ষরাজি কিংবা পাহাড়ের কিনারের পাথর খণ্ড। বিচরণ করে একাকী। প্রজনন মৌসুমে জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়। পুরুষ পাখি হুবহু দোয়েল বর্ণের হলেও দোয়েলের মতো অত নাদুস-নদুস নয় এরা। সিম। পুরুষের তুলনায় স্ত্রী পাখি অনেকটাই নিষ্প্রভ। রঙ বাদামি। স্বভাবে চঞ্চল। কণ্ঠস্বর সুমধুর। দেশে পরিযায়ী হয়ে আসে। বাংলাদেশ ছাড়া বৈশ্বিক বিস্তৃতি ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, লাওস, ইন্দোচীন, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড পর্যন্ত।

প্রিয় পাঠক, এবার ভিন্ন প্রসঙ্গ। ‘আমার অনেক ঋণ আছে’, বইটি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য লিখেছেন মুকিত মজুমদার বাবু। যিনি একাধারে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, পরিচালক ইমপ্রেস গ্রুপ, চ্যানেল আই। বইটি আমাকে যথেষ্ট উজ্জীবিত করেছে প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে এবং প্রকৃতি সংরক্ষণে কাজ করতে। বোধ করি আপনিও উজ্জীবিত হবেন প্রকৃতি সংরক্ষণে এগিয়ে আসতে। পড়ার অনুরোধ রইল তাই। কোনো রকম প্ররোচিত হয়ে বলছি না, একজন প্রকৃতিপ্রেমী হিসেবে জানান দিলাম শুধু, এবার মূল প্রসঙ্গে ফিরে যাচ্ছি।

পাখির বাংলা নাম: ‘সাদা-কালো ফিদ্দা’, ইংরেজি নাম: ‘জার্ডন’স বুশ চ্যাট’ (Jerdon’s Bush Chat), বৈজ্ঞানিক নাম: Saxicola jerdoni। এরা ‘জার্ডনের ঝাড়ফিদ্দা’ নামেও পরিচিত।

দৈর্ঘ্য ১৪-১৫ সেন্টিমিটার। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা ভিন্ন। পুরুষ পাখির মাথা, ঘাড়, পিঠ ও লেজ নীলচে কালো। ডানার প্রান্ত পালক কুচকুচে কালো। গলা ও বুক কালো। দেহতল ধবধবে সাদা, লেজতল কালো। স্ত্রী পাখির মাথা, ঘাড় ও পিঠ বাদামি। দেহতল বাদামি সাদা। উভয়ের চোখের বলয় নীলাভ, মনি কালো। ঠোঁট কালো। পা ধূসর কালো।

প্রধান খাদ্য: ভূমিজ কীটপতঙ্গ।

প্রজনন সময় ফেব্রুয়ারি থেকে মে। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। ঘাস, লতা-পাতা দিয়ে বাসা বাঁধে। বাসা অনেকটাই পেয়ালা আকৃতির। ডিম পাড়ে ২-৫টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১২-১৩ দিন।

লেখক: আলম শাইন, কথাসাহিত্যিক, বন্যপ্রাণি বিশারদ ও পরিবেশবিদ।

মানবকণ্ঠ