ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী কার্ত্তিক পূজার নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ গোপালগঞ্জে শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী কার্ত্তিক পূজার নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সানপুকুরিয়া মধুমতি নদীতে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কার্ত্তিক পূজা উপলক্ষে শত বছর ধরে ওই নদীতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
নান্দনিক নৌকাবাইচ বিপুল আরম্বরে শুরু হয়। প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্যে লালিত আকর্ষণীয় এ নৌকাবাইচে গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের অর্ধশত সরেঙ্গা, ছিপ, কোষা বাছারী নৌকা অংশ নেয়।
আবহমান গ্রাম বাংলার অতি প্রাচীন কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও নিজস্বতা ধরে রাখতে লাখো প্রাণের আনন্দ উচ্ছ্বলতায় জেলার মধুমতি নদীতে সানপুকুরিয়া উত্তরপাড়া থেকে দক্ষিণপাড়া পর্যন্ত ৪ কিঃমিঃ এলাকাজুড়ে নৌকাবাইচ ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নৌকায় ও ট্রলারে করে নৌকাবাইচ দেখতে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে উত্সবের আমেজে এ নৌকাবাইচ সম্পন্ন হয়। বিভিন্ন বয়সের মানুষ নদীর দু’পাড়ে দাঁড়িয়ে নৌকাবাইচ প্রত্যক্ষ করেন।
এ দিন দুপুর থেকে নানা বর্ণে ও বিচিত্র সাজে সজ্জিত দৃষ্টি নন্দন এসব নৌকা তুমুল বাইচ শুরু করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে একের পর এক কুচ। ঠিকারী , কাশির বাদ্যে ও তালে জারি সারি গান গেয়ে এবং নেচে – হেঁইও হেঁইও রবে বৈঠার ছলাত্- ছলাত্ শব্দে এক অনবদ্য আবহ সৃষ্টি হয়। দু’কূলে দাড়িয়ে থাকা লাখ-লাখ মানুষের হূদয়ে জাগে দোলা। মাল্লাদের সাথে সমবেত হন অগনিত সমর্থক ও দর্শক। তারা উত্সাহ দেন বাইচে। নদীর দু’ পাড়ে দাড়িয়ে থাকা মানুষের করতালী ও হর্যধ্বনিতে এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।
 প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ ইউসুফ আলী।
এ ছাড়া গতকাল বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুরে মধুমতি নদীতে কার্ত্তিক পূজার শতবর্ষী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতা শেষে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেগম নিরুন্নাহার ইউসুফ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
সানপুকুরিয়া নৌকা বাইচ আয়োজক কমিটির সদস্য কমলাখী বিশ্বাস, সজল বৈদ্য, স্নেহাংশু ঠাকুর বলেন, কার্ত্তিক পূজা উপলক্ষে শত বছর ধরে এখানে নৌকা বাইচের আয়োজন করা হচ্ছে। এটি আমাদের গ্রামীন সংস্কৃতির ঐতিহ্যতে পরিনত হয়েছে। এ কৃষ্টিকে ধারে রাখতেই আমরা প্রতি বছর এ আয়োজন করে আসিছি।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী কার্ত্তিক পূজার নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম : ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৭
বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ গোপালগঞ্জে শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী কার্ত্তিক পূজার নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সানপুকুরিয়া মধুমতি নদীতে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কার্ত্তিক পূজা উপলক্ষে শত বছর ধরে ওই নদীতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
নান্দনিক নৌকাবাইচ বিপুল আরম্বরে শুরু হয়। প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্যে লালিত আকর্ষণীয় এ নৌকাবাইচে গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের অর্ধশত সরেঙ্গা, ছিপ, কোষা বাছারী নৌকা অংশ নেয়।
আবহমান গ্রাম বাংলার অতি প্রাচীন কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও নিজস্বতা ধরে রাখতে লাখো প্রাণের আনন্দ উচ্ছ্বলতায় জেলার মধুমতি নদীতে সানপুকুরিয়া উত্তরপাড়া থেকে দক্ষিণপাড়া পর্যন্ত ৪ কিঃমিঃ এলাকাজুড়ে নৌকাবাইচ ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নৌকায় ও ট্রলারে করে নৌকাবাইচ দেখতে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে উত্সবের আমেজে এ নৌকাবাইচ সম্পন্ন হয়। বিভিন্ন বয়সের মানুষ নদীর দু’পাড়ে দাঁড়িয়ে নৌকাবাইচ প্রত্যক্ষ করেন।
এ দিন দুপুর থেকে নানা বর্ণে ও বিচিত্র সাজে সজ্জিত দৃষ্টি নন্দন এসব নৌকা তুমুল বাইচ শুরু করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে একের পর এক কুচ। ঠিকারী , কাশির বাদ্যে ও তালে জারি সারি গান গেয়ে এবং নেচে – হেঁইও হেঁইও রবে বৈঠার ছলাত্- ছলাত্ শব্দে এক অনবদ্য আবহ সৃষ্টি হয়। দু’কূলে দাড়িয়ে থাকা লাখ-লাখ মানুষের হূদয়ে জাগে দোলা। মাল্লাদের সাথে সমবেত হন অগনিত সমর্থক ও দর্শক। তারা উত্সাহ দেন বাইচে। নদীর দু’ পাড়ে দাড়িয়ে থাকা মানুষের করতালী ও হর্যধ্বনিতে এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।
 প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ ইউসুফ আলী।
এ ছাড়া গতকাল বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুরে মধুমতি নদীতে কার্ত্তিক পূজার শতবর্ষী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতা শেষে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেগম নিরুন্নাহার ইউসুফ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
সানপুকুরিয়া নৌকা বাইচ আয়োজক কমিটির সদস্য কমলাখী বিশ্বাস, সজল বৈদ্য, স্নেহাংশু ঠাকুর বলেন, কার্ত্তিক পূজা উপলক্ষে শত বছর ধরে এখানে নৌকা বাইচের আয়োজন করা হচ্ছে। এটি আমাদের গ্রামীন সংস্কৃতির ঐতিহ্যতে পরিনত হয়েছে। এ কৃষ্টিকে ধারে রাখতেই আমরা প্রতি বছর এ আয়োজন করে আসিছি।