ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এই পাতি-শরালিদের ডাক শুনে হৃদয় জুড়ায়ে যায়

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দু’দিকেই চা বাগানের হৈমন্তিক শোভা। টিলা ভেদ করে পাকা সড়কটি পৌঁছে গেছে দূর অজানার পানে। চা বাগানের ছায়াগাছগুলোতে তখন ছড়িয়ে পড়ে মিষ্টি রোদের সোনার ঝিলিক। গাছে গাছে পাতায় পাতায় আর প্রকৃতির প্রসারিত অবারিত বুকজুড়ে সূর্যের আলো আর ছায়ার অপরূপ রূপ। এই দৃশ্যে মনপ্রাণ-চোখ ভরে উঠতে না উঠতেই শোনা যাবে পাতি শরালিদের (Lesser Whistling Duck) ডাকাডাকি। বিলটিতে পৌঁছামাত্র জলচর পাখিদের এমন রোমাঞ্চভরা ডাক শোনা যাবে।  এমন অবিরল, এমন শ্রবণমধুর ডাক বহুদিন শোনা হয়নি শহুরে নাগরিকদের। ‘হুইহুয়ি-চিচিচি’ এমন ধ্বনির সম্মিলিত স্বরগ্রামে ভরে উঠবে শহুরে মানুষের অনভ্যস্থ কান। প্রকৃতির মুখর-নিবিড় সুর-স্বর কান থেকে দূরে সরিয়ে দেবে মেটালিক শব্দের অট্টরোল। আর টিলাঘেরা এই জনপদের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে অবগাহনের সুযোগ তো আছেই।

এই পাতি-শরালিদের ডাক শুনে হৃদয় জুড়ায়। তাদের জলকেলি দেখে আপনা থেকেই ভরে ওঠে প্রাণ! জলচর এইসব হাঁসেদের ডাকেই সকাল আসে এখানে নিত্যদিন। হাঁস আর নানা প্রজাতির পাখিরা তাদের সম্মিলিত ডাকাডাকির মধ্য দিয়ে রাত্রির অন্ধকার থেকে ঝলমলে ভোরকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে যেন।

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাজঘাট চা বাগানের এই বিল-টিলাঘেরা নৈসর্গিক শোভা ছড়িয়ে থাকে আদিগন্ত। চা বাগান কর্তৃপক্ষের বিধিনিষেধ আর লোকচক্ষুর অন্তরালে পড়ে থাকার কারণে এটি প্রকৃতিপ্রেমীদের অদেখাই রয়ে গেছে।

Image result for অথিতি পাখির ছবি

গত (৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে এগারোটায় এই বিলে পৌঁছে দেখা যায়, পাতি-শরালিসহ জলচর পাখিদের সরব উপস্থিতি। জলকেলির সাথে পরস্পরের সঙ্গে নিবিড় আলাপনে মগ্ন ওরা। বিলজুড়ে ফুটে রয়েছে অসংখ্য শাপলা-পদ্ম। লাল শাপলার অসীম প্রাচুর্য বিলটিকে দিয়েছে নয়নমোহন শোভারূপ।

লেকের পুব পাশ ঘেঁষে নীরবে চলে গেছে সরু একটি পথ। এ পথটি মাটির। তবে এর কিছু অংশ ঘাসে ঢাকা।  সেই পথ ধরে এগোতেই বিলের আঁকাবাঁকা বাঁক। একপাশে চা গাছের সবুজ সারি, অন্যপাশে বিলের কাকচক্ষু জলের শোভা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

এই পাতি-শরালিদের ডাক শুনে হৃদয় জুড়ায়ে যায়

আপডেট টাইম : ১১:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দু’দিকেই চা বাগানের হৈমন্তিক শোভা। টিলা ভেদ করে পাকা সড়কটি পৌঁছে গেছে দূর অজানার পানে। চা বাগানের ছায়াগাছগুলোতে তখন ছড়িয়ে পড়ে মিষ্টি রোদের সোনার ঝিলিক। গাছে গাছে পাতায় পাতায় আর প্রকৃতির প্রসারিত অবারিত বুকজুড়ে সূর্যের আলো আর ছায়ার অপরূপ রূপ। এই দৃশ্যে মনপ্রাণ-চোখ ভরে উঠতে না উঠতেই শোনা যাবে পাতি শরালিদের (Lesser Whistling Duck) ডাকাডাকি। বিলটিতে পৌঁছামাত্র জলচর পাখিদের এমন রোমাঞ্চভরা ডাক শোনা যাবে।  এমন অবিরল, এমন শ্রবণমধুর ডাক বহুদিন শোনা হয়নি শহুরে নাগরিকদের। ‘হুইহুয়ি-চিচিচি’ এমন ধ্বনির সম্মিলিত স্বরগ্রামে ভরে উঠবে শহুরে মানুষের অনভ্যস্থ কান। প্রকৃতির মুখর-নিবিড় সুর-স্বর কান থেকে দূরে সরিয়ে দেবে মেটালিক শব্দের অট্টরোল। আর টিলাঘেরা এই জনপদের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে অবগাহনের সুযোগ তো আছেই।

এই পাতি-শরালিদের ডাক শুনে হৃদয় জুড়ায়। তাদের জলকেলি দেখে আপনা থেকেই ভরে ওঠে প্রাণ! জলচর এইসব হাঁসেদের ডাকেই সকাল আসে এখানে নিত্যদিন। হাঁস আর নানা প্রজাতির পাখিরা তাদের সম্মিলিত ডাকাডাকির মধ্য দিয়ে রাত্রির অন্ধকার থেকে ঝলমলে ভোরকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে যেন।

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাজঘাট চা বাগানের এই বিল-টিলাঘেরা নৈসর্গিক শোভা ছড়িয়ে থাকে আদিগন্ত। চা বাগান কর্তৃপক্ষের বিধিনিষেধ আর লোকচক্ষুর অন্তরালে পড়ে থাকার কারণে এটি প্রকৃতিপ্রেমীদের অদেখাই রয়ে গেছে।

Image result for অথিতি পাখির ছবি

গত (৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে এগারোটায় এই বিলে পৌঁছে দেখা যায়, পাতি-শরালিসহ জলচর পাখিদের সরব উপস্থিতি। জলকেলির সাথে পরস্পরের সঙ্গে নিবিড় আলাপনে মগ্ন ওরা। বিলজুড়ে ফুটে রয়েছে অসংখ্য শাপলা-পদ্ম। লাল শাপলার অসীম প্রাচুর্য বিলটিকে দিয়েছে নয়নমোহন শোভারূপ।

লেকের পুব পাশ ঘেঁষে নীরবে চলে গেছে সরু একটি পথ। এ পথটি মাটির। তবে এর কিছু অংশ ঘাসে ঢাকা।  সেই পথ ধরে এগোতেই বিলের আঁকাবাঁকা বাঁক। একপাশে চা গাছের সবুজ সারি, অন্যপাশে বিলের কাকচক্ষু জলের শোভা।