বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পাহাড় ও জলাশয় অধ্যুষিত অঞ্চল হওয়ায়, মৌলভীবাজার পাখিদের অন্যতম অভয়ারণ্য। মৌলভীবাজারে শীত মৌসুমে চা-বাগানের জলাশয়গুলো অতিথি পাখির এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে এসব জলাশয়ে। সংরক্ষিত এলাকা হওয়ায় অনেকটা লোকচক্ষুর অন্তরালে এসব পাখির বিচরণ। অতিথি পাখির বিচরণ ক্ষেত্র নিরাপদ রাখায় তৎপর রয়েছে বলে জানায় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
সবুজের গালিচায় মোড়ানো চা বাগানের মাঝে নয়নাভিরাম সরোবর। সরোবরের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে দূর দূরান্ত থেকে আসা অতিথি পাখিরা। হিমশীতল সাইবেরিয়াসহ বিভিন্ন শীতপ্রধান দেশ থেকে হরেক রকম পাখি আসে এদেশে। বৈকাল, বালিহাঁস, সরালি, শামুকভাঙ্গা- এরকম নানা নামের বর্ণিল পাখির মেলা বসেছে মৌলভীবাজারের চা বাগান জুড়ে। শীতের পাখির নৈ:স্বর্গিক সৌন্দর্যে আপ্লুত এখানকার স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, নাম না জানা অনেক অতিথি পাখি এখানে এসেছেন। পাখিগুলো দেখতে খু্বই সুন্দর। অনেক পর্যটকরা এখানে ভীড় করছেন পাখিগুলোকে দেখার জন্য।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা জানান, অতিথি পাখির বিচরণ যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সেজন্য চা বাগান কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মৌলভীবাজারের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা মিহির কুমার দো বলেন, এখানে আসা অতিথি পাখিদের কেউ শিকার করতে না পারে এবং তাদের কেউ উত্ত্যক্ত করতে না পারে, সেই জন্য সংশ্লিষ্ট চা বাগান মালিকদের জানিয়েছি।
মৌলভীবাজারে চা-বাগানের সেচ সুবিধার জন্য শতাধিক জলাশয় রয়েছে, যা অতিথি পাখির আশ্রয়স্থল।
সূত্র: সময় টিভি