ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাকিবের উইন্ডিজ সিরিজে খেলা নিয়ে যা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা মন্তব্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রতিবেশীদের আশানুরূপ সমর্থন পায়নি বাংলাদেশ বাতাসে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি, ঢাকার অবস্থা কি শাকিবের ‘দরদ’ নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস ভারতীয় ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎকার ‘ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফল হলেই ভারতের স্বার্থ রক্ষিত’ আইপিএল নিলামের চূড়ান্ত তালিকায় ১২ বাংলাদেশি ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাক-স্বাধীনতার: প্রধান উপদেষ্টা আজিমপুরে ডাকাতির সময় অপহৃত সেই শিশু উদ্ধার জুলাই গণঅভ্যুত্থান চোখ খুলে হাত-পা নাড়ছে গুলিবিদ্ধ সেই ছোট্ট মুসা

হরিণকে বাঁচাতে প্রয়োজন বানর

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নদী, সমুদ্র, প্রাকৃতিক বন আর চোখ জুড়ানো মায়াবী হরিণের দেশ হাতিয়ার ‘নিঝুম দ্বীপ’। তাই শহরের যান্ত্রিকতা থেকে কিছুদিনের জন্য মুক্তি পেতে অনেক প্রকৃতিপ্রেমীই পাড়ি জমান নোয়াখালীর এই দ্বীপাঞ্চলে; কিন্তু তীব্র খাদ্যাভাব, বন্য কুকুরের আক্রমণ, মিঠাপানির সংকট, প্রভাবশালীদের অত্যাচার আর রেঞ্জ কর্মকর্তাদের অবহেলায় এখানকার প্রায় ৪০ হাজার হরিণের জীবন আজ বিপন্ন।বিপুল পরিমাণ বৃক্ষনিধন, অধিক হারে বসতি নির্মাণ ও বন উজাড় হওয়ায় হরিণের খাদ্য সংকট। তা ছাড়া দিন দিনই বেড়ে উঠছে বনের গাছগুলোও। হরিণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে তাদের প্রধান খাবার গাছের পাতা।

হরিণ গাছেও উঠতে পারে না। মূলত বনের বানরই হরিণকে গাছ থেকে খাবার পেরে দেয়; কিন্তু কেওড়া, গেওয়া ও বাইনগাছবেষ্টিত এ দ্বীপে কোনো বানর নেই। তবে হরিণের খাদ্য সংকট দূর করার জন্য কয়েকটি বানর চেয়ে বন বিভাগকে বেশ কয়েকবার চিঠিও দিয়েছেন বিট কর্মকর্তা। এ বিষয়ে নিঝুম বিটের বন কর্মকর্তা মো. জাবের হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, নিঝুম দ্বীপের বনে এখন আর আগের মতো হরিণ নেই। খাদ্য সংকটসহ বিভিন্ন কারণে সেগুলো বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে। বনের গাছগুলোও বড় হয়ে যাওয়ায় হরিণের নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে পাতা। তাই হরিণের জন্য প্রয়োজন বেশ কিছু বানর। কয়েকটি বানর চেয়ে এর আগে বন বিভাগকে বেশ কয়েকবার চিঠিও লিখেছি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সাকিবের উইন্ডিজ সিরিজে খেলা নিয়ে যা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

হরিণকে বাঁচাতে প্রয়োজন বানর

আপডেট টাইম : ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নদী, সমুদ্র, প্রাকৃতিক বন আর চোখ জুড়ানো মায়াবী হরিণের দেশ হাতিয়ার ‘নিঝুম দ্বীপ’। তাই শহরের যান্ত্রিকতা থেকে কিছুদিনের জন্য মুক্তি পেতে অনেক প্রকৃতিপ্রেমীই পাড়ি জমান নোয়াখালীর এই দ্বীপাঞ্চলে; কিন্তু তীব্র খাদ্যাভাব, বন্য কুকুরের আক্রমণ, মিঠাপানির সংকট, প্রভাবশালীদের অত্যাচার আর রেঞ্জ কর্মকর্তাদের অবহেলায় এখানকার প্রায় ৪০ হাজার হরিণের জীবন আজ বিপন্ন।বিপুল পরিমাণ বৃক্ষনিধন, অধিক হারে বসতি নির্মাণ ও বন উজাড় হওয়ায় হরিণের খাদ্য সংকট। তা ছাড়া দিন দিনই বেড়ে উঠছে বনের গাছগুলোও। হরিণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে তাদের প্রধান খাবার গাছের পাতা।

হরিণ গাছেও উঠতে পারে না। মূলত বনের বানরই হরিণকে গাছ থেকে খাবার পেরে দেয়; কিন্তু কেওড়া, গেওয়া ও বাইনগাছবেষ্টিত এ দ্বীপে কোনো বানর নেই। তবে হরিণের খাদ্য সংকট দূর করার জন্য কয়েকটি বানর চেয়ে বন বিভাগকে বেশ কয়েকবার চিঠিও দিয়েছেন বিট কর্মকর্তা। এ বিষয়ে নিঝুম বিটের বন কর্মকর্তা মো. জাবের হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, নিঝুম দ্বীপের বনে এখন আর আগের মতো হরিণ নেই। খাদ্য সংকটসহ বিভিন্ন কারণে সেগুলো বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে। বনের গাছগুলোও বড় হয়ে যাওয়ায় হরিণের নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে পাতা। তাই হরিণের জন্য প্রয়োজন বেশ কিছু বানর। কয়েকটি বানর চেয়ে এর আগে বন বিভাগকে বেশ কয়েকবার চিঠিও লিখেছি।