বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে এবার খাগড়াছড়িতে রেকর্ড পরিমাণ পর্যটক এসেছে। প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয ও ঝরণার শীতলতায় গা ভাসাতে পাহাড়ি কন্যা খাগড়াছড়িতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন হাজারো সৌন্দর্য পিপাসু পর্যটক। ঝরণা, আলুটিলার রহস্যময় সুড়ঙ্গ, জেলা পরিষদ পার্কের ঝুলন্ত সেতু, মায়াবিনী লেক, দেবতা পুকুর, জেলার সীমান্ত শহর রামগড়ে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস অর্থাৎ বিডিআরের বর্তমানে বিজিবি’র জন্মস্থান’, কৃত্রিম লেক ও রামগড় ঝুলন্ত সেতুসহ প্রতিটি পর্যটন স্পট এখন পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়। অতিরিক্ত পর্যটকের সমাগমে পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে।
খাগড়াছড়ি পরিবহন সমিতির দপ্তর সম্পাদক মো. আবু বকর জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে খাগড়াছড়িতে বিপুল পরিমাণ পর্যটক আসা শুরু হয়েছে। এ চাপ আরো ২/৩ দিন থাকবে। বর্তমানে আমাদের পরিবহন সংকটে রয়েছে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে নয়নাভিরাম নানান দৃশ্য, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জীবনধারা, সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য, প্রকৃতি তৈরির নজরকাড়া হাজারো চিত্র।
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকার জয়ন্তী দে স্বামী ও সন্তান নিয়ে বেড়াতে এসেছেন খাগড়াছড়িতে।
তিনি নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশ পেয়ে খুব খুশি।
এ ছাড়া ঢাকার আতাউর, গাজীপুরের মো. শফি, নাজমা বেগম, মাসুদ রানা ও আতাউর সবাই ঈদের মধ্যে মনের প্রশান্তির জন্য খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পটগুলো বেছে নিয়েছেন।
এখানকার নির্মল বায়ু পরিবেশ, নিরাপত্তা সব কিছুই ভালো লেগেছে বলে জানান তারা।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে খাগড়াছড়িতে আসা পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার রয়েছে বহু হোটেল-রেস্টুরেন্ট। খাগড়াছড়িতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি স্পটে নিয়োজিত রাখা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ।