ঢাকা , রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতের আগমন ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখি আসতে শুরু করেছে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ শীতের আগমন একটু আগেই ঘটে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি)। প্রকৃতি সাজে নতুন রূপে। যেহেতু শীত মৌসুমে পরিযায়ী পাখিরা আসে, তাই প্রকৃতির সব প্রস্ততি শেষে জাবি ক্যাম্পাস অপেক্ষা করতে থাকে তাদের পাখির জন্য। শীতের প্রভাব, নিরাপদ আবাসস্থল ও খাদ্যের সন্ধানে প্রতি বছরের মতো এবারও ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখি আসতে শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের লেকগুলোতে। জাবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান বলেন, এ বছর অক্টোবরের প্রথম থেকেই পরিযায়ী পাখিরা ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেছে।

ইতোমধ্যে প্রায় ৭থেকে ৮শ পাখি এসেছে। এসব পাখি সবই ছোট সরালি প্রজাতির। এখন পর্যন্ত তিনটি লেকে (প্রশাসনিক ভবনের সামনের লেক, জাহানারা ইমাম হল সংলগ্ন লেক ও ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টারের লেক) পাখি দেখা যাচ্ছে।

Image result for পরিযায়ী পাখির ছবি

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামের পাশে সবচেয়ে বড় লেক, যেখানে গত বছর সবচেয়ে বেশি পাখি বসেছিল, এ বছর লেকটি অপরিষ্কার থাকায় পাখি কম বসছে। পরিষ্কার করতে প্রশাসনকে বলা হয়েছে। বড় লেক একবারে পরিষ্কার না করে অর্ধেক অর্ধেক করে পরিষ্কার করলে পাখির কোনোসমস্যা হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ১৯৮৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পরিযায়ী পাখি আসে। এসময় ৯০ প্রজাতির পাখি দেখা যায় ক্যাম্পাসে। বর্তমানে ১৯৫ প্রজাতির পাখির দেখা মেলে। যার মধ্যে ১২৬টি প্রজাতি দেশীয় এবং ৬৯টি পরিযায়ী বা পাখি।

Image result for পরিযায়ী পাখির ছবি

দুই ধরনের পাখির আগমন ঘটে এ ক্যাম্পাসে। এক ধরনের পাখি ডাঙায় বা শুকনো স্থানে বা ডালে বসে বিশ্রাম নেয়। আরেক ধরনের পাখি পানিতে থাকে ও বিশ্রাম নেয়। এদের বেশির ভাগই হাঁস জাতীয়।

এ ক্যাম্পাসে যেসব পাখি আসে তার মধ্যে ৯৮ শতাংশ ছোট সরালি। আর বাকি ২ শতাংশ অন্য প্রজাতির পাখি। এদের মধ্যে রয়েছে, বড় সরালি, ল্যাঞ্জা হাঁস, খুনতে হাঁস, ভূতি হাঁস, ঝুঁটি হাঁস ইত্যাদি।

প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও পাখিমেলার আহ্বায়ক মো. কামরুল হাসান বলেন, পাখি যেখানে নিরাপদ বোধ করে সেখানেই বসবে। সুতরাং, পাখি যাতে বিরক্ত না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এখন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে। তাছাড়া যারা দর্শনার্থী আছে তাদেরও সচেতন হতে হবে।

Related image

বিশ্ববিদ্যালয় এস্টেটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিন বলেন, কিছুদিন হলো ক্যাম্পাসে পরিযায়ী পাখি আসা শুরু করেছে। পাখিদের যেন কেউ বিরক্ত না করে সেজন্য আমরা শিগগিরই লেকের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেবো। তাছাড়া কিছু নিদের্শনা সম্বলিত বিলবোর্ডও লেকের পাশে টাঙানো হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

শীতের আগমন ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখি আসতে শুরু করেছে

আপডেট টাইম : ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ শীতের আগমন একটু আগেই ঘটে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি)। প্রকৃতি সাজে নতুন রূপে। যেহেতু শীত মৌসুমে পরিযায়ী পাখিরা আসে, তাই প্রকৃতির সব প্রস্ততি শেষে জাবি ক্যাম্পাস অপেক্ষা করতে থাকে তাদের পাখির জন্য। শীতের প্রভাব, নিরাপদ আবাসস্থল ও খাদ্যের সন্ধানে প্রতি বছরের মতো এবারও ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখি আসতে শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের লেকগুলোতে। জাবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান বলেন, এ বছর অক্টোবরের প্রথম থেকেই পরিযায়ী পাখিরা ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেছে।

ইতোমধ্যে প্রায় ৭থেকে ৮শ পাখি এসেছে। এসব পাখি সবই ছোট সরালি প্রজাতির। এখন পর্যন্ত তিনটি লেকে (প্রশাসনিক ভবনের সামনের লেক, জাহানারা ইমাম হল সংলগ্ন লেক ও ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টারের লেক) পাখি দেখা যাচ্ছে।

Image result for পরিযায়ী পাখির ছবি

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামের পাশে সবচেয়ে বড় লেক, যেখানে গত বছর সবচেয়ে বেশি পাখি বসেছিল, এ বছর লেকটি অপরিষ্কার থাকায় পাখি কম বসছে। পরিষ্কার করতে প্রশাসনকে বলা হয়েছে। বড় লেক একবারে পরিষ্কার না করে অর্ধেক অর্ধেক করে পরিষ্কার করলে পাখির কোনোসমস্যা হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ১৯৮৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পরিযায়ী পাখি আসে। এসময় ৯০ প্রজাতির পাখি দেখা যায় ক্যাম্পাসে। বর্তমানে ১৯৫ প্রজাতির পাখির দেখা মেলে। যার মধ্যে ১২৬টি প্রজাতি দেশীয় এবং ৬৯টি পরিযায়ী বা পাখি।

Image result for পরিযায়ী পাখির ছবি

দুই ধরনের পাখির আগমন ঘটে এ ক্যাম্পাসে। এক ধরনের পাখি ডাঙায় বা শুকনো স্থানে বা ডালে বসে বিশ্রাম নেয়। আরেক ধরনের পাখি পানিতে থাকে ও বিশ্রাম নেয়। এদের বেশির ভাগই হাঁস জাতীয়।

এ ক্যাম্পাসে যেসব পাখি আসে তার মধ্যে ৯৮ শতাংশ ছোট সরালি। আর বাকি ২ শতাংশ অন্য প্রজাতির পাখি। এদের মধ্যে রয়েছে, বড় সরালি, ল্যাঞ্জা হাঁস, খুনতে হাঁস, ভূতি হাঁস, ঝুঁটি হাঁস ইত্যাদি।

প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও পাখিমেলার আহ্বায়ক মো. কামরুল হাসান বলেন, পাখি যেখানে নিরাপদ বোধ করে সেখানেই বসবে। সুতরাং, পাখি যাতে বিরক্ত না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এখন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে। তাছাড়া যারা দর্শনার্থী আছে তাদেরও সচেতন হতে হবে।

Related image

বিশ্ববিদ্যালয় এস্টেটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিন বলেন, কিছুদিন হলো ক্যাম্পাসে পরিযায়ী পাখি আসা শুরু করেছে। পাখিদের যেন কেউ বিরক্ত না করে সেজন্য আমরা শিগগিরই লেকের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেবো। তাছাড়া কিছু নিদের্শনা সম্বলিত বিলবোর্ডও লেকের পাশে টাঙানো হবে।