বাঙ্গালী কণ্ঠ ডেস্কঃ মেহেরপুরের কৃষকরা দিন দিন ঝুঁকেছেন মাদ্রাজি জাতের ওলকচু চাষের প্রতি। জেলার কৃষকরা এখন বাণিজ্যিকভিত্তিতে চাষ করছেন ওই সবজিটি। পতিত ও বেলে-দোঁয়াশ মাটিতে ওলচাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা। বেশ কয়েক বছর ধরেই মাদ্রাজি ওলচাষ করে লাভবান হওয়ায় চাষিদের কাছে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ চাষটি। আর বাজারে চাহিদার পাশাপাশি এর দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবছর জেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে মাদ্রাজি ওলচাষ হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে জেলার কৃষকরা দেশী ওলের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন মাদ্রাজি ওলের। ওলচাষে বিঘাপ্রতি ৪০/৫০ হাজার টাকা খরচ করে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত ঘরে তুলছেন কৃষকরা। সুস্বাদু হওয়ায় ক্রেতারাও পছন্দ করে সবজিটি। এ কারণে দিন দিন বাড়ছে ওলকুচ কদর।ওলকচুএ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় প্রতিটি গাছ থেকে ৭/১৫ কেজি পর্যন্ত ওলের ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা। বাজারে ওলকচু প্রতিকেজি ৩০/৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার ঝাঁউবাড়িয়া গ্রামের কৃষক সাহাবুল ইসলাম ও রমজান আলী বাংলানিউজকে জানান, একবিঘা জমিতে ওলচাষ করতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। ফলন ভালো হলে সেখান থেকে ১৪০ থেকে ১৫০ মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। বিক্রি করে এক লাখ ১০ হাজার থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্তও কৃষকরা পেয়ে থাকেন।
গাংনী উপজেলা শহরের কৃষক সিরাজুল ইসলাম ও বাওট গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, আমরা এখন এটি চাষ করে ওলের বীজও উৎপাদন করে থাকি। ওল যেমন লাভবান একটি ফসল। এর বীজ বিক্রি করলে লাভ হয়। এক হাজার টাকা মণ ওলের বীজ বিক্রি হয়। ফলে এটি বর্তমানে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। আগামীতে এ ফসলের চাষটি আরও বাড়বে বলেও যোগ করেন তারা।ক্ষেতে চাষি।মেহেরপুর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, খাদ্যশস্য উৎপাদন করে মানুষ যখন নাভিশ্বাস ফেলছে, তখন ওলচাষ কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি দিয়েছে। তারা এখন লাভের আশা করছেন। তাই মেহেরপুর জেলায় ওলচাষ এখন অর্থকরী ফসলে রূপ নিয়েছে। কৃষকরা ওলকচু এবং ওলবীজ বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। কৃষিবিভাগ এই চাষ সম্প্রসারণে কৃষকদের উৎসাহিত করছেন ও নানাভাবে পরামর্শ দিচ্ছেন।