বাঙ্গালী কন্ঠ ডেস্কঃ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী। অনেক বুদ্ধিমানও। রহস্যময় এ প্রাণীর এমন অনেক গোপনীয় বিষয় আছে যা এখনও উন্মোচিত হয়নি। হাতির মজার কিছু অভ্যাস আছে।
হাতির ইংরেজি ‘এলিফ্যান্ট’ শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘এলিফাস’ থেকে এসেছে যার অর্থ ‘আইভরি’ বা ‘গজদন্ত’। বৃহদাকার এ প্রাণীটির মজার ও অদ্ভুত ৭ তথ্য…
* নেতৃত্ব দেয় মহিলা হাতি
হাতির সামাজিক কাঠামো অন্য জীবজন্তুর থেকে আলাদা। একটি মহিলা হাতির নেতৃত্বে ২০-২৫টি হাতি একসঙ্গে বাস করে- একে হার্ড বা পশুপাল বলে। হাতি-পরিবারে বয়স ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়।
* অনেক ঘুম প্রয়োজন হয় না
মানুষের দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন কিন্তু হাতির ৪ ঘণ্টা ঘুমালেই হয়। তারা বেশিরভাগ সময় দাঁড়িয়েই ঘুমায়। গভীর ঘুমের জন্য হাতি এক পাশে ফিরে শোয় এবং অনেক জোরে নাক ডাকে।
* হাতি বুদ্ধিমান প্রাণী
স্থলজ জীবজন্তুর মধ্যে হাতির মস্তিষ্ক সবচেয়ে বড়। হাতির মস্তিষ্কের ওজন প্রায় ৫ কিলোগ্রাম। হাতির বিষাদ, হাস্যরস, সহানুভূতি, সহযোগিতা, আত্মসচেতনতা, সরঞ্জাম ব্যবহার এবং চমৎকার শেখার ক্ষমতা আছে। এরা মৃত হাতির সম্মানে আচার-অনুষ্ঠান করে।
* গর্ভকাল দুই বছর
স্থলজ প্রাণীদের মধ্যে হাতির গর্ভকাল সবচেয়ে দীর্ঘ, যা ২২ মাস স্থায়ী হয়। মানুষের সন্তানের ওজন সর্বোচ্চ ৭ পাউন্ড হয় আর হাতির বাচ্চার ওজন হয় ২৬০ পাউন্ড। হাতির বাচ্চা জন্মের কিছুক্ষণ পরই দাঁড়াতে পারে।
* দীর্ঘ জীবন
সাধারণত একটি হাতি ৬০-৮০ বছর বাঁচে। কোনো হাতি অসুস্থ হলে হার্ডের অন্যরা খাবার এনে দেয় এবং তাকে দাঁড়াতে সাহায্য করে। যদি হাতিটি মারা যায় তাহলে মৃত হাতির জন্য অগভীর কবর খনন করে এবং ধুলামাটি ও ডালপালা দিয়ে ঢেকে দেয়। কবরের সামনে তারা কিছুদিন অবস্থান করে। মৃত হাতির সঙ্গীর মধ্যে বিষণ্ণতার লক্ষণ দেখা যায়।
* গজদন্ত
হাতির ইনসিজর দাঁত রূপান্তরিত হয়ে গজদন্ত হয় যা জীবনভর বৃদ্ধি পায়। পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ হাতির গজদন্ত বছরে ৭ ইঞ্চি বৃদ্ধি পায়। এশিয়ান মহিলা হাতির গজদন্ত থাকে না।
* শুঁড়
শুঁড় হাতির অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। হাতির শুঁড় অনেক শক্তিশালী হয়, যা দিয়ে গাছের ডালপালা চিরে ফেলতে পারে। পানি পান ও গোসলের জন্যও শুঁড় ব্যবহার হয়। শুঁড় দিয়ে হাতি একবারে ১৪ লিটার পানি শোষণ করতে পারে। শরীরে পানি, বালি বা মাটি ছিটানোর জন্য শুঁড় ব্যবহার হয়। হাতি সাঁতার কাটতে পারে। ডুবসাঁতারের সময় শ্বাস নেয়ার জন্য শুঁড়ের সাহায্য নেয়। এ ছাড়া হাতির বড় কান শরীরের তাপ বিচ্ছুরিত হতে সাহায্য করে। হাতি আওয়াজের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। হাতির এ আওয়াজ এক মাইল দূরের হাতিরাও শুনতে পায়। হাতি আনন্দ প্রকাশের জন্য কান নাড়ায়।