বাঙালী কন্ঠ ডেস্কঃ জলন্ত আগুনে কিছু পুড়লেই তা কালো হয়ে যায়! যা কিছুই আগুনে পোড়ানো হোক কাঠ, প্লাস্টিক, কাপড়, কাগজের টুকরো বা কোনো প্রাণীর চামড়া প্রায় সবকিছুই তাদের আসল রং হারিয়ে কালো রং ধারণ করে।
শুধু তাই নয় এগুলো পোড়ার সময় এদের মধ্য হতে নির্গত ধোঁয়াও কালো হয়ে থাকে। কিন্তু কেন? এক কথায় বললে কার্বন এর উপস্থিতির জন্য। যেকোনো কিছু পোড়ার জন্য তা ফুয়েল বা জ্বালানি হতে হয়। তবে ফুয়েল মানে শুধু পেট্রল, ডিজেল বা অন্য পেট্রোলিয়াম দ্রব্য না। যেকোনো জিনিস যা দহন ক্রিয়া ঘটাতে পারে সেগুলোই ফুয়েল হিসেবে গণ্য করা হয়।
আর কার্বনই এই দহন কার্যে সাহায্য করে। কার্বন যে সবসময় তার আসল রূপেই থাকবে ব্যাপারটা এমন নয়। কার্বন অন্য রুপেও থাকতে পারে। যেমন- পেট্রোলিয়াম এ আছে হাইড্রোকার্বন আবার কাঠে আছে সেলুলোজ। তবে হাইড্রোজেন ‘জ্বালানি’ হলেও এর মধ্যে কার্বন নেই এজন্য একে ইকো-ফ্রেন্ডলি ফুয়েল বলা হয়।
এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, কার্বনের নিজের রং কালো তাই পুড়ে যাওয়া বেশিরভাগ জিনিসই কালো রং ধারণ করে। কয়লাতে কার্বনের পরিমাণ অনেক বেশি তাই কয়লা এতো কালো হয়। আরেকটি ব্যাপার হলো কোনো কিছু সম্পূর্ণভাবে না পুড়লেও কিন্তু তা কালো রং ধারণ করে। দহন প্রক্রিয়া কয়েকটি বিষয় এর উপর নির্ভর করে এর মধ্যে প্রধান হলো-
১. জ্বালানি ও বাতাসের অনুপাত।
২. জ্বালানীর বিশুদ্ধতা।
৩. পুর্ণদহন সম্পন্ন করা খুবই কঠিন। বিমান থেকে বের হওয়া ধোঁয়া সাদা থাকে কারণ বিমানে অনেক বিশুদ্ধ জ্বালানি ব্যবহার করা হয়।
সহজভাবে বলা যায়, আমরা যখন কোনো কিছু পোড়াই তখন পুর্ণদহন ঘটেনা। তাই ওই বস্তুর মধ্যে থাকা কার্বন কণাগুলো থেকে যায়, এজন্যই সেগুলো পুড়ে যাওয়ার পরে কালো দেখায়।