বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আমরা দেখতে পাই একজন মহান নেতা তার দেশের মানুষের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি যেদিন দেশে প্রত্যাবর্তন করেন, ঠিক তার পরের দিন তিনি সংবিধান তৈরির উদ্যোগ নেন। মাত্র তিন বছর তিনি দায়িত্বে ছিলেন। এত অল্প সময়ে তিনি ১২০টি দেশের স্বীকৃতি আদায় করে নেন। সব কাজের ভেতর তিনি সংবিধানকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সংবিধান ছাড়া একটি রাষ্ট্র হালবিহীন নৌকার মতো।
বঙ্গবন্ধু বলেছেন, এটা জনতার শাসনতন্ত্র। শনিবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংবিধানের বিভিন্ন বিষয় তৈরিতে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, বাংলার মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু। এদেশের মানুষের কি চাহিদা, কি দারিদ্র্য তাদের এসব কথাই তার বক্তৃতা, কথায় বারবার উঠে এসেছে। তার বক্তব্যের মূলনীতিগুলোই কিন্তু সংবিধান প্রস্তুতে উঠে এসেছে। তিনি বলেন, আপনারা দেখবেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে তার পিতার জীবনদর্শনই উঠে এসেছে। আজকে নয় লাখ গৃহহীনকে ঘর করে দেওয়া, ৩২ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে, দুই কোটি মানুষকে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে। এ যে ব্যাপক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে, এসবই বঙ্গবন্ধুর দর্শনের ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে।
স্পিকার আরও বলেন, আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে এ সংবিধান পেয়েছি। আমরা রক্তের মাধ্যমে সংবিধান পেয়েছি। সে কারণেই এটি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান। যা অন্যান্য সংবিধানের মতো নয়। সভায় সভাপতির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞার সমন্বয়ে বাংলাদেশের সংবিধান তৈরি করেছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, জাতীয়তাবাদের কোনো বিকল্প নেই। আর তাই, তিনি বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে তুলেছিলেন। তিনি বলেন, গত অর্ধশত বছরের অভিজ্ঞতা বলে দেশে যখনই বঙ্গবন্ধুর দর্শন থেকে সংবিধান সরে গিয়েছে, তখনই মানুষ আইনের শাসন, ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাই অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ।সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব (আইন ও বিচার বিভাগ) মো. গোলাম সারওয়ার, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব (লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ) মো. মইনুল কবির, আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির প্রমুখ।