ঢাকা , বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

মন্ত্রী এমপি নেতারা কীভাবে সীমান্ত দিয়ে পালালেন, জানে না বিজিবি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ আওয়ামী লীগের নেতা-সমর্থক অনেকেই দেশ ছেড়েছেন বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে। দালাল সিন্ডিকেটের সহায়তায় কেউ কেউ ভারতে ঢুকতে কোটি টাকাও দিয়েছেন। তবে ২০ লাখের নিচে কেউ ঢুকতে পারেননি।

অভিযোগ আছে, ভিআইপিদের অনেকে পার হওয়ার সময় দুদেশের প্রশাসনের লোকজনের সহায়তা নিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। আওয়ামী দোসরদের সাজানো প্রশাসন হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে অনেকে তাদের নির্বিঘ্নে দেশ ছাড়তে সব ধরনের সহায়তা দিয়েছেন এবং এখনো দিচ্ছেন।

ইতোমধ্যে তালিকাভুক্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিরোধী ২২ অ্যাকটিভিস্টকে গ্রেফতার করেছে বিজিবি।কিন্তু সীমান্তে বিজিবি শক্ত অবস্থান নেওয়ার পরও প্রচুর সংখ্যক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী-সমর্থক ও সাবেক মন্ত্রী-এমপি পালিয়েছেন। তারা কীভাবে, কোন সীমান্ত দিয়ে পালিয়েছেন- তা জানে না দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীটি।

তবে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজিবি সদর দপ্তরের কনফারেন্স হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, দেশ থেকে পালানোর ঘটনায় বিজিবির দায় আছে। তো শুধু কি বিজিবিই দায়বদ্ধ? কোন সীমান্ত দিয়ে কে পালিয়ে গেছেন তা অবশ্যই তদন্ত করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, গত ৬ আগস্ট থেকে স্ক্রল দেখেছেন যে, সীমান্ত পথে পালানো রোধে বিজিবিকে সহায়তা করুন। এই নির্দেশনা কেউ বিজিবিকে দেয়নি। নিজ উদ্যোগে করেছি। তখন থেকে আমরা চেষ্টা করছি। তথ্য দেওয়ার যেসব সংস্থা আছে তারাও যদি তথ্য দেন তাহলে কাজটা সহজ হয়।

বিজিবির ডিজি বলেন, সবাই কি পালিয়ে গেছে? আমার মনে হয় না। জনবহুল এই দেশে কেউ কেউ আত্মগোপনে আছেন। মাদক ব্যবসায়ী বদিকে ধরার জন্য বেশকটি অভিযান পরিচালনা করেছি। শোনা গেল তিনি ট্রলারে করে মিয়ানমার গেছেন। কিন্তু গ্রেফতার হলেন সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) থেকে। এরকম একদিকে যাওয়ার আওয়াজ দিয়ে অন্য দিক থেকে পালানোর চেষ্টা করছেন অনেকে।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের কাছেও তথ্য থাকে। বিজিবিকে জানান, আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা পালানো রোধে বদ্ধপরিকর।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

তিতুমীর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে এক সপ্তাহে কমিটি গঠন

মন্ত্রী এমপি নেতারা কীভাবে সীমান্ত দিয়ে পালালেন, জানে না বিজিবি

আপডেট টাইম : ১২:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ আওয়ামী লীগের নেতা-সমর্থক অনেকেই দেশ ছেড়েছেন বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে। দালাল সিন্ডিকেটের সহায়তায় কেউ কেউ ভারতে ঢুকতে কোটি টাকাও দিয়েছেন। তবে ২০ লাখের নিচে কেউ ঢুকতে পারেননি।

অভিযোগ আছে, ভিআইপিদের অনেকে পার হওয়ার সময় দুদেশের প্রশাসনের লোকজনের সহায়তা নিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। আওয়ামী দোসরদের সাজানো প্রশাসন হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে অনেকে তাদের নির্বিঘ্নে দেশ ছাড়তে সব ধরনের সহায়তা দিয়েছেন এবং এখনো দিচ্ছেন।

ইতোমধ্যে তালিকাভুক্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিরোধী ২২ অ্যাকটিভিস্টকে গ্রেফতার করেছে বিজিবি।কিন্তু সীমান্তে বিজিবি শক্ত অবস্থান নেওয়ার পরও প্রচুর সংখ্যক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী-সমর্থক ও সাবেক মন্ত্রী-এমপি পালিয়েছেন। তারা কীভাবে, কোন সীমান্ত দিয়ে পালিয়েছেন- তা জানে না দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীটি।

তবে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজিবি সদর দপ্তরের কনফারেন্স হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, দেশ থেকে পালানোর ঘটনায় বিজিবির দায় আছে। তো শুধু কি বিজিবিই দায়বদ্ধ? কোন সীমান্ত দিয়ে কে পালিয়ে গেছেন তা অবশ্যই তদন্ত করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, গত ৬ আগস্ট থেকে স্ক্রল দেখেছেন যে, সীমান্ত পথে পালানো রোধে বিজিবিকে সহায়তা করুন। এই নির্দেশনা কেউ বিজিবিকে দেয়নি। নিজ উদ্যোগে করেছি। তখন থেকে আমরা চেষ্টা করছি। তথ্য দেওয়ার যেসব সংস্থা আছে তারাও যদি তথ্য দেন তাহলে কাজটা সহজ হয়।

বিজিবির ডিজি বলেন, সবাই কি পালিয়ে গেছে? আমার মনে হয় না। জনবহুল এই দেশে কেউ কেউ আত্মগোপনে আছেন। মাদক ব্যবসায়ী বদিকে ধরার জন্য বেশকটি অভিযান পরিচালনা করেছি। শোনা গেল তিনি ট্রলারে করে মিয়ানমার গেছেন। কিন্তু গ্রেফতার হলেন সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) থেকে। এরকম একদিকে যাওয়ার আওয়াজ দিয়ে অন্য দিক থেকে পালানোর চেষ্টা করছেন অনেকে।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের কাছেও তথ্য থাকে। বিজিবিকে জানান, আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা পালানো রোধে বদ্ধপরিকর।