সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক মন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, কর্ণেল (অব) ফারুক খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ ৪৯ জনকে আজ বুধবার সকালে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
আদালতে হাজিরকৃতদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনের হত্যা মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো এবং কাউকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। ঢাকার চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত শুনানি শেষে পুলিশের আবেদনসমূহ মঞ্জুর করেছেন।
বুধবার হাজির করা অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া আলোচিত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি শাহরিয়ার কবির, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, সাবেক কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
আসামিদের মধ্যে সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, হাজী সেলিম, সাবেক আইজিপি মামুনসহ প্রমুখের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় ২৪৮টি হত্যা মামলা হয়েছে। এসব মামলার একটিতেও এখন পর্যন্ত চার্জশিট হয়নি। সবগুলোই তদন্তাধীন আছে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের হাতে। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী, এমপি, আমলা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ অনেককেই আসামি করা হয়। এর মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, এমপি, পুলিশ কর্মকর্তা, সাবেক সচিব, সাংবাদিকসহ হাইপ্রোফাইল ৮০ জন এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। মামলার পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে র্যাব-পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিযান চলমান রয়েছে।
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সর্বাধিক রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের। তাকে মোট ৫০ দিন রিমান্ডে নিয়ে বিভিন্ন হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর পরই সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ৪৭ দিন, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে ৩০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তাদের এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২০টি করে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তার অন্যদের অধিকাংশকেই ৫ থেকে ২০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।