ঢাকা ০৩:৩৬:০৪ এএম, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ধারাভাষ্য প্যানেলে বাংলাদেশের আতহার তিস্তাপাড়ের মানুষের মতামত নিয়েই হবে মহাপরিকল্পনা: পরিবেশ উপদেষ্টা কুয়েটে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংঘর্ষ চলছে, আহত ৩০ অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তি কারও করুণার বিষয় নয়: তারেক রহমান চট্টগ্রাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটি চট্টগ্রামে হাসনাত-আরিফকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ১৬ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিতে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাইব্যুনাল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রাইভেটকারে রহস্যজনক আগুন সুনামগঞ্জে মোবাইল মার্কেটে ৪৮ লাখ টাকার মালামাল চুরি বিএনপি সবসময় দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় লড়াই করেছে: মিনু তিস্তার ন্যায্য হিস্যা আদায়ে পদযাত্রায় জনতার ঢল

হেডম থাকলে দেশে আসেন, রাব্বানীকে হাসনাত

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির দায়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ থেকে সরিয়ে দেওয়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে দেশে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের অংশ হিসেবে দলটির নেতাকর্মীদের বিচার চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ওই পোস্টে নিষিদ্ধ সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী হাসনাতদের বিচার করার জরুরি বলে কমেন্ট করেন। রাব্বানীর করা কমেন্টের জবাবও দেন হাসনাত।

হাসনাত আবদুল্লাহ তার মূল পোস্টে লেখেন, রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুশীলতা দিনশেষে আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সিরিয়ায় যে পরিস্থিতিতে মাত্র তিন দিনেই আসাদ সরকারের ৩৫ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ঠিক সেই পরিস্থিতিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং ফ্যাসিবাদের মদদদাতা একজন নেতাকর্মীরও বিচার হয়নি। বর্তমান সরকারের এ ধরনের দয়াপরবশ হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচার করতে স্বেচ্ছায় বিলম্ব করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে অপমানের শামিল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরও লেখেন, অথচ, ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বিপ্লবীদের হত্যাযজ্ঞে নেমে পড়ত। নির্বিচারে গুম, খুন ও আরেকটি গণহত্যা করতে তারা তখন বিন্দুমাত্র পিছপা হতো না। গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শত শত মানুষের গলায় পড়তো ফাঁসির দড়ি, ক্রসফায়ারে মারা পড়ত অগণিত ফ্যাসিবাদ বিরোধী মানুষ, আয়না ঘরের অন্ধকারে ঠাঁই হতো হাজার হাজার ছাত্র-জনতার। সারা দেশে তখন নেমে আসত নিরপরাধ জনমানুষের শোকের কালছায়া।

তিনি আরও লেখেন, ঠিক এ কারণেই আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের এখনকার আচরণ ঠিক তেমন হওয়া উচিত যেমন আচরণ ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে আওয়ামী লীগ আমাদের সঙ্গে করত। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের সব নেতাকর্মীর বিচার দ্রুতগতিতে কার্যকর করা এবং প্রশাসন থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরে বিরাজ করা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিজম কায়েমের সফট এনাবলারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায়, এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমাদের সব শহিদের আত্মদান ও হাজারো আহত সহযোদ্ধার রক্ত বিসর্জন বৃথায় পর্যবসিত হবে।

অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ আরও লেখেন, আওয়ামী লীগের প্রতি ন্যূনতম দয়া নেই। সুতরাং অতিদ্রুত দলটির নেতাকর্মীদের বিচার দৃশ্যমান করুন, কার্যকর করুন।

হাসনাতের পোস্টের কমেন্টে গোলাম রাব্বানী লিখেছেন, মেটিকুলাসলি ডিজাইনড ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদী অংশ হিসেবে দেশকে পাকি বীর্যের উত্তরাধিকারদের হাতে তুলে দিয়ে চরম অরাজকতা, নিরাপত্তাহীনতায় ঠেলে দেওয়ার জন্য সবার আগে তোমাদের বিচার করা জরুরি।

জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, গোলাম রাব্বানী দেশে আসেন। দেশে এসে বিচার করেন। হেডম থাকলে আসেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ধারাভাষ্য প্যানেলে বাংলাদেশের আতহার

হেডম থাকলে দেশে আসেন, রাব্বানীকে হাসনাত

আপডেট টাইম : ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির দায়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ থেকে সরিয়ে দেওয়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে দেশে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের অংশ হিসেবে দলটির নেতাকর্মীদের বিচার চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ওই পোস্টে নিষিদ্ধ সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী হাসনাতদের বিচার করার জরুরি বলে কমেন্ট করেন। রাব্বানীর করা কমেন্টের জবাবও দেন হাসনাত।

হাসনাত আবদুল্লাহ তার মূল পোস্টে লেখেন, রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুশীলতা দিনশেষে আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সিরিয়ায় যে পরিস্থিতিতে মাত্র তিন দিনেই আসাদ সরকারের ৩৫ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ঠিক সেই পরিস্থিতিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং ফ্যাসিবাদের মদদদাতা একজন নেতাকর্মীরও বিচার হয়নি। বর্তমান সরকারের এ ধরনের দয়াপরবশ হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচার করতে স্বেচ্ছায় বিলম্ব করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে অপমানের শামিল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরও লেখেন, অথচ, ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বিপ্লবীদের হত্যাযজ্ঞে নেমে পড়ত। নির্বিচারে গুম, খুন ও আরেকটি গণহত্যা করতে তারা তখন বিন্দুমাত্র পিছপা হতো না। গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শত শত মানুষের গলায় পড়তো ফাঁসির দড়ি, ক্রসফায়ারে মারা পড়ত অগণিত ফ্যাসিবাদ বিরোধী মানুষ, আয়না ঘরের অন্ধকারে ঠাঁই হতো হাজার হাজার ছাত্র-জনতার। সারা দেশে তখন নেমে আসত নিরপরাধ জনমানুষের শোকের কালছায়া।

তিনি আরও লেখেন, ঠিক এ কারণেই আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের এখনকার আচরণ ঠিক তেমন হওয়া উচিত যেমন আচরণ ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে আওয়ামী লীগ আমাদের সঙ্গে করত। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের সব নেতাকর্মীর বিচার দ্রুতগতিতে কার্যকর করা এবং প্রশাসন থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরে বিরাজ করা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিজম কায়েমের সফট এনাবলারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায়, এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমাদের সব শহিদের আত্মদান ও হাজারো আহত সহযোদ্ধার রক্ত বিসর্জন বৃথায় পর্যবসিত হবে।

অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ আরও লেখেন, আওয়ামী লীগের প্রতি ন্যূনতম দয়া নেই। সুতরাং অতিদ্রুত দলটির নেতাকর্মীদের বিচার দৃশ্যমান করুন, কার্যকর করুন।

হাসনাতের পোস্টের কমেন্টে গোলাম রাব্বানী লিখেছেন, মেটিকুলাসলি ডিজাইনড ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদী অংশ হিসেবে দেশকে পাকি বীর্যের উত্তরাধিকারদের হাতে তুলে দিয়ে চরম অরাজকতা, নিরাপত্তাহীনতায় ঠেলে দেওয়ার জন্য সবার আগে তোমাদের বিচার করা জরুরি।

জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, গোলাম রাব্বানী দেশে আসেন। দেশে এসে বিচার করেন। হেডম থাকলে আসেন।