এ ব্যাপারে সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, সহিংসতার প্রতিটি ঘটনা নির্বাচনের সময় ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করে মামলা করতে পারে নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, সহিংসতার দায় নির্বাচন কমিশনের আছে, সরকারের আছে, ওই এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনের আছে। তবে সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাবে না দায়টা কার।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মুজমদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, নির্বাচন কমিশন যথাযথ ভূমিকা না নেয়ায় নির্বাচনে প্রাণহানির ঘটনা বেড়েছে। নির্বাচনে যদি কমিশন কঠোরতা অবলম্বন করতো, আচরণবিধি ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুতগতিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতো, একই সঙ্গে যদি সরকার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহায়তা করতো তাহলে অবশ্যই প্রাণহানি এড়ানো যেত।
তিনি বলেন, মূলত দলীয় নির্বাচন, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফায়দার নির্বাচন আর এসব কারণেই প্রাণহানির এই ঘটনা বেড়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সচিব সিরাজুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, এটা আইনি অপরাধ, আইন অনুযায়ী এর তদন্ত হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নির্বাচন কমিশন কোনো তদন্ত করবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তদন্ত করবে কেন? তদন্তকারী কর্তৃপক্ষই তদন্ত করবে, পুলিশ করবে। তদন্ত করার জন্য বিশেষভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে আমরা বলেছি।
স্থানীয় পুলিশ বা প্রশাসনের কোনো অবহেলা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবহেলা হলে সে বিষয়টি দেখা হবে।
এ পর্যন্ত পাঁচ ধাপে ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১১২ জনে গিয়ে ঠেকেছে। বাংলাদেশে অতীতের যেকোনো ইউপি নির্বাচনের চেয়ে এই নির্বাচনে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে।