ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমি হেড অফ দ্য গভর্নমেন্ট, অমূলক কথা বলি না : শেখ হাসিনা

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যখন কথা বলি, মনে রেখে দেবেন; কোনো অমূলক কথা বলি না।  একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না, আমি হেড অফ দ্য গভর্নমেন্ট।  আমার কাছে নিশ্চয়ই তথ্য আছে।

দেশে জঙ্গি কর্মকাণ্ড এবং একের পর এক গুপ্তহত্যার পেছনে বিএনপি-জামায়াতের হাত থাকার অভিযোগ সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিন দেশ সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে বুধবার গণভবনে সাংবাদিকদের সামনে এসে গুপ্তহত্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী।

একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রধান নির্বাহী সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‌‘যারা পেট্রেলবোমা দিয়ে মানুষ মেরেছে, তারাই গুপ্তহত্যা করছে’ বলে যে অভিযোগ সরকারপ্রধান করে আসছেন তা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে নাগরিক সমাজের কারো কারো ধারণা।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তদন্তের স্বার্থে সব কথা হয়তো প্রচার করা যাবে না, বলা যাবে না, প্রকাশ করা যাবে না।  আমরা সূত্র ধরেই কথা বলি।

তিনি


বলেন, যারা সরকারের অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক বক্তব্য’ মনে করেন, তারা যদি জানেন যে, সন্ত্রাসী আসলে কারা তাহলে সেই তথ্যটি সরকারকে দিতে বলেন।

সব তথ্য যাচাই করেই জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন একজন আসামি ধরি, তখন সমস্ত ক্লু ধরে, টেলিফোন নম্বর থেকে মিলিয়ে, সব কিছু মিলিয়ে একজনকে ধরি।  তার পরিচয়ের সূত্রটা ধরে আমরা যোগসূত্রটা পেতে পারি।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা মনে করেন, শুধুমাত্র রাজনীতিক হিসেবে বলছি, রাজনৈতিক কারণে বলছি, বাইরে জঙ্গিরা পার পেয়ে যাচ্ছে।  সেই পার পেয়ে যাওয়া জঙ্গিরা কারা?

তিনি বলেন, তাদের নাম-ঠিকানা, তাদের পরিচয়টা যদি জেনে থাকেন, তাহলে দয়া করে আমাদের জানান।  জঙ্গি জঙ্গিই, সে যে দলেরই হোক, আমাদের কাছ থেকে রেহাই পাবে না।

বিএনপি-জামায়াতের প্রতি ইংগিত করে শেখ হাসিনা বলেন, যারাই এ ধরনের জঙ্গি ঘটনা বাংলাদেশে ঘটিয়েছে, কোনো না কোনোভাবে তাদের সঙ্গে এদের যোগসূত্র রয়েছে।

যারা বিএনপি-জামায়াতকে ‘বাঁচাতে বা রক্ষা করতে’ চায় তারাই জঙ্গি দমন নিয়ে প্রশ্ন করছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় কার্যকর করা নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ‘নাক গলানোর’ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে একজন জানতে চান, সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করবে কি-না।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি কারো সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করায় বিশ্বাসী নন।

সৌদি আরবের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী সামরিক জোটে বাংলাদেশের যোগ দেয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানে অত্যন্ত সৃদৃঢ়।  যারাই পৃথিবীর যে দেশই সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান নেবে, আমরা তাদের সাথে আছি।  আমরা সহায়তা দেব।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়া আলম উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

আমি হেড অফ দ্য গভর্নমেন্ট, অমূলক কথা বলি না : শেখ হাসিনা

আপডেট টাইম : ০৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০১৬

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যখন কথা বলি, মনে রেখে দেবেন; কোনো অমূলক কথা বলি না।  একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না, আমি হেড অফ দ্য গভর্নমেন্ট।  আমার কাছে নিশ্চয়ই তথ্য আছে।

দেশে জঙ্গি কর্মকাণ্ড এবং একের পর এক গুপ্তহত্যার পেছনে বিএনপি-জামায়াতের হাত থাকার অভিযোগ সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিন দেশ সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে বুধবার গণভবনে সাংবাদিকদের সামনে এসে গুপ্তহত্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী।

একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রধান নির্বাহী সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‌‘যারা পেট্রেলবোমা দিয়ে মানুষ মেরেছে, তারাই গুপ্তহত্যা করছে’ বলে যে অভিযোগ সরকারপ্রধান করে আসছেন তা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে নাগরিক সমাজের কারো কারো ধারণা।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তদন্তের স্বার্থে সব কথা হয়তো প্রচার করা যাবে না, বলা যাবে না, প্রকাশ করা যাবে না।  আমরা সূত্র ধরেই কথা বলি।

তিনি


বলেন, যারা সরকারের অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক বক্তব্য’ মনে করেন, তারা যদি জানেন যে, সন্ত্রাসী আসলে কারা তাহলে সেই তথ্যটি সরকারকে দিতে বলেন।

সব তথ্য যাচাই করেই জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন একজন আসামি ধরি, তখন সমস্ত ক্লু ধরে, টেলিফোন নম্বর থেকে মিলিয়ে, সব কিছু মিলিয়ে একজনকে ধরি।  তার পরিচয়ের সূত্রটা ধরে আমরা যোগসূত্রটা পেতে পারি।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা মনে করেন, শুধুমাত্র রাজনীতিক হিসেবে বলছি, রাজনৈতিক কারণে বলছি, বাইরে জঙ্গিরা পার পেয়ে যাচ্ছে।  সেই পার পেয়ে যাওয়া জঙ্গিরা কারা?

তিনি বলেন, তাদের নাম-ঠিকানা, তাদের পরিচয়টা যদি জেনে থাকেন, তাহলে দয়া করে আমাদের জানান।  জঙ্গি জঙ্গিই, সে যে দলেরই হোক, আমাদের কাছ থেকে রেহাই পাবে না।

বিএনপি-জামায়াতের প্রতি ইংগিত করে শেখ হাসিনা বলেন, যারাই এ ধরনের জঙ্গি ঘটনা বাংলাদেশে ঘটিয়েছে, কোনো না কোনোভাবে তাদের সঙ্গে এদের যোগসূত্র রয়েছে।

যারা বিএনপি-জামায়াতকে ‘বাঁচাতে বা রক্ষা করতে’ চায় তারাই জঙ্গি দমন নিয়ে প্রশ্ন করছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় কার্যকর করা নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ‘নাক গলানোর’ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে একজন জানতে চান, সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করবে কি-না।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি কারো সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করায় বিশ্বাসী নন।

সৌদি আরবের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী সামরিক জোটে বাংলাদেশের যোগ দেয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানে অত্যন্ত সৃদৃঢ়।  যারাই পৃথিবীর যে দেশই সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান নেবে, আমরা তাদের সাথে আছি।  আমরা সহায়তা দেব।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়া আলম উপস্থিত ছিলেন।