বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া পৃথক বাণীতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, ‘শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনের কর্মসূচিকে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতি ও প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে কোনও জাতির উন্নয়নে সাক্ষরতার বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, “শিক্ষা জ্ঞান অর্জনের মূল ভিত্তি, আর স্বাক্ষর জ্ঞান এর প্রাথমিক সোপান। সাক্ষরতার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জনের দ্বার উন্মুক্ত হয়, যা জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে। তাই সাক্ষরতা অর্জন দেশের মানব সম্পদ তৈরির প্রথম ধাপ।
এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘লিটারেসি অ্যান্ড স্কিলস ডেভলপমেন্ট’ এবং ‘সাক্ষরতা অর্জন করি, দক্ষ হয়ে জীবন গড়ি’ স্লোগান অত্যন্ত যুগোপযোগী এবং এ আয়োজনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়েছে।”
তিনি বলেন, এছাড়া বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশু-কিশোরদের বিশেষ ব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান, নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতা প্রদান, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদেরকে আলোকিত ও যোগ্য নাগরিক রাষ্ট্রপতি দিবসটি উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে এ দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য এবং নিরক্ষরতামুক্ত সোনার বাংলাদেশে পরিণত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাণীতে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি-৪) মানসম্মত ও সার্বজনীন শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং জীবনব্যাপী শিক্ষা প্রসারের অঙ্গীকার ব্যক্ত হয়েছে, যা বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণপূর্বক ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আমাদের সরকারের গৃহীত সাক্ষরতা ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংক্রান্ত উন্নয়ন কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্ত করে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ অপরিহার্য। সরকার দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে স্বাক্ষর জ্ঞান প্রদানের লক্ষ্যে ‘মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা)’ বাস্তবায়ন করছে। এর মাধ্যমে দেশের ১৫-৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষর নারী-পুরুষ সাক্ষরতা অর্জন করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টায় বিগত এক দশকে সাক্ষরতার হার ২৮.১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৭২.৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। খবর-বাসস