ঢাকা , বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

‘কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী, কাঁদালেনও সবাইকে’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার স্মৃতিচারণ করে অশ্রুসজল হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজে কাঁদলেন, কাঁদালেনও উপস্থিত সবাইকে।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ (উত্তর ও দক্ষিণ) আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্যের এক পর্যায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। বারবার টিস্যু দিয়ে চোখ মুচতে দেখা যায় তাকে।

এ সময় দেশের মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর আস্থা ও বিশ্বাসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেননি। বলেছেন, এ দেশের সবাই আমার সন্তান। এরা কি আমাকে হত্যা করতে পারে?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টে শুধু একটা পরিবারকে হত্যা নয়। এর মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের ইতিহাস মুছে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশ সৃষ্টিতে যার অবদান, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে যত আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর যে অবদান, তা মুছে দেয়া হয়েছিল। তখন একটি মাত্র টেলিভিশন ছিল-বিটিভি। সেই বিটিভিতেও একটি বারের জন্য বঙ্গবন্ধুর নামটি আসেনি। একেবারে ইতিহাস থেকেই মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়।’

ইতিহাসের কলঙ্কজনক ওই দিনের স্মৃতিচারন করতে গিয়ে অশ্রুসজল হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। বার বার চোখ মুছেন। এ সময় সেখানকার পরিবেশ বেদনায় ভারী হয়ে ওঠে। উপস্থিত নেতা-কর্মীদের চোখ অশ্রুতে ছলছল করে ওঠে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

তিতুমীর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে এক সপ্তাহে কমিটি গঠন

‘কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী, কাঁদালেনও সবাইকে’

আপডেট টাইম : ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৯

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার স্মৃতিচারণ করে অশ্রুসজল হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজে কাঁদলেন, কাঁদালেনও উপস্থিত সবাইকে।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ (উত্তর ও দক্ষিণ) আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্যের এক পর্যায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। বারবার টিস্যু দিয়ে চোখ মুচতে দেখা যায় তাকে।

এ সময় দেশের মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর আস্থা ও বিশ্বাসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেননি। বলেছেন, এ দেশের সবাই আমার সন্তান। এরা কি আমাকে হত্যা করতে পারে?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টে শুধু একটা পরিবারকে হত্যা নয়। এর মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের ইতিহাস মুছে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশ সৃষ্টিতে যার অবদান, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে যত আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর যে অবদান, তা মুছে দেয়া হয়েছিল। তখন একটি মাত্র টেলিভিশন ছিল-বিটিভি। সেই বিটিভিতেও একটি বারের জন্য বঙ্গবন্ধুর নামটি আসেনি। একেবারে ইতিহাস থেকেই মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়।’

ইতিহাসের কলঙ্কজনক ওই দিনের স্মৃতিচারন করতে গিয়ে অশ্রুসজল হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। বার বার চোখ মুছেন। এ সময় সেখানকার পরিবেশ বেদনায় ভারী হয়ে ওঠে। উপস্থিত নেতা-কর্মীদের চোখ অশ্রুতে ছলছল করে ওঠে।