ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ.লীগের তৈরি আইনেই তাদের বিচার করতে হবে

পতিত আওয়ামী লীগের শাসনামলে যেসব কালাকানুন ও আইন তৈরি করা হয়েছিল, সেই আইনেই তাদের বিচার চেয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচারের বিষয়ে তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী লীগের সঠিক পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে। গতকাল রবিবার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জামায়াতের রুকন সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

জামায়াতের আমির বলেন, আমরা অবিচার, জুলুম কারও ওপর চাই না। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন যেসব কালাকানুন ও আইন তৈরি করেছিল, তা দিয়েই তাদের বিচার হতে হবে। তারা বলত, আইন সবার জন্য সমান আর বিচার বিভাগ স্বাধীন। সেই আইনে সমান বেনিফিট পাওয়ার অধিকার তাদের আছে। তারা যেন সঠিক পাওনাটা পায়।

শফিকুর রহমান বলেন, এখন তাদের নাম কেউ সাহস করে নেয় না। তাদের দল যারা করেন, তারাও দলের নাম নিতে চান না। আমরা মজলুম জনগণ তাদের নাম নেব কেন? তিনি বলেন, নিজের দলকে নিষিদ্ধ করার ইতিহাস তাদের আছে। তারা যখন একদলীয় বাকশাল কায়েম করে, তখন তাদের দলসহ সব দল নিষিদ্ধ করেছিল। এবার জনগণ তাদের দল নিষিদ্ধ করেছে। আমরা আশা করেছিলাম তারা শিক্ষা নেবে। লজ্জিত হয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে একটা পথ তারা বের করতে পারত। সেটা না করে তারা আনসার লীগ, বিচার লীগ, এই দাবি লীগ, ওই দাবি লীগ নামিয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করছে।

জামায়াতের আমির বলেন, তারা সম্প্রতি আরেক রূপে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন। দাঁড়ি রাখছেন, টুপি পরছেন। উদ্দেশ্য, দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে ধোকা দেওয়া এবং বিশ্ববাসীকে মেসেজ দেওয়া- তারা যতদিন ক্ষমতায় ছিল চরমপন্থার উত্থান হতে দেয়নি। তারা নাই এখন চরমপন্থা আছে। অথচ তারাই তাদের সন্তানদের হাতে হাতুড়ি তুলে দিয়েছিল এবং মাথায় হেলমেট পরিয়েছিল। এদের (আওয়ামী লীগ) চাইতে বড় চরমপন্থি ও সন্ত্রাসী বাংলাদেশে নেই। এদের শাসনামল পুরোটাই ছিল চরমপন্থা ও সন্ত্রাসের। জামায়াত সন্ত্রাসকে ঘৃণা করে।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা আগামীতে একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠন করতে চাই। সুতরাং, সীমাহীন ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তা-ব চালিয়ে বাংলাদেশের মানবতাকে, গণতন্ত্রকে, জনগণের ইচ্ছা ও আকাক্সক্ষাকে জবাই করা হয়েছে। ওই দিনই সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল। দীর্ঘ সাড়ে ১৭ বছর বহু ত্যাগ-তীতিক্ষা স্বীকার করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আমরা আপন পথ ফিরে পেয়েছি।

জামায়াতের আমির বলেন, সাড়ে ১৫ বছর দাপটের সঙ্গে তারা দেশ শাসন করেছে। ক্ষমতায় আসার মাত্র ২ মাসের মাথায় তারা ৫৭ জন চৌকস ও দেশপ্রেমিক, প্রতিশ্রুতিশীল সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। ওই ঘটনায় তদন্তের যে উদ্যোগ তারা নিয়েছিল, তা জনগণকে ধোকা দেওয়া এবং নেপথ্যের নায়ক, হুকুমদাতা, দুষ্কৃতকারীদের আড়াল করার জন্য করেছে। মিডিয়ার সদস্যরা তাদের হাতের পুতুল ও বলির পাঠা ছিল।

২০১২ সালে কারাবরণকালে কারা অভ্যন্তরে সেই খুনিদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় যে বিবরণ পেয়েছেন, তা তুলে ধরে ডা. শফিকুর বলেন- তিনি একজন খুনির কাছে জানতে চেয়েছিলেন, এই ষড়যন্ত্রের নায়ক কারা? জবাবে খুনি নাম বলেছিল। সেই খুনিই দেশনায়কে পরিণত হয়েছিল। খুনিরা খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তারা একসঙ্গে দুটি বাহিনীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙেছে এবং বিডিআরের নাম-নিশানা মুছে দিয়েছে। তাই বিডিআর হত্যাকা-ের নেপথ্যের নায়ক-নায়িকাদেরও অপরাধের পাওনা পেতে হবে।

জামায়াতের আমির বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর তারা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর আঘাত দিতে শুরু করে। কারণ, তারা জানত জামায়াত দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব কারও কাছে বিলিয়ে দিতে রাজি হয়নি। তাই জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচারিক হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বিদায় করেছে। বর্তমানে রাজপথের স্লোগান হলো ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’- জামায়াতের স্লোগানও ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের একেকজন নেতাকে হত্যা করে দেশে বিভীষিকাময় অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। গল্প ফাঁদা হয়েছে। মিডিয়াগুলোকে অপপ্রচারের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছে। কত হাজার মামলা জামায়াতের বিরুদ্ধে- এর অর্থ হলো দেশে প্রতিবাদী কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেওয়া। শাহবাগে আসর বসিয়ে আজেবাজে জিনিসও সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতের ওপর ক্র্যাকডাউন করা হয়েছিল। তা ছিল আরেকটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। কতজনকে হত্যা করা হয়েছে, তা আজও জাতি জানতে পারেনি।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জামায়াতের আমির বলেন, যারা আমাদের বাড়িঘর ভেঙেছিল, সম্পদ লুণ্ঠন করেছিল, চাকরি থেকে বিতাড়িত করেছিল, মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করেছিল। এই পরিবর্তনের পরও আমরা তাদের ক্ষতি করিনি। আমরা বলেছি, আগামীতে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠন করতে চাই। এ সময় নেতাকর্মীদের সীমাহীন ধৈর্যের পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানান জামায়াত আমির।

ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় রুকন সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ নাসিব হাসান রিয়ানের পিতা মো. গোলাম রাজ্জাক। সম্মেলনে দারসুল কুরআন পেশ করেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম। বিশেষ বক্তা ছিলেন নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুর রব, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম। আরও ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, মহানগরী উত্তর শিবির সভাপতি আনিসুর রহমান, পশ্চিমের সভাপতি সালাহ মাহমুদ প্রমুখ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আ.লীগের তৈরি আইনেই তাদের বিচার করতে হবে

আপডেট টাইম : ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

পতিত আওয়ামী লীগের শাসনামলে যেসব কালাকানুন ও আইন তৈরি করা হয়েছিল, সেই আইনেই তাদের বিচার চেয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচারের বিষয়ে তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী লীগের সঠিক পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে। গতকাল রবিবার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জামায়াতের রুকন সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

জামায়াতের আমির বলেন, আমরা অবিচার, জুলুম কারও ওপর চাই না। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন যেসব কালাকানুন ও আইন তৈরি করেছিল, তা দিয়েই তাদের বিচার হতে হবে। তারা বলত, আইন সবার জন্য সমান আর বিচার বিভাগ স্বাধীন। সেই আইনে সমান বেনিফিট পাওয়ার অধিকার তাদের আছে। তারা যেন সঠিক পাওনাটা পায়।

শফিকুর রহমান বলেন, এখন তাদের নাম কেউ সাহস করে নেয় না। তাদের দল যারা করেন, তারাও দলের নাম নিতে চান না। আমরা মজলুম জনগণ তাদের নাম নেব কেন? তিনি বলেন, নিজের দলকে নিষিদ্ধ করার ইতিহাস তাদের আছে। তারা যখন একদলীয় বাকশাল কায়েম করে, তখন তাদের দলসহ সব দল নিষিদ্ধ করেছিল। এবার জনগণ তাদের দল নিষিদ্ধ করেছে। আমরা আশা করেছিলাম তারা শিক্ষা নেবে। লজ্জিত হয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে একটা পথ তারা বের করতে পারত। সেটা না করে তারা আনসার লীগ, বিচার লীগ, এই দাবি লীগ, ওই দাবি লীগ নামিয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করছে।

জামায়াতের আমির বলেন, তারা সম্প্রতি আরেক রূপে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন। দাঁড়ি রাখছেন, টুপি পরছেন। উদ্দেশ্য, দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে ধোকা দেওয়া এবং বিশ্ববাসীকে মেসেজ দেওয়া- তারা যতদিন ক্ষমতায় ছিল চরমপন্থার উত্থান হতে দেয়নি। তারা নাই এখন চরমপন্থা আছে। অথচ তারাই তাদের সন্তানদের হাতে হাতুড়ি তুলে দিয়েছিল এবং মাথায় হেলমেট পরিয়েছিল। এদের (আওয়ামী লীগ) চাইতে বড় চরমপন্থি ও সন্ত্রাসী বাংলাদেশে নেই। এদের শাসনামল পুরোটাই ছিল চরমপন্থা ও সন্ত্রাসের। জামায়াত সন্ত্রাসকে ঘৃণা করে।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা আগামীতে একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠন করতে চাই। সুতরাং, সীমাহীন ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তা-ব চালিয়ে বাংলাদেশের মানবতাকে, গণতন্ত্রকে, জনগণের ইচ্ছা ও আকাক্সক্ষাকে জবাই করা হয়েছে। ওই দিনই সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল। দীর্ঘ সাড়ে ১৭ বছর বহু ত্যাগ-তীতিক্ষা স্বীকার করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আমরা আপন পথ ফিরে পেয়েছি।

জামায়াতের আমির বলেন, সাড়ে ১৫ বছর দাপটের সঙ্গে তারা দেশ শাসন করেছে। ক্ষমতায় আসার মাত্র ২ মাসের মাথায় তারা ৫৭ জন চৌকস ও দেশপ্রেমিক, প্রতিশ্রুতিশীল সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। ওই ঘটনায় তদন্তের যে উদ্যোগ তারা নিয়েছিল, তা জনগণকে ধোকা দেওয়া এবং নেপথ্যের নায়ক, হুকুমদাতা, দুষ্কৃতকারীদের আড়াল করার জন্য করেছে। মিডিয়ার সদস্যরা তাদের হাতের পুতুল ও বলির পাঠা ছিল।

২০১২ সালে কারাবরণকালে কারা অভ্যন্তরে সেই খুনিদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় যে বিবরণ পেয়েছেন, তা তুলে ধরে ডা. শফিকুর বলেন- তিনি একজন খুনির কাছে জানতে চেয়েছিলেন, এই ষড়যন্ত্রের নায়ক কারা? জবাবে খুনি নাম বলেছিল। সেই খুনিই দেশনায়কে পরিণত হয়েছিল। খুনিরা খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তারা একসঙ্গে দুটি বাহিনীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙেছে এবং বিডিআরের নাম-নিশানা মুছে দিয়েছে। তাই বিডিআর হত্যাকা-ের নেপথ্যের নায়ক-নায়িকাদেরও অপরাধের পাওনা পেতে হবে।

জামায়াতের আমির বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর তারা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর আঘাত দিতে শুরু করে। কারণ, তারা জানত জামায়াত দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব কারও কাছে বিলিয়ে দিতে রাজি হয়নি। তাই জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচারিক হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বিদায় করেছে। বর্তমানে রাজপথের স্লোগান হলো ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’- জামায়াতের স্লোগানও ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের একেকজন নেতাকে হত্যা করে দেশে বিভীষিকাময় অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। গল্প ফাঁদা হয়েছে। মিডিয়াগুলোকে অপপ্রচারের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছে। কত হাজার মামলা জামায়াতের বিরুদ্ধে- এর অর্থ হলো দেশে প্রতিবাদী কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেওয়া। শাহবাগে আসর বসিয়ে আজেবাজে জিনিসও সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতের ওপর ক্র্যাকডাউন করা হয়েছিল। তা ছিল আরেকটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। কতজনকে হত্যা করা হয়েছে, তা আজও জাতি জানতে পারেনি।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জামায়াতের আমির বলেন, যারা আমাদের বাড়িঘর ভেঙেছিল, সম্পদ লুণ্ঠন করেছিল, চাকরি থেকে বিতাড়িত করেছিল, মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করেছিল। এই পরিবর্তনের পরও আমরা তাদের ক্ষতি করিনি। আমরা বলেছি, আগামীতে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠন করতে চাই। এ সময় নেতাকর্মীদের সীমাহীন ধৈর্যের পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানান জামায়াত আমির।

ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় রুকন সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ নাসিব হাসান রিয়ানের পিতা মো. গোলাম রাজ্জাক। সম্মেলনে দারসুল কুরআন পেশ করেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম। বিশেষ বক্তা ছিলেন নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুর রব, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম। আরও ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, মহানগরী উত্তর শিবির সভাপতি আনিসুর রহমান, পশ্চিমের সভাপতি সালাহ মাহমুদ প্রমুখ।