ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাম রাজনীতি থেকে ‘অগ্নিকন্যা’, নৌকায় উঠে ক্ষমতায়, আ. লীগের দুঃসময়ে প্রস্থান ১০০ রানের লিড হলেই চলবে দক্ষিণ আফ্রিকার লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন ৫৪ বাংলাদেশি মৃত্যুর পর মরদেহ কী হবে, বলে গেছেন মনি কিশোর দুর্নীতি দমাতে ডিজিটাইজেশনে গুরুত্ব প্রধান উপদেষ্টার হাসিনার পদত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা ‘মীমাংসিত’ ইস্যু, নয়া বিতর্ক সৃষ্টি আর নয় : প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে নিজের পথ দেখুন : রাষ্ট্রপতিকে হাসনাত জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সারজিস, প্রধান নির্বাহী স্নিগ্ধ শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে মতিউর রহমান চৌধুরীকে যা বলেছেন রাষ্ট্রপতি জামায়াত নিষিদ্ধের বিপক্ষে ছিল জাতীয় পার্টি, দাবি জিএম কাদেরের

ঢাকা বাঁচাতে নতুন মহাপরিকল্পনা লাগবে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  জলাবদ্ধতা, যানজট নিরসনসহ নাগরিক সমস্যা সমাধানে নতুন মহাপরিকল্পনা তৈরি করতে ওয়াসা ও সিটি করপোরেশনকে তাগিদ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

রবিবার দুপুরে গুলশান-২ এর উত্তর সিটি করপোরেশন ভবনে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘ওয়াসার এমডি মহোদয় বলে দিলেন যে মাস্টার প্ল্যান করা আছে। ঐ মাস্টার প্ল্যান যে এখন একেবারেই বাস্তবায়নযোগ্য নয়, এটা ওনার ধারণায় নাই। এখন সিটি করপোরেশন কিন্তু তিনগুণ থেকে চারগুণ বেড়ে গেছে। আরো ১৬টা ইউনিয়ন কাউন্সিল যোগ হয়ে গেছে। এর মধ্যে উত্তরে আটটা ও দক্ষিণে আটটা। আগের এলাকা থেকে বর্তমান এলাকা দুই তিনগুণ বড়।’

এসময় মন্ত্রী মেয়র সাঈদ খোকনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কাজেই আপনি আগের যেকোন প্ল্যান প্রণালীই হোক, ওয়াটার সাপ্লাই হোক, ট্রান্সপোর্টেশন হোক, যত মাস্টার প্ল্যানই করে থাকেন এটা আজকের বাস্তবতায় মিলে না। আপনাকে নতুন করে আপনার এক্সটেন্ডেড জায়গার কথা চিন্তা করে মাস্টার প্ল্যান করে আগাতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মেয়র ও ওয়াসার এমডি মহোদয়কে অনুরোধ করি, আপনারা একটা ক্লিয়ার মাস্টার প্ল্যান করেন। …আমরা মন্ত্রনালয়ের তরফ থেকে যে টাকা পয়সার প্রয়োজন হবে, প্ল্যানিং কমিশনে-প্রাইমমিনিস্টারের কাছে যাবো।

মন্ত্রী বলেন, ‘৫০-৬০ দশকে কলকাতা শহর এক পশলা বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি জমে যেত। আর ঢাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হলেও এক ফোটা পানি জমতো না। এখন ঢাকা নিমজ্জিত, আর কিছুদিন পর পানিতে আমরা সাঁতার কাটবো। আপনারা যদি হিস্টোরিকাল ডেভেলপমেন্ট চিন্তা করেন, যে কোন স্ট্যান্ডার্ডে ঢাকার পপুলেশন এখন এক কোটি ৭০ লাখের বেশি হওয়ার কথা। এখন কিন্তু আমরা কম করে হলেও প্রায় তিন কোটি লোক বসবাস করছি। প্রজেকশনের তুলনায় ডবল লোক এই ঢাকা সিটি এখন ধারণ করছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘নগরীর বর্জ্য, তা ম্যানেজ করতে হলে ইনসিনারেশন ছাড়া অন্য কোন অপশন নাই। এই সাত থেকে আট হাজার টন বর্জ একেকটা করপোরেশনের, এগুলো নিয়ে আমরা যাব কোথায়?’

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘এই যে খালগুলো ভরে গেছে এগুলোর সবগুলো কিন্তু মাটি দিয়ে ভরে নাই। এই সবগুলোই হাউজহোল্ড বর্জ্য দিয়ে ভরা। কী কারণে জানি না আমরা কিন্তু সেইফটি ট্যাংক ব্যবহার করছি না। এই সেইফটি ট্যাংক কিন্তু অত্যন্ত কার্যকরী সেনিটেশন ব্যবস্থা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বাম রাজনীতি থেকে ‘অগ্নিকন্যা’, নৌকায় উঠে ক্ষমতায়, আ. লীগের দুঃসময়ে প্রস্থান

ঢাকা বাঁচাতে নতুন মহাপরিকল্পনা লাগবে

আপডেট টাইম : ০২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  জলাবদ্ধতা, যানজট নিরসনসহ নাগরিক সমস্যা সমাধানে নতুন মহাপরিকল্পনা তৈরি করতে ওয়াসা ও সিটি করপোরেশনকে তাগিদ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

রবিবার দুপুরে গুলশান-২ এর উত্তর সিটি করপোরেশন ভবনে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘ওয়াসার এমডি মহোদয় বলে দিলেন যে মাস্টার প্ল্যান করা আছে। ঐ মাস্টার প্ল্যান যে এখন একেবারেই বাস্তবায়নযোগ্য নয়, এটা ওনার ধারণায় নাই। এখন সিটি করপোরেশন কিন্তু তিনগুণ থেকে চারগুণ বেড়ে গেছে। আরো ১৬টা ইউনিয়ন কাউন্সিল যোগ হয়ে গেছে। এর মধ্যে উত্তরে আটটা ও দক্ষিণে আটটা। আগের এলাকা থেকে বর্তমান এলাকা দুই তিনগুণ বড়।’

এসময় মন্ত্রী মেয়র সাঈদ খোকনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কাজেই আপনি আগের যেকোন প্ল্যান প্রণালীই হোক, ওয়াটার সাপ্লাই হোক, ট্রান্সপোর্টেশন হোক, যত মাস্টার প্ল্যানই করে থাকেন এটা আজকের বাস্তবতায় মিলে না। আপনাকে নতুন করে আপনার এক্সটেন্ডেড জায়গার কথা চিন্তা করে মাস্টার প্ল্যান করে আগাতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মেয়র ও ওয়াসার এমডি মহোদয়কে অনুরোধ করি, আপনারা একটা ক্লিয়ার মাস্টার প্ল্যান করেন। …আমরা মন্ত্রনালয়ের তরফ থেকে যে টাকা পয়সার প্রয়োজন হবে, প্ল্যানিং কমিশনে-প্রাইমমিনিস্টারের কাছে যাবো।

মন্ত্রী বলেন, ‘৫০-৬০ দশকে কলকাতা শহর এক পশলা বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি জমে যেত। আর ঢাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হলেও এক ফোটা পানি জমতো না। এখন ঢাকা নিমজ্জিত, আর কিছুদিন পর পানিতে আমরা সাঁতার কাটবো। আপনারা যদি হিস্টোরিকাল ডেভেলপমেন্ট চিন্তা করেন, যে কোন স্ট্যান্ডার্ডে ঢাকার পপুলেশন এখন এক কোটি ৭০ লাখের বেশি হওয়ার কথা। এখন কিন্তু আমরা কম করে হলেও প্রায় তিন কোটি লোক বসবাস করছি। প্রজেকশনের তুলনায় ডবল লোক এই ঢাকা সিটি এখন ধারণ করছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘নগরীর বর্জ্য, তা ম্যানেজ করতে হলে ইনসিনারেশন ছাড়া অন্য কোন অপশন নাই। এই সাত থেকে আট হাজার টন বর্জ একেকটা করপোরেশনের, এগুলো নিয়ে আমরা যাব কোথায়?’

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘এই যে খালগুলো ভরে গেছে এগুলোর সবগুলো কিন্তু মাটি দিয়ে ভরে নাই। এই সবগুলোই হাউজহোল্ড বর্জ্য দিয়ে ভরা। কী কারণে জানি না আমরা কিন্তু সেইফটি ট্যাংক ব্যবহার করছি না। এই সেইফটি ট্যাংক কিন্তু অত্যন্ত কার্যকরী সেনিটেশন ব্যবস্থা।