ঢাকা , রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ফোটানো ও ডিজে পার্টি নিষিদ্ধ

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) হাবিবুর রহমান বলেছেন, ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফাস্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে, বাড়ির ছাদে গান-বাজনা কিংবা ডিজে পার্টি ও আতশবাজি ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কেউ যদি এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষের এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

‘বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ বা থার্টি ফাস্ট নাইট’ উপলক্ষে ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় তিনি বলেন, ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এ ছাড়াও, ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর। দেশব্যাপী থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হবে। এ দুটি বড় উৎসব ঘিরে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পূর্ণ করতে নগরবাসীর সহযোগিতার কথাও বলেন তিনি।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, থার্টি ফাস্ট নাইটে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে প্রত্যেকটি চার্চে ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকের পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হবে। চার্চ দিয়ে দর্শনার্থী ঢুকতে হবে, মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করার সিদ্ধান্ত হয়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা প্রস্তুত থাকবে। এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য যোগাযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। চার্চে প্রবেশের সময় কোনও প্রকার ব্যাগ রাখা যাবে না। পাশাপাশি চার্চ এলাকায় কোনও ধরনের হকার কিংবা ভাসমান দোকান থাকতে পারবে না। আর পুলিশ, র‍্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে জানা গেছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ফোটানো ও ডিজে পার্টি নিষিদ্ধ

আপডেট টাইম : ০৫:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) হাবিবুর রহমান বলেছেন, ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফাস্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে, বাড়ির ছাদে গান-বাজনা কিংবা ডিজে পার্টি ও আতশবাজি ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কেউ যদি এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষের এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

‘বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ বা থার্টি ফাস্ট নাইট’ উপলক্ষে ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় তিনি বলেন, ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এ ছাড়াও, ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর। দেশব্যাপী থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হবে। এ দুটি বড় উৎসব ঘিরে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পূর্ণ করতে নগরবাসীর সহযোগিতার কথাও বলেন তিনি।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, থার্টি ফাস্ট নাইটে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে প্রত্যেকটি চার্চে ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকের পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হবে। চার্চ দিয়ে দর্শনার্থী ঢুকতে হবে, মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করার সিদ্ধান্ত হয়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা প্রস্তুত থাকবে। এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য যোগাযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। চার্চে প্রবেশের সময় কোনও প্রকার ব্যাগ রাখা যাবে না। পাশাপাশি চার্চ এলাকায় কোনও ধরনের হকার কিংবা ভাসমান দোকান থাকতে পারবে না। আর পুলিশ, র‍্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে জানা গেছে।