ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রামমন্দিরে গেলেন না মমতা

আমন্ত্রণ জানানো হলেও সোমবার অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বরং এদিন তিনি কলকাতায় সংহতি মিছিলের আয়োজন করেন।

প্রথমে কালীঘাটে পূজা দেওয়ার পর হাজরা পার্ক থেকে মিছিল শুরু করেন মমতা। বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে মিছিল নিয়ে পার্ক সার্কাসের দিকে যান। সংহতি মিছিলে যোগ দেন হিন্দু, মুসলিম, শিখ, বৌদ্ধ, পারসি, ইহুদি ধর্মের প্রতিনিধিরা।

মিছিলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন- তৃণমূল এমপি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়, কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী সুজিত বসু, মন্ত্রী জাভেদ খান প্রমুখ।

মিছিলের পাশাপাশি মন্দির, মসজিদ, গির্জা ও গুরুদুয়ারায় গিয়ে প্রার্থনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর পার্ক সার্কাস ময়দান গিয়ে সভায় বক্তব্য দেন মমতা।

রামমন্দির উদ্বোধনে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল; কিন্তু কয়েক দিন আগেই মমতা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি অযোধ্যা যাচ্ছেন না। এমনকি রামমন্দির উদ্বোধনকে ‘ভোটের আগে গিমিক’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন মমতা।

সোমবারের সভায় অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে মমতা বললেন, ভোটের নামে দেশটাকে বিক্রি করছে কিছু লোক। ভোটের আগে ধর্মে উসকানি দেওয়া হচ্ছে। বাংলাকেই এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। একটা লড়াই শুরু হয়েছে। আর এ লড়াই চলবে। আমরা কাপুরুষ নই। তাই আমরা লড়ব।

তিনি বলেন, যখন বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়েছিল, আমি একা পথে নেমেছিলাম। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর কাছে গিয়েছিলাম। বলেছিলাম- কোনো প্রয়োজন আছে কিনা। ভয় না পেয়ে সমস্ত জায়গায় গিয়ে ত্রাণ দিয়ে এসেছিলাম। এসব অনেকেই ভুলে গিয়েছেন।

‘জয় বাংলা, জয় সম্প্রীতি। সব ধর্ম ভাই ভাই। দেশকে ভাগ করতে দেব না। আমরা শান্তি চাই’- বলেন মমতা।

রামমন্দির উদ্বোধনের দিন কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা স্কুল, কলেজ এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে হাফ ছুটির সমালোচনা করে মমতা বললেন, নেতাজীর জন্মদিনে তাদের ছুটি দেওয়ার কথা বলেছিলাম। দেয়নি। আর আজ তারা ছুটি চাইছে। ছুটি দিচ্ছে। কারণ আজ নাকি ওদের স্বাধীনতা দিবস।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিরোধী জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ আমি দিয়েছি, অথচ বৈঠকে সম্মান পাই না। সিপিএম বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়ার’ বৈঠক নিয়ন্ত্রণ করে। আমি সেটা মানব না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

রামমন্দিরে গেলেন না মমতা

আপডেট টাইম : ০২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

আমন্ত্রণ জানানো হলেও সোমবার অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বরং এদিন তিনি কলকাতায় সংহতি মিছিলের আয়োজন করেন।

প্রথমে কালীঘাটে পূজা দেওয়ার পর হাজরা পার্ক থেকে মিছিল শুরু করেন মমতা। বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে মিছিল নিয়ে পার্ক সার্কাসের দিকে যান। সংহতি মিছিলে যোগ দেন হিন্দু, মুসলিম, শিখ, বৌদ্ধ, পারসি, ইহুদি ধর্মের প্রতিনিধিরা।

মিছিলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন- তৃণমূল এমপি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়, কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী সুজিত বসু, মন্ত্রী জাভেদ খান প্রমুখ।

মিছিলের পাশাপাশি মন্দির, মসজিদ, গির্জা ও গুরুদুয়ারায় গিয়ে প্রার্থনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর পার্ক সার্কাস ময়দান গিয়ে সভায় বক্তব্য দেন মমতা।

রামমন্দির উদ্বোধনে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল; কিন্তু কয়েক দিন আগেই মমতা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি অযোধ্যা যাচ্ছেন না। এমনকি রামমন্দির উদ্বোধনকে ‘ভোটের আগে গিমিক’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন মমতা।

সোমবারের সভায় অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে মমতা বললেন, ভোটের নামে দেশটাকে বিক্রি করছে কিছু লোক। ভোটের আগে ধর্মে উসকানি দেওয়া হচ্ছে। বাংলাকেই এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। একটা লড়াই শুরু হয়েছে। আর এ লড়াই চলবে। আমরা কাপুরুষ নই। তাই আমরা লড়ব।

তিনি বলেন, যখন বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়েছিল, আমি একা পথে নেমেছিলাম। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর কাছে গিয়েছিলাম। বলেছিলাম- কোনো প্রয়োজন আছে কিনা। ভয় না পেয়ে সমস্ত জায়গায় গিয়ে ত্রাণ দিয়ে এসেছিলাম। এসব অনেকেই ভুলে গিয়েছেন।

‘জয় বাংলা, জয় সম্প্রীতি। সব ধর্ম ভাই ভাই। দেশকে ভাগ করতে দেব না। আমরা শান্তি চাই’- বলেন মমতা।

রামমন্দির উদ্বোধনের দিন কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা স্কুল, কলেজ এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে হাফ ছুটির সমালোচনা করে মমতা বললেন, নেতাজীর জন্মদিনে তাদের ছুটি দেওয়ার কথা বলেছিলাম। দেয়নি। আর আজ তারা ছুটি চাইছে। ছুটি দিচ্ছে। কারণ আজ নাকি ওদের স্বাধীনতা দিবস।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিরোধী জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ আমি দিয়েছি, অথচ বৈঠকে সম্মান পাই না। সিপিএম বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়ার’ বৈঠক নিয়ন্ত্রণ করে। আমি সেটা মানব না।