ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বৃষ্টি কবে কমবে, জানাল আবহাওয়া অফিস কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কওমি সনদ বাস্তবায়নের দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের : ধর্ম উপদেষ্টা টাইম ম্যাগাজিনে হিলারি ক্লিনটনের কলামে ড. ইউনূসকে নিয়ে প্রশংসা বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ দেখা যাবে যে চ্যানেলে টিপ-কাণ্ডে তিন বছর পর মামলা কেনিয়ায় চা-বাগান নিয়ে স্থানীয় ও বিদেশি এস্টেটগুলোর দ্বন্দ্ব, ক্ষতির মুখে শিল্প প্রতিদিন একটি কলা খাওয়া কাদের জন্য জরুরি মেটার বিরুদ্ধে অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা, আলাদা হতে পারে ইনস্টাগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপ বাজারে কাঁকরোলের কেজি ১৪০, বেগুনের সেঞ্চুরি

যানজট-জলজট নগরজুড়ে ভোগান্তি

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিতে রাজধানী ঢাকার প্রধান সড়কসহ অলিগলি ডুবে গেছে। আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী। এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, টানা এ বৃষ্টিপাত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে। রাজধানী ঢাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতের পর থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টিতে রাজধানীর মিরপুর, কাজীপাড়া, বাংলামোটর, শেওড়াপাড়া, ফার্মগেট, বনশ্রী, রামপুরা, সদরঘাট, গুলিস্তান, কাকরাইল, বিজয় সরণি, বিজয়নগর, বংশাল, নয়াবাজারসহ সর্বত্র পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে।

বুধবার সকালে আবহাওয়া কার্যালয় জানিয়েছে, সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকায় ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ধারা আজ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে কাল একটু কমতে পারে বৃষ্টি।

সকাল থেকেই বৃষ্টি হওয়ায় রাজধানীতে গণপরিবহনের সংকট দেখা দেয়। অফিসগামী মানুষকে বৃষ্টিতে ভিজে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এ ছাড়া রাস্তায় পানি ওঠায় জ্যাম ছিল চোখে পড়ার মতো। ১০ মিনিটের রাস্তা পার হতে সময় লেগেছে দেড় ঘণ্টার বেশি।

মগবাজারের বাসিন্দা শিমুল আহমেদ একটি বেসরকারি ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় কর্মরত। তিনি সকালে বাসা থেকে বের হয়ে দেড় ঘণ্টায়ও মতিঝিলে পৌঁছাতে পারেননি। রাস্তায় পানি জমে থাকায় যানজটও বেড়েছে। এ ছাড়া মগবাজার এলাকায় রাস্তাঘাট খোঁড়াখুঁড়ির কারণেও যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

মিরপুরের বাসিন্দা সায়মন জানান, তিনি মতিঝিলের একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। থাকেন মিরপুর ১১ নম্বরে। বৃষ্টিতে অফিস যেতে প্রচণ্ড সমস্যায় পড়তে হয়েছে। সকাল ৭টায় রওনা দিয়ে মতিঝিল পৌঁছেন বেলা ১১টায়।

শনির আখড়ার বাসিন্দা মমিন বলেন, প্রবল বৃষ্টিতে শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী, দনিয়া প্রায় ডুবে গেছে। পানি ঠিকমতো ড্রেন দিয়ে নামতে পারছে না।

শনির আখড়ার আরেক বাসিন্দা মোহাম্মদ গাফফার হোসেন ইমন বলেন, বৃষ্টিতে অফিসে যেতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। সকাল থেকে পরিবহনের সংকট ছিল। এ ছাড়া বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় জ্যাম সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে ঢাকার নিম্ন আদালত সদরঘাটেও পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। বিভিন্ন মানুষকে রাস্তায় হাঁটুপানি ডিঙিয়ে যাতায়াত করতে দেখা গেছে।

বংশালের বাসিন্দা নায়না বলেন, ‘সকালে বাহির হয়েছি গুরুত্বপূর্ণ কাজে, কিন্তু রাস্তাঘাটে কোমর সমান পানি ওঠায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। রিকশা ভাড়া তিন গুণ দিয়েও গন্তব্যে পৌঁছা যাচ্ছে না। আজ সারা দিন বৃষ্টি হলে ঢাকা শহর ডুবে যাবে মনে হচ্ছে।’

মিরপুরের শেওড়াপাড়া থেকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন সিরাজুম মুনিরা। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পরও কোনো গণপরিবহনে উঠতে না পেরে অগত্যা রিকশা নেন। ৮০-১০০ টাকার ভাড়া আজ তাঁকে গুনতে হয়েছে ১৬০ টাকা। পথজুড়েই শত শত মানুষকে একটি বাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখেছেন বলে জানালেন। পথে খামারবাড়িসহ বেশ কিছু স্থানে জলজটে পড়েছিলেন। বিশেষ করে বসুন্ধরা সিটি শপিংমলের পেছনের রাস্তায় রিকশার পাদানি অবধি ছিল পানি।  অন্যদিকে সচিবালয়েও পানি থইথই করছে বলে জানিয়েছেন সেখানে অবস্থানরত গণমাধ্যমকর্মীরা। পানি বেড়ে যাওয়ার ফলে দুপুরের দিকে যন্ত্রের সাহায্যে সেই পানি সরিয়ে নেওয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বৃষ্টি কবে কমবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

যানজট-জলজট নগরজুড়ে ভোগান্তি

আপডেট টাইম : ০১:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিতে রাজধানী ঢাকার প্রধান সড়কসহ অলিগলি ডুবে গেছে। আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী। এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, টানা এ বৃষ্টিপাত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে। রাজধানী ঢাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতের পর থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টিতে রাজধানীর মিরপুর, কাজীপাড়া, বাংলামোটর, শেওড়াপাড়া, ফার্মগেট, বনশ্রী, রামপুরা, সদরঘাট, গুলিস্তান, কাকরাইল, বিজয় সরণি, বিজয়নগর, বংশাল, নয়াবাজারসহ সর্বত্র পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে।

বুধবার সকালে আবহাওয়া কার্যালয় জানিয়েছে, সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকায় ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ধারা আজ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে কাল একটু কমতে পারে বৃষ্টি।

সকাল থেকেই বৃষ্টি হওয়ায় রাজধানীতে গণপরিবহনের সংকট দেখা দেয়। অফিসগামী মানুষকে বৃষ্টিতে ভিজে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এ ছাড়া রাস্তায় পানি ওঠায় জ্যাম ছিল চোখে পড়ার মতো। ১০ মিনিটের রাস্তা পার হতে সময় লেগেছে দেড় ঘণ্টার বেশি।

মগবাজারের বাসিন্দা শিমুল আহমেদ একটি বেসরকারি ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় কর্মরত। তিনি সকালে বাসা থেকে বের হয়ে দেড় ঘণ্টায়ও মতিঝিলে পৌঁছাতে পারেননি। রাস্তায় পানি জমে থাকায় যানজটও বেড়েছে। এ ছাড়া মগবাজার এলাকায় রাস্তাঘাট খোঁড়াখুঁড়ির কারণেও যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

মিরপুরের বাসিন্দা সায়মন জানান, তিনি মতিঝিলের একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। থাকেন মিরপুর ১১ নম্বরে। বৃষ্টিতে অফিস যেতে প্রচণ্ড সমস্যায় পড়তে হয়েছে। সকাল ৭টায় রওনা দিয়ে মতিঝিল পৌঁছেন বেলা ১১টায়।

শনির আখড়ার বাসিন্দা মমিন বলেন, প্রবল বৃষ্টিতে শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী, দনিয়া প্রায় ডুবে গেছে। পানি ঠিকমতো ড্রেন দিয়ে নামতে পারছে না।

শনির আখড়ার আরেক বাসিন্দা মোহাম্মদ গাফফার হোসেন ইমন বলেন, বৃষ্টিতে অফিসে যেতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। সকাল থেকে পরিবহনের সংকট ছিল। এ ছাড়া বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় জ্যাম সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে ঢাকার নিম্ন আদালত সদরঘাটেও পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। বিভিন্ন মানুষকে রাস্তায় হাঁটুপানি ডিঙিয়ে যাতায়াত করতে দেখা গেছে।

বংশালের বাসিন্দা নায়না বলেন, ‘সকালে বাহির হয়েছি গুরুত্বপূর্ণ কাজে, কিন্তু রাস্তাঘাটে কোমর সমান পানি ওঠায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। রিকশা ভাড়া তিন গুণ দিয়েও গন্তব্যে পৌঁছা যাচ্ছে না। আজ সারা দিন বৃষ্টি হলে ঢাকা শহর ডুবে যাবে মনে হচ্ছে।’

মিরপুরের শেওড়াপাড়া থেকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন সিরাজুম মুনিরা। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পরও কোনো গণপরিবহনে উঠতে না পেরে অগত্যা রিকশা নেন। ৮০-১০০ টাকার ভাড়া আজ তাঁকে গুনতে হয়েছে ১৬০ টাকা। পথজুড়েই শত শত মানুষকে একটি বাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখেছেন বলে জানালেন। পথে খামারবাড়িসহ বেশ কিছু স্থানে জলজটে পড়েছিলেন। বিশেষ করে বসুন্ধরা সিটি শপিংমলের পেছনের রাস্তায় রিকশার পাদানি অবধি ছিল পানি।  অন্যদিকে সচিবালয়েও পানি থইথই করছে বলে জানিয়েছেন সেখানে অবস্থানরত গণমাধ্যমকর্মীরা। পানি বেড়ে যাওয়ার ফলে দুপুরের দিকে যন্ত্রের সাহায্যে সেই পানি সরিয়ে নেওয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ।