বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রাষ্ট্রের পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য পাবলিক প্রসিকিউশন সার্ভিসকে পর্যায়ক্রমে স্বাধীন করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনে আইন মন্ত্রণালয় বিষয়ে আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন প্রসিকিউশন সার্ভিস গঠনের বিষয়ে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তা একবারে করা হবে না। আমরা ইন ফেইজ (পর্যায়ক্রমে) ইনডিপেনডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিসটা করবো। তার জন্য যে রিক্রুটমেন্টের দায়িত্ব, সেটা বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনকে দেওয়া যায় কি না সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা হচ্ছে।
বাংলাদেশে পাবলিক প্রসিকিউটরদের অযোগ্যতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতির কারণে বিচারিক আদালতে মামলার বিচার বাধাগ্রস্ত হওয়া নিয়ে আলোচনা বহু দিনের। বর্তমান ব্যবস্থায় পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ হয় অনেকটা রাজনৈতিক বিবেচনায়। এর জন্য কোনো পরীক্ষা নেই; তাদের নির্দিষ্ট মেয়াদও নেই। স্বাধীন প্রসিকিউশন সার্ভিস গঠন হলে বিচারিক আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটরদের নিয়োগ হবে স্থায়ী; যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। নির্ধারিত বেতন-ভাতাসহ সরকারি কর্মকর্তাদের মতো অন্য সুবিধাদি পাবেন তারা।
আইনমন্ত্রী বলেন, জেনারেল প্রসিকিউটর (জিপি), সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ও সহকারী জেনারেল প্রসিকিউটরের (এজিপি) বেতন-ভাড়া বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, মোবাইল কোর্টের ব্যাপারটিও উঠে এসেছে। আমি মোবাইল কোর্ট সম্বন্ধে বলেছি, যে এটা এখন আপিল বিভাগে আছে। সেজন্য সুবিস্তারে আলোচনা করাটা সাবজুডিস হয়ে যাবে।