বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আবহমান বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় অনুষঙ্গ লাঠি খেলা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারাতে বসেছে বাংলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এ খেলা। একই সঙ্গে হুমকির মুখে পড়েছে এই খেলার সঙ্গে সংশিষ্টদের জীবন-জীবিকাও। তারপরও অনেককেই এখনও দেখা যায় খেলাটি খেলতে। ভাটই সাংস্কৃতিক সংঘের আয়োজনে এমনই এক আসর বসেছিল ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বাজারে। চমৎকার এই আয়োজন দেখতে দূর দূরান্ত থেকে হাজির হন অসংখ্য দর্শক। দর্শনার্থীরা জানান, আবহমান গ্রাম বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় লাঠি খেলা।
বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে মানুষ এখন ভুলতে বসেছে এক সময়ের জনপ্রিয় এই খেলাটি। ভাটই সাংস্কৃতিক সংঘের আয়োজনে এ খেলাটি সত্যি মনমুগ্ধকর। এমন আয়োজন যেন প্রতিবছর করা হয়। তীব্র শীত উপেক্ষা করে আশেপাশের প্রায় দশগ্রামের মানুষ ভীড় করেন এ লাঠিখেলা উপভোগ করতে।
বর্ণিল সাজে লাঠি হাতে লাঠিয়ালরা অংশ নেন এ খেলায়। ঢাকঢোল আর বাঁশির তালে আনন্দে উল্লাসে মেতে ওঠেন সবাই। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে নানা বয়সের মানুষ রং-বেরঙের পোশাক পড়ে মাঠে নামেন লাঠি খেলতে। মানুষের এ উচ্ছাস প্রমাণ করে লাঠি খেলা নিয়ে মানুষের আগ্রহ আছে। কিন্তু লাঠি খেলা নতুন দল তৈরি হচ্ছে না। যে কারণে, এখন লাঠি খেলার আয়োজন হয় না নিয়মিত।
তবে যারা লাঠি খেলেন, তাদের এ ঐতিহ্য ধরে রাখার আগ্রহ আছে। খেলোয়াড়রা বলেন, পূর্বপুরুষরা এ খেলা করতো। আমরা সেই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এ খেলায় নিয়মিত অংশ নিই। এদিকে হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতেই লাঠিখেলার এমন আয়োজন বলে জানালেন স্থানীয় আয়োজকরা।
ভাটই সাংস্কৃতিক সংঘের সাধারণ সম্পাদক তারেক মাহমুদ বলেন, আমাদের পুরানো ঐতিহ্যকে পুনরায় ফিরিয়ে আনতেই আমাদের এ আয়োজন। ৬০ দশক থেকে প্রচলিত এ লাঠিখেলাকে আজও গ্রামবাংলার বুকে ধরে রাখতে স্থানীয়দের পাশাপাশি সরকারকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন সংশ্লিষ্টরা।