ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অভিমান করে চলে গেলেন বৃক্ষমানব

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কোনদিন আর সুস্থ হবে না জেনে অভিমান করে কাউকে না জানিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে গেছেন বৃক্ষমানব খ্যাত আবুল বাজনদার। নিজের রোগ আর ভালো না হওয়ার কথা শোনার পরে গত শনিবার (২৬ মে) ভোরে সবাই যখন ঘুমে তখন তিনি হাসপাতাল ছেড়ে যান। পরে সকালে চিকিৎসক ও নার্স ছয় তলায় তার কেবিনে গিয়ে দেখেন তিনি নেই।

ঢামেক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এ খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সে কেন চলে গেছে তা জানি না।

তবে আবুল কয়েকদিন ধরে বাড়ি যাওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিল। গত সপ্তাহে তাকে বলেছিলাম অস্ত্রোপচার করতে হবে। সে শনিবার অস্ত্রোপচার করবে কিনা জানানোর কথা থাকলেও ভোরেই চলে যায়।

আবুল বাজনদার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এ রোগ কোনোদিন সারবে না। তারা বলেছেন এটা জেনেটিক রোগ। একবার সারলেও আবার হবে। যতবার হবে ততবারই অপারেশন করতে হবে। এ পর্যন্ত ২৫বার অপারেশন হয়েছে আমার। আমার হাতের রোগ একেবারে ভাল হবে না। আরও অপারেশন করতে হবে।

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে আবুল বাজনদার হাতে পায়ে শিকড় নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে ভর্তি হন। এরপর তার চিকিৎসকরা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা শুরু করেন আবুলের। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, আবুল এপিডার্মো ডিসপ্লেশিয়া ভেরুকোফরমিস ভাইরাসে আক্রান্ত। আবুলের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসেন সয়ং প্রধানমন্ত্রী। আবুলের সব খরচ রাষ্ট্রীয়ভাবে করার এবং থাকা-খাওয়া ওষুধসহ যাবতীয় সব খরচ হাসপাতালকে বহন করার নির্দেশ দেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

অভিমান করে চলে গেলেন বৃক্ষমানব

আপডেট টাইম : ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মে ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কোনদিন আর সুস্থ হবে না জেনে অভিমান করে কাউকে না জানিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে গেছেন বৃক্ষমানব খ্যাত আবুল বাজনদার। নিজের রোগ আর ভালো না হওয়ার কথা শোনার পরে গত শনিবার (২৬ মে) ভোরে সবাই যখন ঘুমে তখন তিনি হাসপাতাল ছেড়ে যান। পরে সকালে চিকিৎসক ও নার্স ছয় তলায় তার কেবিনে গিয়ে দেখেন তিনি নেই।

ঢামেক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এ খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সে কেন চলে গেছে তা জানি না।

তবে আবুল কয়েকদিন ধরে বাড়ি যাওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিল। গত সপ্তাহে তাকে বলেছিলাম অস্ত্রোপচার করতে হবে। সে শনিবার অস্ত্রোপচার করবে কিনা জানানোর কথা থাকলেও ভোরেই চলে যায়।

আবুল বাজনদার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এ রোগ কোনোদিন সারবে না। তারা বলেছেন এটা জেনেটিক রোগ। একবার সারলেও আবার হবে। যতবার হবে ততবারই অপারেশন করতে হবে। এ পর্যন্ত ২৫বার অপারেশন হয়েছে আমার। আমার হাতের রোগ একেবারে ভাল হবে না। আরও অপারেশন করতে হবে।

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে আবুল বাজনদার হাতে পায়ে শিকড় নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে ভর্তি হন। এরপর তার চিকিৎসকরা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা শুরু করেন আবুলের। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, আবুল এপিডার্মো ডিসপ্লেশিয়া ভেরুকোফরমিস ভাইরাসে আক্রান্ত। আবুলের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসেন সয়ং প্রধানমন্ত্রী। আবুলের সব খরচ রাষ্ট্রীয়ভাবে করার এবং থাকা-খাওয়া ওষুধসহ যাবতীয় সব খরচ হাসপাতালকে বহন করার নির্দেশ দেন।