বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আগামী সপ্তাহে দেশের উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। অধিদপ্তর বলছে, ৪ থেকে ৫ দিন স্থায়ী হতে পারে এই বন্যা। এতে শরীয়তপুর, রাজবাড়ীসহ পদ্মা পারের জেলাগুলোতে তীব্র ভাঙনের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক পূ্র্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, ঢাকা, রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সকল এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মৌসুমী বায়ু এখনো সক্রিয় রয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী সপ্তাহে দেশের বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে। এছাড়া ভারত থেকেও ঢল নামার আশঙ্কা রয়েছে। এতে পানি বাড়বে পদ্মা-যমুনা, সুরমা-কুশিয়ারায়। প্লাবিত হতে পারে সিলেট, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, বগুড়াসহ ১০টির বেশি জেলা।
তবে এই বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে পদ্মা তীরের জেলাগুলোতে। বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের আশঙ্কা, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ীতে তীব্র হবে নদী ভাঙন। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২১ সেপ্টেম্বরের পর থেকে কমতে থাকবে বন্যার পানি। আর এটিই হবে এ বছরের শেষ বন্যা।