ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিয়ে চলে যাবেন

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচন আয়োজন ও সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময়ের বেশি নেবেন না।আমরা বিশ্বাস করি, উনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিয়ে চলে যাবেন। অন্যান্যদের মতো ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখবেন না।

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যে নতুন সদস্য যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনগণ পরিবর্তন আশা করলেও কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। তবে তাদেরকে সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময় দিতে হবে।মনে রাখতে হবে, এই সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে দেশ ব্যর্থ হবে।

তবে সরকারকে সংস্কার প্রশ্নে যৌক্তিক সময় দিতে হবে জানিয়ে মান্না বলেন, এখন বলছি- যে সময়টা লাগবে তা দিতে হবে। আমরা কি জানতাম এত বড় একটা অভ্যুত্থান হবে? আমরা জানতাম, দেড় মাস পুলিশ থাকবে না? পুলিশ সংস্কার ছাড়া কিভাবে নির্বাচন করবেন? নির্বাচন কমিশন সংস্কার মানে কী? পুরো নির্বাচন ব্যবস্থারই সংস্কার। তাই এই সরকারকে সময় দিতে হবে।এই সরকার ব্যর্থ হলে দেশ ব্যর্থ হবে।

তিনি বলেন, জনগণের রায়ের সঙ্গে যদি না যান, তাহলে কোনো আপস না। চাঁদাবাজি, দখলবাজি যারা শুরু করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতেই হবে। বানানো মামলা দেওয়া শুরু হয়ে গেছে, এগুলো বন্ধ করতে হবে। গায়ের জোরে গুন্ডামি করে রাজনীতি হয় না, এটাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শিক্ষা।

সংস্কার প্রস্তাবনা ও কমিশনের কাজ প্রসঙ্গে মান্না বলেন, আমরা বলেছি- সবার সঙ্গে কথা বলেই সংস্কার প্রস্তাবগুলো করতে হবে। আপনারা প্রস্তাব দেবেন, সবার আলোচনা ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার প্রস্তাব হবে। আপনি কমিশনের প্রধান নিজের মতো নিজে প্রস্তাব দেবেন তা হবে না। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না তা নির্বাচিত সরকারের জন্য রেখে দেওয়া হবে।

এ সময় তিনি দ্রব্যমূল্য কমানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, জিনিসের দাম কমেনি। এখন কি সিন্ডিকেট আছে? সমন্বয়কেরাও এখন সরকারকে দ্রব্যমূল্য নিয়ে প্রশ্ন করছে। এখনও কেন কমছে না?

রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গে মান্না বলেন, প্রেসিডেন্ট আছে তার কাজ কী? প্রেসিডেন্ট এখন না থাকলে কী হয়? প্রধানমন্ত্রী যা বলবে তাই করবে। তাকে কিছু ক্ষমতা দেন।

যোগদান অনুষ্ঠানে বরিশাল, যশোর, পটুয়াখালীর বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা এবং কামরাঙ্গীরচরসহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠক দলটিতে যোগ দিয়েছেন। যোগদান করা নতুন নেতাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে দলে স্বাগত জানান সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

যোগদান অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিন্নুর আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

উনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিয়ে চলে যাবেন

আপডেট টাইম : ১২:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচন আয়োজন ও সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময়ের বেশি নেবেন না।আমরা বিশ্বাস করি, উনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিয়ে চলে যাবেন। অন্যান্যদের মতো ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখবেন না।

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যে নতুন সদস্য যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনগণ পরিবর্তন আশা করলেও কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। তবে তাদেরকে সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময় দিতে হবে।মনে রাখতে হবে, এই সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে দেশ ব্যর্থ হবে।

তবে সরকারকে সংস্কার প্রশ্নে যৌক্তিক সময় দিতে হবে জানিয়ে মান্না বলেন, এখন বলছি- যে সময়টা লাগবে তা দিতে হবে। আমরা কি জানতাম এত বড় একটা অভ্যুত্থান হবে? আমরা জানতাম, দেড় মাস পুলিশ থাকবে না? পুলিশ সংস্কার ছাড়া কিভাবে নির্বাচন করবেন? নির্বাচন কমিশন সংস্কার মানে কী? পুরো নির্বাচন ব্যবস্থারই সংস্কার। তাই এই সরকারকে সময় দিতে হবে।এই সরকার ব্যর্থ হলে দেশ ব্যর্থ হবে।

তিনি বলেন, জনগণের রায়ের সঙ্গে যদি না যান, তাহলে কোনো আপস না। চাঁদাবাজি, দখলবাজি যারা শুরু করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতেই হবে। বানানো মামলা দেওয়া শুরু হয়ে গেছে, এগুলো বন্ধ করতে হবে। গায়ের জোরে গুন্ডামি করে রাজনীতি হয় না, এটাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শিক্ষা।

সংস্কার প্রস্তাবনা ও কমিশনের কাজ প্রসঙ্গে মান্না বলেন, আমরা বলেছি- সবার সঙ্গে কথা বলেই সংস্কার প্রস্তাবগুলো করতে হবে। আপনারা প্রস্তাব দেবেন, সবার আলোচনা ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার প্রস্তাব হবে। আপনি কমিশনের প্রধান নিজের মতো নিজে প্রস্তাব দেবেন তা হবে না। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না তা নির্বাচিত সরকারের জন্য রেখে দেওয়া হবে।

এ সময় তিনি দ্রব্যমূল্য কমানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, জিনিসের দাম কমেনি। এখন কি সিন্ডিকেট আছে? সমন্বয়কেরাও এখন সরকারকে দ্রব্যমূল্য নিয়ে প্রশ্ন করছে। এখনও কেন কমছে না?

রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গে মান্না বলেন, প্রেসিডেন্ট আছে তার কাজ কী? প্রেসিডেন্ট এখন না থাকলে কী হয়? প্রধানমন্ত্রী যা বলবে তাই করবে। তাকে কিছু ক্ষমতা দেন।

যোগদান অনুষ্ঠানে বরিশাল, যশোর, পটুয়াখালীর বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা এবং কামরাঙ্গীরচরসহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠক দলটিতে যোগ দিয়েছেন। যোগদান করা নতুন নেতাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে দলে স্বাগত জানান সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

যোগদান অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিন্নুর আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।