ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতি ফ্যাসিবাদের প্রোডাক্ট হলেও সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করা যাবে না: রিজভী

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে ‘ফ্যাসিবাদের প্রোডাক্ট’ আখ্যায়িত করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তাঁর পদত্যাগের কথা বলে বড় ধরনের সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করা যাবে না।

রাষ্ট্রপতিকে সরানোর দাবির পক্ষে রাজি করাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যখন বিএনপির বৈঠক চলার মধ্যে আজ শনিবার বিকেলে ডেঙ্গু নিয়ে প্রচারপত্র বিতরণকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘কোনো সাংবিধানিক শূন্যতা যাতে সৃষ্টি না হয়, এ জন্য অনেক চিন্তা করে আমাদের কাজ করতে হবে। অল্প শূন্যতা হলে সেই শূন্যতা ভরাট করা যায়। কিন্তু বড় শূন্যতা হলে সেটা ভরাট করা মুশকিল হয়। এখানে শেখ হাসিনার পতনে যাঁরা অসন্তুষ্ট হয়েছেন, বাংলাদেশের ভেতরের কিছু মানুষ ও বাইরের লোকজন নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্তে মেতে উঠবে।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা দেওয়া। সেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করা দরকার।’

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনগণ তো সংস্কার চায়, শেখ হাসিনার বিচার বিভাগ জনগণ চায় না, শেখ হাসিনার প্রশাসন জনগণ চায় না, শেখ হাসিনার পুলিশ জনগণ চায় না, যে পুলিশ মানবদরদি হবে, যে জনপ্রশাসন জনগণের কল্যাণে আসবে জনগণ সেই প্রশাসন চায়—এগুলো সংস্কার করতে কত দিন সময় লাগবে? বিচার বিভাগ হচ্ছে মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। এটা সংস্কার করতে কত দিন সময় লাগবে? বেশি দিন তো সময় লাগার কথা নয়।’

এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা ফখরুল ইসলাম রবিন, ডা. জাহিদুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

রাষ্ট্রপতি ফ্যাসিবাদের প্রোডাক্ট হলেও সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করা যাবে না: রিজভী

আপডেট টাইম : ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে ‘ফ্যাসিবাদের প্রোডাক্ট’ আখ্যায়িত করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তাঁর পদত্যাগের কথা বলে বড় ধরনের সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করা যাবে না।

রাষ্ট্রপতিকে সরানোর দাবির পক্ষে রাজি করাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যখন বিএনপির বৈঠক চলার মধ্যে আজ শনিবার বিকেলে ডেঙ্গু নিয়ে প্রচারপত্র বিতরণকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘কোনো সাংবিধানিক শূন্যতা যাতে সৃষ্টি না হয়, এ জন্য অনেক চিন্তা করে আমাদের কাজ করতে হবে। অল্প শূন্যতা হলে সেই শূন্যতা ভরাট করা যায়। কিন্তু বড় শূন্যতা হলে সেটা ভরাট করা মুশকিল হয়। এখানে শেখ হাসিনার পতনে যাঁরা অসন্তুষ্ট হয়েছেন, বাংলাদেশের ভেতরের কিছু মানুষ ও বাইরের লোকজন নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্তে মেতে উঠবে।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা দেওয়া। সেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করা দরকার।’

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনগণ তো সংস্কার চায়, শেখ হাসিনার বিচার বিভাগ জনগণ চায় না, শেখ হাসিনার প্রশাসন জনগণ চায় না, শেখ হাসিনার পুলিশ জনগণ চায় না, যে পুলিশ মানবদরদি হবে, যে জনপ্রশাসন জনগণের কল্যাণে আসবে জনগণ সেই প্রশাসন চায়—এগুলো সংস্কার করতে কত দিন সময় লাগবে? বিচার বিভাগ হচ্ছে মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। এটা সংস্কার করতে কত দিন সময় লাগবে? বেশি দিন তো সময় লাগার কথা নয়।’

এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা ফখরুল ইসলাম রবিন, ডা. জাহিদুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।