হিজাব পরার কারণে ছাত্রীকে ক্লাসরুম থেকে বের করে দেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আজিজুর রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
অন্যথায় ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণির মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষার্থে রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে হেফাজতে ইসলাম।
শনিবার বিকেলে জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামীর জরুরি সভায় এসব কথা বলেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।
কাসেমী বলেন, নাস্তিকদের প্রেতাত্মা ড. আজিজুর রহমানকে জাতির সামনে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। অমার্জনীয় অপরাধের জন্য অবিলম্বে আজিজকে
শিক্ষকতার পদ থেকে বহিষ্কার করতে হবে। অন্যথায় আবারো ঈমান রক্ষায় রাজপথে নেমে আসবে হেফাজতের লাখ লাখ সৈনিক।
তিনি বলেন, দেশের সর্বত্র যখন অস্থিরতা চলছে, দেশপ্রেমিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সে মুহূর্তে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন খুঁটির জোরে একজন হিজাব পরা ছাত্রীকে ক্লাসরুম থেকে বের করে দেয়া হলো। যেসব সহপাঠী প্রতিবাদ করেছেন তাদেরও বের করে দেয়া হয়েছে।
কাসেমী বলেন, দেশবাসী জানতে চায়, আপনারা কি দেশটাকে রামরাজ্য বানাতে চান? শান্তির পরিবেশে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করবেন না। আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই, পীর আউলিয়ার এ দেশে মুসলিম ঐতিহ্য ও ইসলামিক কৃষ্টিকালচার ভালো না লাগলে তসলিমা নাসরিনের মতো সেখানে চলে যান।
সভায় বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরীর যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা আবুল কালাম, হাফেজ মাওলানা আতাউল্লাহ হাফিজ্জী, মাওলানা জহিরুল হক ভূঁইয়া, ড. আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, যুগ্ম সদস্যসচিব মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, আতীকুজ্জামান, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা শরীফুল্লাহ ও মাওলানা হাবীবুল্লাহ ইসলামপুরী প্রমুখ।