বাঙালি কণ্ঠ ডেস্কঃ ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভটির নাম নামাজ। জ্ঞান থাকা অবস্থায় প্রত্যেকে প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। নারীদের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক কিছু অপরাগতা ছাড়া মুমিনের জন্য কখনোই নামাজ ছাড়ার সুযোগ নেই। একজন মানুষ যত অসুস্থই হোক জ্ঞান থাকলে তার ওপর নামাজ ফরজ। সেটা তার সামর্থ্য অনুযায়ী বসে, হেলান দিয়ে অথবা শুইয়ে হতে পারে। শত চেষ্টার পরও আদায় করা সম্ভব না হলে তার ওপর সেই নামাজের কাজা ওয়াজিব হবে। তবে কোনোভাবেই নিজ জিম্মা থেকে নামাজ বাদ যাবে না।
অসুস্থ ব্যক্তি যদি বসে নামাজ আদায় করা অবস্থায় দাঁড়াতে সক্ষম হয় অথবা বসে নামাজ আদায়রত অবস্থায় সেজদায় সক্ষম অথবা পার্শ্বের উপর ভর করে নামাজ পড়া অবস্থায় বসতে সক্ষম, তাহলে যা করতে সক্ষম তাই করবে; কেননা তার ওপর অবস্থানুযায়ী তা আদায় করা ওয়াজিব। অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে রোগীর চিকিৎসার জন্য দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে সক্ষম ব্যক্তির বসে বসে নামাজ আদায় করা বৈধ। যদি রোগী দাঁড়াতে ও বসতে সক্ষম হয় কিন্তু রুকু ও সেজদা করতে অক্ষম তখন দাঁড়ানো অবস্থায় অথবা বসা অবস্থায় ইশারা করে সেজদা করতে পারবে। যে ব্যক্তি জমিনের উপর সেজদা করতে অক্ষম সে বসে বসে রুকু ও সেজদা করবে। সেজদাকে রুকুর চেয়ে একটু বেশি নিচু করবে এবং দুই হাত হাঁটুর ওপরে রাখবে।
রোগীকে অন্যদের মতো কেবলামুখি হওয়া ওয়াজিব। যদি না পারে তবে তার অবস্থা হিসেবে যে দিকে সহজ হয়, সে দিকে ফিরে নামাজ আদায় করবে। আর রোগীর কোনো পার্শ্ব পরিবর্তন করে বা আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে নামাজ পড়লে তা সহীহ হবে না। যে রোগী মসজিদে যেতে সক্ষম তার জন্য মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করা জরুরি। মসজিদে যাওয়ার মতো সামর্থ্য না থাকলে ঘরে একা একা নামাজ আদায় করবে। আল্লাহর রাসুল (সা.) জীবনের অন্তিম মুহূর্তে দুইজনের কাঁধে ভর করে এসে মসজিদে নামাজ পড়েছেন। অসুস্থ অবস্থায় কিভাবে নামাজ আদায় করতে হবে সেটার বাস্তব শিক্ষা নবীজি উম্মতকে দিয়েছেন। ইসলামি ফিকাহয় রোগীর নামাজের বিস্তারিত বিবরণ দেয়া আছে। সামান্য অসুস্থতার ছুতায় নামাজ ছেড়ে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।