বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বলা হয়, নফল ইবাদত-বন্দেগি ছড়া কখনও আল্লাহর অলি হওয়া যায় না। আর নফল ইবাদতের মধ্যে উত্তম ইবাদত হলো- নামাজ। এই নফল নামাজের মধ্যে আবার সর্বোত্তম নামাজ হলো- শেষরাতের নামাজ। অর্থাৎ তাহাজ্জুদের নামাজ।
তাহাজ্জুদ নামাজ হলো- নেককার ও আল্লাহওয়ালাদের লক্ষণ। যেমন হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা রাতের নামাজ(তাহাজ্জুদ) জরুরি করে নাও, কারণ তা নেককার লোকদের অভ্যাস, তোমাদের রবের নৈকট্য, গোনাহের কাফফারা ও পাপ থেকে সুরক্ষা।’ –তিরমিজি
যারা রাতের বেলা নির্জনে আল্লাহ ইবাদতে মশগুল থাকে তারাই আল্লাহর প্রকৃত আশেক বান্দা। রাতের নির্জনে আল্লাহর সামনে যারা সেজদায় লুটিয়ে থাকে তাদের সম্পর্কেই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন, ‘(রহমানের আসল বান্দা) তারাই যারা নিজেদের রবের সামনে সিজদায় অবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে রাত কাটিয়ে দেয়।’ -সূরা ফুরকান: ৬৪
তাহাজ্জুদ গোজার বান্দাদের সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা আরও ইরশাদ করেন, ‘(মুত্তাকিরা) রাতের বেলা তারা কমই ঘুমাতো।’ -সূরা যারিয়াত: ১৭
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রিয় বান্দা হওয়ার পথ কি এখানেই শেষ? তাদের কোনো পুরস্কার নেই? অবশ্যই আল্লাহতায়ালা তাদের জন্য পুরস্কারের ঘোষণা করেছেন। কী সেই পুরস্কার? তিনি ইরশাদ করেন, ‘তাদের পিঠ থাকে বিছানা থেকে আলাদা, নিজেদের রবকে ডাকে আকাঙ্খা সহকারে এবং যা কিছু রিজিক আমি তাদেরকে দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে। তারপর কেউ জানে না তাদের কাজের পুরস্কার হিসেবে তাদের চোখের শীতলতার কি সরঞ্জাম লুকিয়ে রাখা হয়েছে।’ -সূরা সিজদাহ: ১৬-১৭
নিয়মিত তাহাজ্জুদ আদায়কারীদের জন্য আল্লাহতায়ালা কত দামী পুরস্কার লুকিয়ে রখেছেন তা তারা কল্পনাও করতে পারবে না। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত, এক হাদিসে বলা হয়েছে, যখন নবী করিম (সা.) মদিনায় আগমন করেন, তখন আমি সর্বপ্রথম তাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, হে লোকেরা! তোমরা সালামের প্রসার করো, খাদ্য দান করো, আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখো ও রাতে নামাজ (তাহাজ্জুদ) আদায় করো যখন মানুষেরা ঘুমিয়ে থাকে, তাহলে নিরাপদে